লিপস্টিক মাখতে সমস্ত মহিলাই পছন্দ করেন। সৌন্দর্যের মাপকাঠিতে লিপস্টিক একটা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। লিপস্টিকের নানান প্রকারভেদ রয়েছে। যেহেতু লিপস্টিক ঠোঁটে সারাদিন ধরেই প্রায় থাকে তাই থুতুর সঙ্গে অনেকটাই শরীরের মধ্যে প্রবেশ করতে পারে। সেই কারণে লিপস্টিক ব্যবহারের সময় কয়েকটা ব্যাপারে সচেতনতা মেনে চলতে হয়। আর সেই ব্যাপারগুলির মধ্যেই একটা হল লিপস্টিকের মেয়াদ।
অনেক সময় আমরা প্রোডাক্টের মেয়াদ পরীক্ষা না করেই সেগুলি ব্যবহার করে ফেলি, তারপরেই বিপাকে পড়তে হয়। মেয়াদ ফুরিয়ে যাওয়া লিপস্টিক যে কেবল ঠোঁটের জন্য ক্ষতিকর তা নয়, শরীরেও ক্ষতিকর প্রভাব ফেলতে পারে। আসুন জেনে নেওয়া যাক মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়া লিপস্টিক চেনার উপায় এবং এটি ব্যবহারের ফলে কী কী ক্ষতি হতে পারে।
পুরানো লিপস্টিক চেনার উপায়:
পুরনো লিপস্টিক ব্যবহার করলে যে যে সমস্যা হতে পারে:
১) মেয়াদ উত্তীর্ণ লিপস্টিকে ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে, যা মুখের চারপাশে এবং ঠোঁটে চুলকানির কারণ হতে পারে। লিপস্টিকে ল্যানোলিন রয়েছে, যার ফলে শুষ্কতা, চুলকানি এবং ব্যথার মতো অ্যালার্জির প্রতিক্রিয়া হতে পারে।
২) লিপস্টিকে উপস্থিত ল্যানোনিনের শক্তিশালী শোষণ ক্ষমতা, বাতাস থেকে ধুলো, ব্যাকটেরিয়া, ভাইরাস শোষণ করে ঠোঁটে জমা করতে পারে। লিপস্টিক লাগিয়ে কোনও কিছু খাওয়া এবং পান করার সময়, সেগুলো শরীরে প্রবেশ করে এবং নানারকম অসুস্থতা দেখা দিতে পারে। লিপস্টিকেও প্রচুর পরিমাণে সীসা এবং ক্যাডমিয়াম থাকে। মেয়াদোত্তীর্ণ লিপস্টিক ব্যবহার করলে সীসার বিষক্রিয়া হতে পারে এবং রেনাল ফেলিওর, অ্যানিমিয়া, ব্রেন ড্যামেজ এবং ব্রেন নিউরোপ্যাথি হতে পারে।
৩) লিপস্টিকে প্রিজারভেটিভ এবং BHA-সহ ক্ষতিকারক পদার্থ থাকে। তাই মেয়াদ শেষ হওয়া লিপস্টিক লাগালে ব্রেস্ট টিউমার হতে পারে। এই ধরনের লিপস্টিক লাগানোর পর কোনও সমস্যা অনুভব হলে তৎক্ষণাৎ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
আরও পড়ুন: World Toilet Day 2021: মহিলারা ইউরিনের বেগ চেপে রাখছেন! বাড়ছে ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশনের ভয়!
আরও পড়ুন: Eye Problems: ডিজিটাল স্ট্রেন আর কাজের চাপ থেকে চোখকে সুরক্ষিত রাখবেন কীভাবে?