রান্নার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হল তেল আর শরীরের ভাল ফ্যাট্র জন্যেও প্রয়েজন হল তেল। তেলের মধ্যে থাকে প্রয়োজনীয় ম্যাক্রেনিউট্রিয়েন্টস যা আমাদের শরীরের জন্য প্রয়োজনীয়। প্রতিটি তেলেরই নিজস্ব কিছু গুণ রয়েছে। তবে আমাদের রোজকার ব্যবহূত এই তেলের মধ্যে রয়েছে ট্রান্স ফ্যাট এবং স্যাচুরেটেড ফ্যাট। এই দুই ফ্যাটই শরীরের জন্য খারাপ। কারণ একবার এই দুই ফ্যাট শরীরে জমতে শুরু করলে ওবেসিটি, হৃদরোগ, প্রদাহ-সহ একাধিক সমস্যা জাঁকিয়ে বসবে। আজ থেকে বহু বছর আগে রান্নার জন্য মানুষ সরষের তেল আর নারকেল তেল ব্যবহার করত। এখন বাজারে বিভিন্ন রকম তেল পাওয়া যায় আর কিছু তেল আছে যা স্বাস্থ্যকর বলে দাবি করা হয়। বলা হয় এই সব তেল খেলে শরীরে কোনও ফ্যাট জমবে না। সব তেলই যে স্বাস্থ্যের জন্য ভাল এমনটা একেবারেই নয়, বরং খেলে হতে পারে একাধিক স্বাস্থ্য সমস্যা। পুষ্টিবিদরা সেই সব তেল এড়িয়ে যাওয়ারই পরামর্শ দিয়েছেন। এই তালিকায় রয়েছে-
পাম তেল- পাম তেলের মধ্যে স্যাচুরেটেড ফ্যাট অনেক বেশি পরিমাণে থাকে। যা এলডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। স্যাচুরেটেড ফ্যাট বেশি থাকায় এই তেল হৃদরোগের সম্ভাবনা বাড়ায়। বিভিন্ন খাবারের দোকানে এই তেল বেশি ব্যবহার করা হয় কারণ তা দামে কম। যে কারণে বাইরের খাবার এড়িয়ে চলতে বলা হয়।
নারকেল তেলের মধ্যো স্যাচুরেটেড ফ্যাট অনেক বেশি পরিমাণে থাকে। এতে মিডিয়াম চেইন ট্রাইগ্লিসারাইডস (এমসিটি) রয়েছে, যার কিছু স্বাস্থ্যকর দিক থাকলেও এলডিএল কোলেস্টেরল বাড়াতেও যথেষ্ট ভূমিকা থাকে।
আজকাল অনেকেই ভুট্টার তেল খান। এই তেলের মধ্যে রয়েছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। যা অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে শরীরে প্রদাহ জনিত সমস্যা হতে পারে। আর এতে দীর্ঘস্থায়ী রোগের ঝুঁকিও বাড়ে
ভুট্টার মতই সোয়াবিন তেলের মধ্যে থাকে ওমেগা ৬ ফ্যাটি অ্যাসিড। যা অতিরিক্ত খেলে শরীরে একাধিক প্রদাহজনিত সমস্যা হতে পারে। ওমেগা ৬ ফ্যাটি অ্যাসিড শরীরের জন্য অপরিহার্য। এই তেল ভাল হলেও বেশি একেবারেই খাবেন না।
সূর্যমুখীর তেলের মধ্যে ওমেগা ৬ ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে। তবে এর মধ্যে স্যাচুরেটেড ফ্যাট কম। তবে অতিরিক্ত ওমেগা-৬ এর অতিরিক্ত ব্যবহারে প্রদাহজনিত সমস্যা অনেক বেড়ে যেতে পারে।
শরীর ভাল রাখতে অলিভ অয়েল, ফ্ল্যাক্সসিড অয়েল, অ্যাভোকাডো অয়ে, আমন্ড অয়েল এবং তিল তেলও খুবই ভাল। তবে ব্যবহার সীমিত করতে হবে, নইলে বিপদ বাড়বে