রাতে ঠিকমতো ঘুম হয় না? কিংবা ঘুম এতই পাতলা যে সামান্য শব্দেও ভেঙে যায়? আর একবার ঘুম ভেঙে গেলে আর আসার নাম নেই। এমন পরিস্থিতির শিকার হলে, অনেকসময়েই দেখা যায় ওই নির্দিষ্ট ব্যক্তির ইনসমনিয়ার শিকার। অর্থাৎ অনিদ্রা রোগ দেখা দিয়েছে তাঁর।
প্রাক-করোনা পর্বের তুলনায় বর্তমানে অর্থাৎ কোভিড আবহে জনসাধারণের মধ্যে ঘুম নিয়ে সমস্যা বেড়েছে। ব্যাঘাত ঘটেছে ‘স্লিপ সাইকেল’- এ। রাতের ঘুমের বারোটা বেজে গিয়েছে। এদিকে সারাদিন ঢুলছেন আপনি। ঝিমানো ভাব আপনার সারাক্ষণের সঙ্গী। হালফিলের এই সমস্যাকেই বলা হচ্ছে ‘করোনাসমনিয়া’।
আরও পড়ুন- মাড়ি থেকে নিয়মিত রক্ত পড়ছে! কেন এমন হয়? সমাধানে কী কী করা উচিত
ঠিক কী কী কারণে দেখা দিচ্ছে করোনাসমনিয়া?
১। চাকরি হারানোর ভয়
২। আর্থিক অবস্থা, জমাপুঁজি নিয়ে চিন্তা
৩। করোনায় আক্রান্ত হলেন কিনা
৪। ওয়ার্ক ফ্রম হোমের দৌলতে অনিয়মিত জীবনযাপন
৫। স্বাস্থ্য নিয়ে সর্বক্ষণের চিন্তা
৬। ঘুমের কোনও নিয়মিত সময় নেই
উপরের ছয়টি সমস্যাই এখন আমাদের প্রায় সকলের জীবনের নিত্যসঙ্গী। আর এইসব চিন্তার কারণেই ক্রমাগত বাড়ছে স্ট্রেস। যার ফলে অবসাদ গ্রাস করছে মানুষকে। আর এইসব কিছুর সরাসরি প্রভাব পড়ছে আপনার ঘুমের অভ্যাসে। স্লিপিং সাইকেলের গন্ডগোলের ফলে ব্যাঘাত ঘটছে ঘুমে।
কীভাবে এড়াবেন বা কমাবেন এই সমস্যা?
১। ঘুমোতে যাওয়ার আগে ফোন বা ল্যাপটপ কিংবা ট্যাব ঘাঁটবেন না। বিছানায় শুতে গেলে সঙ্গে গ্যাজেট রাখা একেবারেই চলবে না। প্রয়োজনে গল্পের বই পড়ুন।
২। রাতের খাবার আর শুতে যাওয়ার সময়ের মধ্যে অন্তত তিন ঘণ্টার ব্যবধান রাখার চেষ্টা করুন।
৩। যাঁরা গান শুনতে ভালবাসেন, তাঁরা ঘুমোতে যাওয়ার আগে হাল্কা কোনও ইন্সট্রুমেন্ট যেমন- বাঁশি শুনতে পারেন।
৪। কাজের চাপ থাকলেও রোজ একই সময়ে শুতে যাওয়ার অভ্যাস করুন। সেই সঙ্গে পর্যাপ্ত ঘুম অর্থাৎ সাত থেকে আট ঘণ্টা অত্যন্ত প্রয়োজন।
৫। ঘুমানোর আগে অ্যালার্ম সেট করে নিন। তারপর বারবার ঘড়ি দেখবেন না। এর ফলে ঘুমে মারাত্মক ব্যাঘাত ঘটে।
৬। ঘুমাতে যাওয়ার আগে ক্যাফাইন জাতীয় কিছু একেবারেই খাবেন না। সেই সঙ্গে এমন কোনও সিনেমা দেখবেন না বা গল্পের বই পড়বেন না, যাতে আপনি উত্তেজিত হয়ে পড়েন।