Summer Cold: তীব্র দাবদাহের পর গত দুদিন স্বস্তির বৃষ্টি রাজ্যের সর্বত্রই। রবিবার রাতে দক্ষিণবঙ্গের অনেক জেলাতেই কালবৈশাখীর দাপটে প্রচুর পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে। হয়েছে ঝড়ও। ফলে দীর্ঘদিন পর রাতের ঘুম খানিকটা আরামের হয়েছে। এপ্রিলের শেষে যে ভাবে চড়ছিল তাপমাত্রা তাতে রাজ্যের অনেক জেলাতেই তাপমাত্রা ছিল ৪৪ ছুঁই ছুইঁ। সেই সঙ্গে চলেছে তাপপ্রবাহও। যার জেরে প্রচুর মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছিলেন। অতিরিক্ত রোদ-গরমে শরীরে ক্লান্তিও ছিল বেশি। আর গরমে ঘেমে-নেয়ে এসির মধ্যে থাকলে কিছুটা সময়ের জন্য শরীর স্বস্তি পায় ঠিকই কিন্তু তার সঙ্গে ঠান্ডা লেগে যাওয়ারও সম্ভাবনা থাকে। এসি আর বাইরের তাপমাত্রার ফারাকের জন্য চট করে সর্দি লেগে ঠান্ডা বসে যায়। সেই সঙ্গে মরশুমের কালবৈশাখীর অনন্দে অনেকেই বৃষ্টিতে ভিজেছেন। কেউ আবার নিতান্ত পরিস্থিতির শিকার হয়ে ভিজে গিয়েছেন। রাতে বৃষ্টিতে ভেজার পর পরদিন সকালে ঘুম থেকে উঠেই গলা ব্যথা, গলা জ্বালা করা, শুকিয়ে যাওয়া এমন সমস্যা কি আপনারও হচ্ছে? তাহলে আপাতত কয়েকদিন আর ফ্রিজের ঠান্ডা জল নয়। বরং মেনে চলুন এই সব ঘরোয়া টোটকা।
যতই গরম লাগুক না কেন, গরম জলে নুন বা খাবার সোডা ফেলে গার্গল করতে ভুলবেন না। এতে সংক্রমণের হাত থেকে যেমন মুক্তি পাওয়া যায় সেই সঙ্গে আরামও মেলে। দিনের মধ্যে অন্তত তিন থেকে চারবার গার্গল করুন। এছাড়াও ঠান্ডা লাগলে যে গলা জ্বালা করে সেই অনুভূতির হাত থেকেও কিন্তু রেহাই মেলে এভাবে গার্গল করলে।
কোভিড কাল থেকেই বেশ জনপ্রিয় হলুদ-দুধ। গলা ব্যথা বা ঠান্ডার লধাত থাকলে রোজ রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে চুমুক দিন এই দুধে। দুধের মধ্যে কাঁচা হলুদ থেঁতো করে দিয়ে ফুটিয়ে নিন। এবার তা ছেঁকে খান। মিষ্টি স্বাদ চাইলে তালমিছরি দিতে পারেন। এতে গলা ব্যথা কিংবা গলার সংক্রমণ থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে। সেই লঙ্গে গলা চুলকোনো, ঠান্ডা ভাব, কাশিও কিন্তু কমবে।
লবঙ্গ, এলাচ, দারচিনি, গোলমরিচ, আদা, তুলসি পাতা, তেজপাতা দিয়ে ভাল করে ফুটিয়ে নিয়ে খান। অন্তত দুবার। এতে গলা আরাম পাবে। কাশি কমবে। সেই সঙ্গে যদি কোনও ব্যারকটেরিয়ার সংক্রমণ হয়ে থাকে তার হাত থেকেও মিলবে রেহাই।
অ্যাপেল সিডার ভিনিগার আর মধু একসঙ্গে মিশিয়ে খান। এতে গলা ব্যথা কমবে, কাশিও কমবে। যদি কফ থাকে তাও দূর হয়ে যাবে। সকালে ঘুম থেকে উঠে ইষদুষ্ণ জলে একচামচ অ্যাপেল সিডার আর মধু মিশিয়ে নিন।
**তবে এই কয়েকদিন ফ্রিজের ঠান্ডা জল, কোল্ড ড্রিংক, আইসক্রিম এবং এসির হাওয়া এড়িয়ে চলুন। নইলে বাড়বে বিপদ। আরও একাধিক সমস্যা জাঁকিয়ে বসবে।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।