Bangla NewsHealth Health benefits of having peanut butter instead of regular butter
Peanut Butter Benefits: মাখন খাবেন না কি পিনাট বাটার ভাবছেন? বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন একবার দেখে নিন…
স্বাস্থ্য সচেতন অনেকেই মাখনের চেয়ে পিনাট বাটার বেশি পছন্দ করেন। তার কারণ এতে কম পরিমাণে স্নেহপদার্থ এবং ক্যালোরি থাকা। ১০০ গ্রাম মাখনে ৭১৭ ক্যালোরি থাকে। সেখানে ১০০ গ্রাম পিনাট বাটারে ৫৬৭ ক্যালোরি থাকে।
Follow Us
দুধে যা যা পুষ্টিগুণ থাকে, তার বেশির ভাগই মাখনেও থাকে। বেশ কয়েক ধরনের ভিটামিন ছাড়াও প্রচুর স্নেহপদার্থ থাকে মাখনে। নিয়মিত মাখন খেলে রোগপ্রতিরোধ শক্তি বাড়ে। পিনাট বাটারেও নানা ধরনের ভিটামিন থাকে। তার সঙ্গে প্রোটিন, স্নেহপদার্থ, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস থাকে এতে। প্রচুর ফাইবার থাকার ফলে এটি সহজে হজম হয়। মেটাবলিজম বাড়াতে সাহায্য করে। ফলে ওজন নিয়ন্ত্রণে থাকে।
স্বাস্থ্য সচেতন অনেকেই মাখনের চেয়ে পিনাট বাটার বেশি পছন্দ করেন। তার কারণ এতে কম পরিমাণে স্নেহপদার্থ এবং ক্যালোরি থাকা। ১০০ গ্রাম মাখনে ৭১৭ ক্যালোরি থাকে। সেখানে ১০০ গ্রাম পিনাট বাটারে ৫৬৭ ক্যালোরি থাকে। চর্বির পরিমাণও পিনাট বাটারে অনেক কম। ১০০ গ্রামে ৫০ গ্রাম। সেখানে সম পরিমাণ মাখনে প্রায় ৮১ গ্রাম। তাই যাঁরা ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চান, পিনাট বাটার তাঁদের বেশি পছন্দের।
মাখনের চেয়ে পিনাট বাটারে প্রোটিনের পরিমাণও অনেকটাই বেশি। ১০০ গ্রাম পিনাট বাটারে ২৫ গ্রাম প্রোটিন রয়েছে। সেখানে সমপরিমাণ মাখনে প্রোটিন আছে মাত্র ১ গ্রাম। তা ছাড়া পিনাট বাটারে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিডও রয়েছে। যা মস্তিষ্ক, হাড়ের গঠনে সাহায্য করে।
আর কী কী হয় এই পিনাট বাটার খেলে? এটি শরীরের উপর কেমন প্রভাব ফেলে? হিন্দুস্তান টাইমসের একটি প্রতিবেদন থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী…
পিনাট বাটার নিয়মিত খেলে হার্ট ভাল থাকে। এমনই বলছে বিভিন্ন গবেষণা। এতে প্রচুর পরিমাণে নানা ধরনের ভিটামিন রয়েছে। তার মধ্যে ব্যাপক পরিমাণে রয়েছে ভিটামিন বি কমপ্লেক্স, ভিটামিন ই। এ ছাড়াও রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম, কপারের মতো খনিজ। এর সব ক’টিই হার্টের জন্য ভাল। ফলে রোজ সকালে পাউরুটির সঙ্গে পিনাট বাটার খেলে হৃদযন্ত্রের কিছুটা উপকার হয়। এমনই বলছেন চিকিৎসকরা। তবে বেশি পরিমাণে না খাওযারই পরামর্শ দেন তাঁরা। সেক্ষেত্রে শরীরে ভিটামিন ই প্রচুর পরিমাণে জমা হয়ে যেতে পারে।
এর দ্বিতীয় গুণটি হল পেট ভর্তি করে রাখা। পিনাট বাটার দীর্ঘ সময় পেট ভর্তি করে রেখে দেয়। জলখাবারে পিনা বাটার দিয়ে পাউরুটি খেলে দিনের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত পেট ভর্তি থাকে। তাতে খিদে কম পায়। কম খাওয়ার ফলে ওজন বৃদ্ধির আশঙ্কাও কমে।
হালের কয়েকটি গবেষণা বলছে, যাঁরা নিয়মিত পিনাট বাটার খান, তাঁদের ব্লাড সুগারও কিছুটা নিয়ন্ত্রণে থাকে। এই বাটারের কিছু উপাদান রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়তে দেয় না।
কলোম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টিবিদ্যা বিভাগের একটি পরিসংখ্যান বলছে, এই বাটার যাঁরা রোজ অল্প পরিমাণে খান, তাঁদের শরীরে বহু ধরনের কঠিন অসুখ বাসা বাঁধে না। ফলে তাঁদের আয়ুও বাড়তে পারে।