Blood Sugar: কোভিড পরবর্তীতে চড়চড়িয়ে বাড়ছে ব্লাড সুগার? সুস্থ থাকুন আয়ুর্বেদের সাহায্যে
Post Covid High Blood Sugar: করোনা থেকে সেরে ওঠার পর, রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে আয়ুর্বেদ শাস্ত্রের কী কী নিয়ম মেনে চলবেন, দেখে নিন।
করোনা থেকে সেরে ওঠার পর অনেকেই বলছেন, চড়চড় করে বাড়ছে তাঁদের ব্লাড সুগারের লেভেল। রক্তে শর্করার মাত্রা লাগামছাড়া হওয়া কখনই কারও পক্ষেই মঙ্গলজনক নয়। বিশেষ করে ডায়াবেটিস আক্রান্তদের ক্ষেত্রে এমন লক্ষণ যথেষ্টই উদ্বেগের। এই করোনা আবহে মূলত মানসিক চাপ, অবসাদ, স্ট্রেস, অ্যাংজাইটি সর্বোপরি জীবনের স্বাভাবিক ছন্দে ব্যাঘাত ঘটার কারণেই এইসব সমস্যা দেখা দিচ্ছে। কারণ এত ঝামেলার মধ্যে হয়তো সঠিক ভাবে নিয়ম মেনে চলা সম্ভব হয়নি। আর ডায়াবেটিসের রোগীদের ক্ষেত্রে একটু অনিয়ম হওয়া মানেই মাথাচাড়া দেবে নানা সমস্যা। বাড়তে থাকবে ব্লাড সুগারের মাত্রা।
এক্ষেত্রে আয়ুর্বেদের সাহায্যে বেশ কিছুটা উপকার পাওয়া সম্ভব। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রের কয়েকটি বিষয় ঠিকভাবে মেনে চললে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে রক্তে শর্করার মাত্রা কমে যাবে। তাই কোভিড পরবর্তী পর্যায়ে যাঁদের ব্লাড সুগার আচমকাই বাড়তে শুরু করেছে, তাঁরা কী কী নিয়ম মেনে চলছে সমস্যার সমাধান হবে, তা দেখে নিন।
১। প্রতিদিন নিয়ম করে আমলকি এবং হলুদ খাওয়া শুরু করুন। খাবার খাওয়ার অন্তত এক ঘণ্টা আগে এক চামচ আমলকি গুঁড়ো এবং এক চামস হলুড গুঁড়ো বা দুটই কাঁচা অবস্থায় কিংবা হাল্কা সেদ্ধ করে খেয়ে নিন।
২। একদিন ছাড়া ছাড়া আপনার মেনুতে থাকুক লাউ এবং মোরিঙ্গার স্যুপ। এই মোরিঙ্গা হল এমন এক ধরনের গাছ যাকে সাধারণত বলা হয় ড্রামস্টিক ট্রি।
৩। চিনি, দই, ছাঁকা তেলে ভাজা জিনিসপত্র, হোয়াইট ফ্লাওয়ার বা সাদা আটা এবং ফার্মেন্টেড খাবার-দাবার খাওয়া একদম কমিয়ে দিন। তার বদলে ডায়েটে যুক্ত করুন বেসন, রাগি কিংবা জোয়ারের আটা। একদিন বাদ দিয়ে ভাত খাবেন। অর্থাৎ সপ্তাহে অল্টারনেটিভ ডে তে- মেনুতে ভাত রাখুন।
৪। খাবারের পর বজ্রাসন অভ্যাস করুন। অর্থাৎ বজ্রাসন যে পোজে করতে হয়, সেভাবে বসুন।
৫। পালক, মেথি, লাউ, করোলা, মোরিঙ্গা এই জাতীয় সবজি বেশি করে খান। সেই সঙ্গে জাম, আপেল, পেঁপে, আমলিকি, বেদানা— এইসব ফলও থাকুক রোজের খাবারে। ভেজিটেবল স্যুপ, ডালের স্যুপ বা সবজি দিয়ে তৈরি চিল্লাও খেতে পারেন।
৬। নিয়মিত যোগাসন অভ্যাস করুন। Mandukasana, Shashankasana, Bhujangasana, Dhanurasana— এইসব যোগাসন করুন। নিয়ম করে প্রতিদিন ৪৫ মিনিট প্রাণায়ম এবং যোগাসন অভ্যাস করবেন। প্রাণায়ামের মধ্যে অতি অবশ্যই থাকতে হবে কপালভাতি এবং অনুলোমা-বিলোমা।
৭। প্রতিদিন অন্তত ৫ হাজার স্টেপ হাঁটা প্রয়োজন। হাঁটলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে থাকে। তাই সকাল ৯টার আগে সূর্যালোকের মধ্যে ২০ মিনিট রোজ হাঁটতে হবে।
আরও পড়ুন- কলকাতার আরুষি পেল ডায়না পুরস্কার