সেই আদ্যিকাল থেকে ভারতীয় সংস্কৃতিতে প্রথম পাতে শাক খাওয়ার রীতি রয়েছে। এর বৈজ্ঞানিক কিন্তু কারণও রয়েছে। শরীরে যাবতীয় পুষ্টির ঘাটতি মেটায় এই শাক। তাই পুষ্টিবিদরা সবদিন শাক খাওয়ার কথা বলেন। তবে বর্ষাকালে শাক এড়িয়ে চলারই পরামর্শ দেন সকলে। যেহেতু বর্ষাকালে চারিদিকে নোংরা জলের সমস্যা বাড়ে। অধিকাংশ শাকই জলে জন্মায়। ফলে পোকামাকড় থেকে সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকে। তবে বর্ষায় বাজারে সবচেয়ে বেশি পাওয়া যায় নটে আর কলমি শাক। তাই বর্ষার দিনে স্বাস্থ্যের কথা মাথায় রেখে ভাল করে ধুয়ে খেতেই পারেন কলমি শাক। কলমি শাকের কিন্তু প্রচুর উপকারিতা রয়েছে। গরম ভাতে রসুন-পেঁয়াজ ফোড়ন দিয়ে এই শাক খেতে বেশ ভাল লাগে।
কলমি শাকের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণে ক্যালশিয়াম। শরীরের একাধিক কাজে লাগে দাঁত ও হাড়ের গঠনে কাজে লাগে এই ক্যালশিয়াম। এছাড়াও কলমি শাকের মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি। যা শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। এছাড়াও উপাদান হিসেবে থাকে আয়রন। যে কারণে অ্যানিমিয়ার রোগীদের রোজ এই শাক খাওয়া উচিত।
শরীরে রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা বাড়ায় এই শাক। ফলে একাধিক সংক্রমণের হাত থেকে রেহাই পায় আমাদের শরীর।
নিয়মিত কলমিশাক খেতে পারলে খিদেমন্দা দূর হয়। হজম শক্তি ভাল হয় সেই সঙ্গে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও দূর হয়। আয়ুর্বেদে বলা হয় কলমিশাকের রসের সঙ্গে গুড় মিশিয়ে খেতে পারলে পেটের অনেক সমস্যা দূর হয়ে যায়।
রোজ কলমি শাক খেলে হার্টের সমস্যাও দূর হয়ে যায়। স্ট্রোকের সম্ভাবনা কমে। এছাড়াও সুগারের রোগীদের জন্য উপকারী হল কলমি শাক। ক্যানসারের ঝুঁকি কমাতে রোজ খেলে উপকার পাবেন। সেই সঙ্গে দৃষ্টিশক্তি ভাল রাখতেও কিন্তু ভূমিকা রয়েছে এই শাকের।
রাতে কিছুতেই ঘুম আসছে না? রোজ নিয়ম করে ভাতের সঙ্গে কলমি শাক ভাজা খান। ঘুমের যাবতীয় সমস্যা দূর হয়ে যাবে। কাটবে ক্লান্তিভাব। কলমি শাকের মধ্যে এমন কিছু উপাদান থাকে যা আমাদের মনকে তৃপ্ত করে। সেই কারণেই রোজের পাতে অবশ্যই একটু করে রাখুন কলমি শাক।
ত্বকের যাবতীয় সমস্যা দূর করতেও উপকারী এই শাক। বর্ষায় বাড়ে বিভিন্ন ত্বকের সমস্যা। যে কোনও স্কিন র্যাশ দূর করতেও ভীষণ রকম উপকারী এই শাক। তাই রোজ গরম ভাতে এক চামচ মেখে খান এই কলমি শাক। ছোট থেকে বাচ্চাদেরও তা অভ্যাস করান।