শীতের আমেজের সঙ্গে মনের একটা অদ্ভুত যোগ রয়েছে। শীত পড়লেই মন কেমন বেড়ু বেড়ু করে ওঠে। পিকনিক থেকে পার্টি-সবই কিন্তু জমজমাট হয়ে ওঠে এই শীতেই। শীতে খাওয়া-দাওয়া, সাজুগুজু আর বেড়ানোর মধ্যে একটা অন্যরকম আনন্দ থাকে। কিন্তু এই শীতেই বাড়ে রোগের প্রকোপ।
সকালে গরম আর বিকেলে ঠান্ডা- আবহাওয়ার এই খাম খেয়ালিপনায় শরীর বিগড়ে যায় দ্রুত। ঠান্ডা লাগা, নাক দিয়ে জল পড়া এসব লেগেই থাকে। এদিকে করোনার আতঙ্ক তো রয়েইছে। পুজো মিটতেই ফের মাথা চাড়া দিয়ে উঠেছে। আর তাই এই সময় শরীরের বিশেষ যত্নের প্রয়োজন। ছোট থেকে বড় সকলকেই সাবধানে থাকতে হবে।
ঠান্ডায় নাক বন্ধ হয়ে গেলে শ্বাস নিতে খুব সমস্যা হয়। তাই নেজাল ড্রপ দিতেই পারেন। এতে নাক পরিষ্কার হয়ে যায়। শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক থাকে। কিন্তু ঠান্ডা লাগলে শরীরের ইমিউনিটি কমে যায়। ফুসফুসও দুর্বল থাকে, ফলে অন্য ব্যাকটিরিয়া সহজেই বাসা বাঁধে।
হ্যাঁচি, সর্দি-কাশির জন্য আপনি এক বা দুই সপ্তাহ নিয়মিত ওষুধ খেতে পারেন, কিন্তু যদি দেখা যায়, সর্দি-কাশি শুধু ওষুধের সাহায্যে নিরাময় করা যায় না। বরং নজর দিতে হবে খাওয়া দাওয়াতেও। ফ্রিজের জল, কোল্ড ড্রিংক কিংবা ঠান্ডা খাবার এই সময় একেবারেই চলবে না। বরং গরম খাবার, ফল, শাক-সবজি বেশি করে রাখুন খাদ্য তালিকায়। যা কিছু অবশ্যই রাখবেন-
স্যুপ- এই সময় নানা রকম সবজি পাওয়া যায় বাজারে। তাই সবজি কিংবা চিকেনের স্যুপ ভীষণ উপাদেয়। স্যুপে তেল একেবারেই লাগে না, ফলে হজমও তাড়াতাড়ি হয়। তাই সবজি আর চিকেন দিয়ে নিয়মিত স্যুপ বানিয়ে খান। উপর থেকে ছড়িয়ে নিন গোলমরিচের গুঁড়ো। খেতে ভালো লাগবে এর ঠান্ডার প্রকোপ থেকেও মিলবে রেহাই।
চিকেন স্ট্যু- চিকেন স্ট্যু খেতে ভালো সেই সঙ্গে উপকারিতাও অনেক। চিকেনে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টি রয়েছে, সেই সঙ্গে প্রয়োজনীয় প্রোটিনও পাওয়া যায় চকেন থেকে। চিকেনের সঙ্গে যদি গাজর, বেসিল আর ব্রকোলি কয়েক কুচি মিশিয়ে দিতে পারেন তাহলে স্বাদ আর উপকারিতা দুই বাড়ে।
রসুন- রান্নায় রসুন পড়লে যে কোনও খাবারেরই স্বাদ বদল হয়। সেই সঙ্গে উপকারিতাও অনেক। আগেকার দিনে মুনি-ঋষিদের ভরসা ছিল এই রসুন। ব্যথা কমাতেও খুব ভালো কাজ করে রসুন। এছাড়াও রসুন রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। আর কাঁচা রসুন ওজন কমাতেও সাহায্য করে।
টকদই- অনেকেই ভাবেন দই খেলে ঠান্ডা লাগে, কিন্তু এই ধারণা একেবারেই ভুল। বরং গলার সমস্যায় ভালো কাজ দেয় টকদই। তবে চিনি ছাড়া খেতে হবে। দুপুরে খাবার শেষে পাতে রাখুন একবাটি টক দই। ডায়াবিটিসের রোগীদের জন্য যেমন ভালো তেমনই ওজনও কমে দ্রুত।
ব্রকোলি- শীত পড়তেই বাজারে এসেছে প্রচুর পরিমাণ শাক-সবজি। সারা বছর ব্রকোলি পাওয়া গেলেও শীতে ব্রকোলির জোগান থাকে বেশি। ব্রকোলির স্যুপ, স্যালাড যা খুশি খান। ব্রকোলির মধ্যে থাকা ভিটামিন ই আমাদের শরীরে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়ায়। সেই সঙ্গে ডায়াবিটিসও নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।
যা যা খাবেন না
আরও পড়ুন: Health Risk: কফি আর ডিম একসঙ্গে খান? সাবধান! আশঙ্কা বড় বিপদের, জানাচ্ছে সমীক্ষা