মেনুতে টোম্যাটোর চাটনি (Health care) হয়তো থাকে আপনার। অথবা সালাডে টোম্যাটো খেতে আপনি অভ্যস্ত। কিন্তু যাঁরা টোম্যাটো খান না? স্বাস্থ্য ভাল রাখতে টোম্যাটোর বহু গুণ রয়েছে। সেটা জানলে হয়তো টোম্যাটো খাওয়ার অভ্যেস করবেন আপনিও।
১) ওজন হ্রাস
টোম্যাটোর মধ্যে থাকা ভিটামিন এ, ভিটামিন কে, বি ওয়ান, বি টু, বি থ্রি, বি ফাইভ, বি সিক্স, ম্যাগনেশিয়াম, আয়রন এবং ফসফরাসের মতো উপাদান ওজন হ্রাসের ক্ষেত্রে ৮০ শতাংশ সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, রাতে শুতে যাওয়ার আগে অথবা ঘুম থেকে উঠে প্রথমেই এক গ্লাস টোম্যাটো জুস খান। এক মাসের মধ্যেই ফল দেখতে পাবেন।
২) ত্বকের উজ্জ্বলতা
সূর্যের অতি বেগুনি রশ্মি থেকে ত্বককে বাঁচাতে সাহায্য করে টোম্যাটো। এর মধ্যে থাকা অ্যান্টি অক্সিডেন্ট উপাদান ত্বক উজ্জ্বল করে। ব্রণর সমস্যা দূর করতেও টোম্যাটো ম্যাজিকের মতো কাজ করে। ফলে টোম্যাটোর ফেস প্যাকও যেমন ব্যবহার করতে পারেন, তেমনই টোম্যাটো খেলেও উপকার মিলবে।
আরও পড়ুন, করোনা ভ্যাকসিন সংক্রান্ত ৩০ হাজার ভুয়ো ভিডিয়ো বাতিল করল ইউটিউব
৩) প্রস্টেটের সমস্যায় উপকারী
যে সব খাবার খেলে প্রসেস্ট ক্যানসারের ঝুঁকি কমানো যায়, তার মধ্যে টোম্যাটো অন্যতম। বিভিন্ন গবেষণায় উঠে এসেছে এই তথ্য। প্রতি সপ্তাহে অন্তত ১০ গ্লাস টোম্যাটো জুস খেলে প্রস্টেট ক্যানসারের ঝুঁকি কমে যায় ৫০ শতাংশ।
৪) অ্যানিমিয়ার ওষুধ
টোম্যাটোর মধ্যে আয়রন রয়েছে। এছাড়াও রয়েছে নির্দিষ্ট পরিমাণে ভিটামিন সি। এই দুটোই অ্যানিমিয়া রোগীদের ক্ষেত্রে প্রয়োজন। সে কারণেই অ্যানিমিয়ার সমস্যা থাকলে টোম্যাটো খান নিয়মিত।
৫) হার্টের সুস্থতায়
যে কোনও রকম খেলার সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদের ডায়েটে টোম্যাটো থাকে। তার প্রধান কারণ, হার্ট ভাল রাখতে টোম্যাটো বন্ধুর মতো কাজ করে। ফলে হার্ট ভাল রাখতে নিয়মিত টোম্যাটো জুস খেতে পারেন।
আরও পড়ুন, কিডনিতে পাথর হয়েছে কি না, কোন কোন উপসর্গ দেখে বুঝবেন?
কীভাবে তৈরি করবেন
দুটো টোম্যাটো মিক্সিতে ব্লেন্ড করে নিন। তার সঙ্গে একটা পাতিলেবু, দুই টেবিল চামচ ভিনিগার দিয়ে ভাল করে মিশিয়ে নিন। স্বাদের জন্য অল্প গোলমরিচ যোগ করে খেতে পারেন।