প্যান্ডেমিক আমাদের মধ্যে এমন একটা সম্ভাবনার তৈরি করেছে যে সব সময়ই একটা ভয়ার্ত ভাব আমাদের মধ্যে ঘুরে চলেছে। এখন পরিস্থিতি অনেকটা স্বাভাবিক হলেও, অনেকের মধ্যেই একটা শকের মতো থেকে গেছে এই প্যান্ডেমিক। সেই শক থেকে বেরিয়ে আসার একমাত্র উপায় হল হাসি।
হাসিই হল সবচেয়ে আশাবাদী, শক্তিশালী এবং যোগাযোগ যোগ্য একটা ভঙ্গি। হাসি খুব সহজেই যে কোনও ব্যক্তির মন জয় করে নিতে পারে। এমনকি হাসির মাধ্যমে অসুস্থ ব্যক্তিও সুস্থ হয়ে উঠতে পারে। লাফ থেরাপি বলে একপ্রকারের ব্যায়ামের কথা তো আমরা সকলেই জানি। হাসি মুখের ঔজ্জ্বল্য ও সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। এর পাশাপাশি স্বাস্থ্যের পক্ষেও অত্যন্ত উপযোগী এটি। এ কারণে বর্তমানে লাফ্টার ক্লাবের জনপ্রিয়তাও ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। নানান সমীক্ষা থেকে হাসির একাধিক উপকারিতা সম্পর্কে জানা যায়। অজান্তেই হাসির মাধ্যমে আপনার শরীরে নানান ধরণের পরিবর্তন ঘটতে থাকে। চিন্তা নেই, এই পরিবর্তনগুলোর মধ্যে কোনওটাই ক্ষতিকর না।
হৃদযন্ত্রের জন্য ভাল- হাসির ফলে রক্তচাপ নিয়ন্ত্রিত থাকে। শরীরকে স্বস্তি দেয় এবং হার্ট রেট কম করে। যত কম স্ট্রেস নেবেন, তত বেশি সুস্থ থাকবে আপনার হৃদয়। আর আপনি মানসিকভাবে সুস্থ থাকলেই তো আপনার হাসি ভেতর থেকে আসবে। আর মানসিকভাবে সুস্থ থাকাই আপনার হৃদযন্ত্রকে ভাল রাখতে পারে।
মস্তিষ্কের পক্ষে উপযোগী- মস্তিষ্কে চাপ যত কম দেবেন, আপনার কর্মক্ষমতা তত বাড়বে। আমরা যখন হাসি তখন শরীর থেকে এন্ডোর্ফিন নিঃসৃত হয়, যা ব্যক্তিকে আনন্দিত ও চাপমুক্ত রাখে। এর ফলে মন মেজাজও বেশ ফুরফুরে থাকে।
রোগ প্রতিরোধে সাহায্য করে- শুধু হৃদযন্ত্র ও মস্তিষ্কের ওপরই নয়, বরং রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থার ওপরও হাসি ইতিবাচক প্রভাব বিস্তার করে থাকে। হাসলে শরীর বিশ্রাম ও স্বস্তি পায়, যার ফলে আমাদের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থা ভাল ভাবে কাজ করতে পারে। তাই প্রতিদিন হাসতে থাকলে সাধারণ সর্দি-কাশিকে সহজেই দূরে রাখতে পারবেন।
প্রাকৃতিক পেন-কিলার- হাসার সময় শরীর থেকে সেরোটোনিন এবং এন্ডোর্ফিন নিঃসৃত হয়। এন্ডোর্ফিন একটি প্রাকৃতিক পেন-কিলারের কাজ করে। আবার সেরোটোনিন একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিডিপ্রেসেন্ট।
বয়স কম দেখাবে- নানান সমীক্ষা থেকে জানা গিয়েছে যে, হাসার ফলে বয়স কম দেখায়। সমীক্ষার ফলাফল অনুযায়ী আপনার মুখের হাসি গড়ে বয়স কমাতে পারে ৩ বছর।
আরও পড়ুন: Identifying Thyroid: ঠিক কী কী লক্ষণ দেখলে বুঝবেন যে আপনি থাইরয়েডের শিকার? এই লক্ষণগুলি জেনে নিন…