আজকাল কম বয়সিদের মধ্যে খুব কমন ফ্যাটি লিভার। আধুনিক জীবনযাত্রা, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস, কায়িক পরিশ্রম না করার জেরে জীবনে থাবা বসাচ্ছে ফ্যাটি লিভার। যদিও লিভারে প্রথম থেকেই চর্বি থাকে। কিন্তু সেটার পরিমাণ খুব কম। এই চর্বির পরিমাণ যদি বেশি হয়ে যায়, তখনই সমস্যা তৈরি হয়। লিভারে ফ্যাট জমতে শুরু করলেই দেখা দেয় হাজার একটা সমস্যা। ফ্যাটি লিভার ধরা পড়লে বাইরের খাবার, মদ্যপান থেকে দূরে থাকাই ভাল। তবে, এমন ৫টি খাবার রয়েছে, যা রোজ খেলে লিভারের ফ্যাট গলতে বাধ্য।
কাঁচা পেঁপে: কাঁচা পেঁপে লিভারের স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ উপকারী। কাঁচা পেঁপের মধ্যে ভিটামিন, এনজাইম ও ফাইবার রয়েছে। কাঁচা পেঁপের মধ্যে যে পাপাইন নামের এনজাই রয়েছে, যা হজম স্বাস্থ্য উন্নত করে এবং লিয়াভ্র থেকে টক্সিন বের করতে সাহায্য করে। পাশাপাশি এটি প্রোটিন ও ফ্যাটকে ভাঙতে সাহায্য করে। ফ্যাটি লিভারে কাঁচা পেঁপের তৈরি খাবার খেলে লিভারের কার্যকারিতা সচল থাকবে।
আমলকি: লিভারের সমস্যায় আয়ুর্বেদিক ওষুধ হিসেবে কাজ করে আমলকি। আমলকির মধ্যে ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে এবং ক্ষত নিরাময়ে সাহায্য করে। আমলকি লিভারকে ডিটক্সিফিকেশন করতে সাহায্য করে। আমলকি খেলে লিভারে ফ্যাট জমবে না।
হলুদ: হলুদের মধ্যে কারকিউমিন যৌগ রয়েছে, যা দেহে অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট উপাদান হিসেবে কাজ করে। এই যৌগ লিভারের প্রদাহ কমায় এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি হজমের সমস্যা দূর করে হলুদ। এই মশলা ফ্যাটকে ভাঙতে সাহায্য করে। লিভারের স্বাস্থ্য উন্নত করে হলুদ।
ড্যানডেলিয়ন: এটা হল এক ধরনের ভেষজ উপাদান, যা লিভারের সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। ড্যানডেলিয়ন দেহে প্রাকৃতিক ডিউরেটিক উপাদান হিসেবে কাজ করে। অর্থাৎ, এই ভেষজ উপাদানটি প্রস্রাবের মাধ্যমে শরীর থেকে টক্সি বের করে দেয়। পাশাপাশি ফ্যাট মেটাবলিজমে সাহায্য করে। ফ্যাটি লিভারের সমস্যা কমানোর পাশাপাশি লিভারের কার্যকারিতা উন্নত করে এবং ওজন কমায়।
মুলো: মুলো খেলে পেটে গ্যাস হয়—এই ভয়ে অনেকেই এড়িয়ে যান এই সবজি। কিন্তু এই সবজিতে থাকা ফাইবার আদতে হজমে সাহায্য করে, লিভার থেকে দূষিত পদার্থ বের করে দেয়। নিয়মিত মুলো খেলে লিভারের প্রদাহ কমে এবং লিভারের ফাংশন উন্নত করে।