Heart Blockage: হার্ট ব্লকেজ! এই উপসর্গগুলি দেখেও এড়িয়ে যাচ্ছেন না তো?
Heart Blockage Symptoms in Body: যার ফলে হার্ট অ্যাটাক বা কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের সম্ভাবনাও বেড়ে যায়। সমস্যাটি এত সুক্ষ্ণভাবেই হয় যে সহজে বোঝা যায় না। উপসর্গও বুঝতে সমস্যা হয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এই ছোট ছোট উপসর্গগুলোকে এড়িয়ে যান। সমস্যা তৈরি হয় পরবর্তীতে।

হৃদযন্ত্রের সমস্যা যে কারও হতে পারে। ফ্যাট, কোলেস্টোরেল এবং হার্টের রক্তনালীতে কিছু জমে থাকলে সমস্যা হতে পারে। করোনারি আর্টারিতে রক্ত চলাচলে সমস্যা হয়। ধীরে ধীরে রক্ত সঞ্চালন মন্থর হয়ে যায়। হার্টে পর্যাপ্ত পরিমাণে রক্ত সঞ্চালন না হলে ঠিকঠাক অক্সিজেন, পুষ্টিও পৌঁছয় না। সময়ের সঙ্গে এই ব্লকেজ আরও বড় আকার ধারণ করে। যার ফলে হার্ট অ্যাটাক বা কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের সম্ভাবনাও বেড়ে যায়। সমস্যাটি এত সুক্ষ্ণভাবেই হয় যে সহজে বোঝা যায় না। উপসর্গও বুঝতে সমস্যা হয়। বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এই ছোট ছোট উপসর্গগুলোকে এড়িয়ে যান। সমস্যা তৈরি হয় পরবর্তীতে।
হার্ট ব্লকেজের নানা কারণ থাকতে পারে। অস্বাস্থ্যকর, অনিয়মিত দৈনন্দিন জীবন যাপন তার অন্যতম কারণ। এছাড়ও অতিরিক্ত তেল দেওয়া কিংবা ফ্যাট যুক্ত খাবার। ধূমপান, মদ্যপানের কারণেও এমন হতে পারে। এর পাশাপাশি উচ্চ রক্তচাপ, হাই কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিসও রয়েছে এই কারণগুলির মধ্যে।
চিকিৎসকের মতে, প্রাথমিক ভাবে যে উপসর্গগুলো দেখা যেতে পারে-ক্লান্তি, শ্বাস প্রশ্বাসে সমস্য়া। যা অনেকেই গায়ে মাখেন না। ব্লকেজ বাড়তে থাকলে ব্যথা, বুকে চাপ লাগা এবং জ্বালাও হতে পারে। বিশেষ করে হাঁটা কিংবা পরিশ্রমের কোনও কাজের সময় এগুলি আরও বেশি করে হয়। ব্যথা শুধু বুকেই নয়, বাঁ হাত, গলা, চোয়াল এবং পিঠেও হতে পারে।
হার্ট ব্লকেজ কীভাবে প্রতিরোধ করা যেতে পারে? প্রাথমিক ভাবে কয়েকটি জিনিস অবশ্যই মেনে চলা উচিত। যেমন স্বাস্থ্যকর ডায়েট, রোজ অন্তত আধঘণ্টা এক্সারসাইজ, ধূমপান এবং মদ্যপান থেকে বিরত থাকা, নিয়মিত ভাবে ব্লাড প্রেসার, কোলেস্টেরল, সুগার পরীক্ষা, স্ট্রেস কমানো এবং সবচেয়ে জরুরি, পর্যাপ্ত ঘুম।
বিধিবদ্ধ সতর্কীকরণ: এই প্রতিবেদনের উদ্দেশ্য শুধুমাত্র তথ্য জানানো। কোনও রকম সমস্যা কিংবা দ্বিধা থাকলে অবশ্যই বিশেষজ্ঞ অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।





