হাঁটুর ব্যথা এখন ঘরে ঘরে। কার নেই! ছোট থেকে বড় সকলেই আজকাল ভুগছেন হাঁটুর ব্যথায়। একবার হাঁটুতে ব্যথা হলে তা সারানো খুব মুশকিলের। সেই সঙ্গে ওজন বাড়লেও সমস্যা আসে হাঁটুতে
হাঁটুর ব্যথার অন্যতম কারণ হল একটানা এক জায়গায় বসে কাজ করা। এতে শরীরে মেদ জমে। মধ্যপ্রদেশে মেদ জমলেই চাপ বাড়বে হাঁটুতে। সেখান থেকে আসে আরও একাধিক সমস্যা। আর তাই প্রথম থেকেই সতর্ক হন
শীত আসলেই যে কোনও ব্যথা বাড়ে আর শীতের দিনে ওজন ঝরানোও খুব কঠিন। আর তাই আগেভাগে সতর্ক হতে হবে। সেই সঙ্গে খাওয়া-দাওয়াতে মানুন বাড়তি সতর্কতা। বাইরের খাবার, তেল-মশলা একেবারেই বাদ দিতে হবে
মিষ্টি একদমই চলবে না। রাতে মিষ্টি খাওয়ার অভ্যাস থাকলে তা আগেভাগে বাতিল করতে হবে। আর মিষ্টি খাওয়ার খুব ইচ্ছে হলে বিভিন্ন শুকনো ফল-বীজ খেজুরে পাক করে বানিয়ে নিন প্রোটিন লাড্ডু। কোকো, চকোলেটও কম খান
মিষ্টি বেশি খেলে সুগার বাড়ে আর সুগার বাড়লে যে কোনও ইনফেকশন, ব্যথা বেদনাও বাড়তে পারে। চিনির মতই নুন খারাপ, যে কারণে নুনের সঙ্গে দূরত্ব বাড়াতে হবে। খাবারে কাঁচা নুন একেবারেই চলবে না, হিমালয়ান পিংক সল্ট খাওয়ার চেষ্টা করুন
অ্যালকোহল থেকেও হতে পারে হাঁটুতে ব্যথা। যাঁরা নিয়মিত অ্যালকোহল খান তাঁদের জয়েন্টে ব্যথা, প্রদাহ জনিত সমস্যা, সারা শরীরে ব্যথা এমন সমস্যা আসবেই। তাই প্রথমেই মদ্যপান থেকে দূরে থাকুন, একেবারে বাদ দিতে পারলে ভাল
বেশি প্রোটিন আর ক্যালোরি খেলে হাঁটুর ব্যথা বাড়বে। তাই রেড মিটও ভুল করে নয়। যাদের হাঁটুর ব্যথা রয়েছে, পায়ে সমস্যা রয়েছে তাঁরা রেড মিট একেবারেই খাবেন না। খেলেও মাসে ২ পিসের বেশি একেবারেই নয়, এতে অনেক রকম সমস্যা বাড়বে
যে সব খাবারের মধ্যে ট্রান্স ফ্যাটের পরিমাণ বেশি তা এড়িয়ে চলতে হবে। বাইরের খাবার, ফাস্ট ফুড, ভাজাভুজির মধ্যে, বিরিয়ানি, রোল, চাউমিনতে ট্রান্স ফ্যাট অনেক বেশি থাকে। এতে জয়েন্ট পেইনের সমস্যা বাড়ে, সঙ্গে হৃদরোগৃডায়াবেটিসেরও সমস্যা বাড়ে। তাই ভুল করেও নয়