Frequent cramping: প্রতিরাতে পায়ের পেশিতে টান ধরে? এড়িয়ে গেলেই শরীরে বাসা বাধতে পারে মারাত্মক রোগ!

TV9 Bangla Digital | Edited By: দীপ্তা দাস

Oct 03, 2021 | 5:03 PM

পায়ে ব্যথা, থাই বা উরুর পেশি টান ধরা বা ক্রাম্প, এমনকি আলসারের মতো অবস্থাগুলি তৈরি হলে এই লক্ষণগুলি শরীরের নিম্ন অঙ্গের রক্ত সঞ্চালন হ্রাস পাওয়ার ইঙ্গিত দেয়।

Frequent cramping: প্রতিরাতে পায়ের পেশিতে টান ধরে? এড়িয়ে গেলেই শরীরে বাসা বাধতে পারে মারাত্মক রোগ!
ছবিটি প্রতীকী

Follow Us

ছোটখাটো শরীর খারাপ হলে অধিকাংশই সময়ই তা এড়িয়ে যাই। সেগুলি যে সবসময় বয়সকেন্দ্রিকও হয় না। পলিস্টিক ওভারি সিন্ড্রোম, ডায়াবেটিস, কার্জিওভাসকুলার ডিজিজ-এর মতো দীর্ঘস্থায়ী রোগের কথা এলে তার আগে বেশ কিছু সংকেত শরীর আগাম জানান দেয়। সেগুলি প্রথম দিকে উপেক্ষা করা হলে দীর্ঘস্থায়ী রোগগুলি বাসা বাধতে থাকে। ডায়াবেটিসের প্রথম দিকে বারবার প্রস্রাবের সংকেত বা হৃদরোগের সম্ভাবনা হলে বুকে ব্যাথা শুরু হয়। একইভাবে আরও একটি লক্ষণ রয়েছে, যা দীর্ঘদিন ধরে উপেক্ষা করলে একটি গুরুতর শরীর খারাপের সম্ভাবনা তৈরি হয়। ঘন ঘন পায়ে ব্যথা, থাই কিংবা উরুর পেশীতে টান ধরাকে কখনও এড়িয়ে যাবেন না।

পায়ে ব্যথা ও পেশী টান ধরার কিসের ইঙ্গিত?

পায়ে ব্যথা, থাই বা উরুর পেশি টান ধরা বা ক্রাম্প, এমনকি আলসারের মতো অবস্থাগুলি তৈরি হলে এই লক্ষণগুলি শরীরের নিম্ন অঙ্গের রক্ত সঞ্চালন হ্রাস পাওয়ার ইঙ্গিত দেয়। দুর্বল রক্ত সঞ্চালনের কারণই হল উচ্চ কোলেস্টেরল। শরীরে মেদ জমার কারণে ধমণীকে চাপ সৃষ্টি হয়। তাতে রক্তপ্রবাহে ব্যাহত করে।

কোলেস্টেরল কী?

কোলেস্টেরল হল একধরনের চর্বিজাতীয়, তৈলাক্ত স্টেরয়েড যা কোষের ঝিল্লি বা সেল মেমব্রনে পাওয়া যায়। এগুলি স্তন্যপায়ী প্রাণীর দেহে রক্তের মাধ্যমে পরিবাহিত হয়। শরীরের মধ্যে ২ ধরনের কোলেস্টেরল থাকে। HDL ও LDL। একটি ভাল ও অন্যটি খারাপ। অলিভ ওয়েল, বাদাম ও মাখনের মতো চর্বিযুক্ত স্বাস্থ্যকর উত্‍সের মাধ্যমে শরীরে ভাল কোলেস্টেরল প্রবেশ করে। অন্যদিকে, প্রসেসড খাবার, যাকে পুষ্টির মান একেবারেই থাকে না।এর মাধ্যমে শরীরে বাজে কোলেস্টেরল প্রবেশ করে। এই অস্বাস্থ্যকর কোলেস্টেরলগুলিঅ ধমনীর মধ্যে জমতে শুরু করে। আর তাতেই হার্ট অ্যাটাক হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। একে চিকিত্‍সার ভাষায় পেরিফেরাল আর্টারি ডিজিজ নামে পরিচিত।

বেথ ইসরায়েল ডিকোনেস মেডিকেল সেন্টারের মতে, পায়ের আলসার সহজে সারতে চায় না। নিম্নাঙ্গে দুর্বল রক্ত প্রবাহের অন্যতম লক্ষণ। প্রাথমিকভাবে এই লক্ষণকে কখনও এড়িয়ে যাওা উচিত নয়। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এটি ধীরে ধীরে খারাপের দিকে যেতে থাকে। অনেকটা পথ অতিক্রম করতে গেলে ব্যথা লাগে, ক্লান্তি চলে আসে। পায়ের ব্যথার সঙ্গে PAD সংযুক্ত থাকায় একে ক্লডিকেশন বলা হয়।

বয়সজনিত, ডায়াবেটিস, স্থূলতা ও উচ্চ রক্তচাপের ক্ষেত্রেও এটি হতে পারে। ডাক্তারের কাছে যাওয়ার আগে নিজের শরীরের কোলেস্টেরলের মাত্রা একবার পরীক্ষা করে নিতে পারেন।

এই অবস্থায় পায়ের ব্যথা কীভাবে কমাবেন?

ব্যায়াম হল সুস্বাস্থ্যের মানদণ্ড। সুষম আহার উচ্চ কোলেস্টেরলের মাত্রার জন্য সর্বোত্তম প্রতিকার। অসম্পৃক্ত চর্বিগুলির সাথে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের অদলবদল কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সহায়ক হতে পারে। স্লটেড বাটার, রেড মিট, প্রচুর পরিমাণে নারকেল তেল শরীরে মধ্যে প্রভাব বিস্তার করে।

কোন কোন খাবার এড়িয়ে যাবেন

– স্যামন, ম্যাকারেল, সার্ডিনের মতো ফ্যাটি মাছ

– বাদাম ও বীজ

– সূর্যমুখী তেল, আখরোট, ভুট্টা, অলিভ অয়েল

-অ্যাভোকাডো

– দেশি ঘি

আরও পড়ুন: COVID-19: কোভিডের থেকেও মারাত্মক ইনফ্লুয়েঞ্জা! সতর্কবার্তা বিশেষজ্ঞদের 

Next Article