বাচ্চাদের খাওয়া নিয়ে হাজার একটা বায়না থাকে। যেহেতু কম বয়স কম, তারা বোঝে না যে তাদের শরীরের জন্য কোনটা ঠিক আর কোনটা ক্ষতিকারক। অনেক সময় বাবা-মায়েরাও বুঝতে পারেন না যে তাঁর বাচ্চার কোন খাদ্যে অ্যালার্জি রয়েছে যা কোনটা খাবার খেলে তার বদ হজম হতে পারে।
কিন্তু সমস্যা হল, কিছু কিছু কারণে বাচ্চাদের মধ্যে নানান পেটের সমস্যায় দেখা দেয়। আর এই যাবতীয় পেটের সমস্যা থেকে রেহাই দিতে আয়ুর্বেদিক শাস্ত্র কয়েকটি ঘরোয়া প্রতিকারের কথা উল্লেখ করেছে। তার আগে জেনে নিন বাচ্চা মধ্যে হওয়া গ্যাস্ট্রিকের কারণগুলি কী কী।
বাচ্চা মধ্যে গ্যাস্ট্রিকের সমস্যার একাধিক কারণ হতে পারে। যেমন- অতিরিক্ত খাওয়া, মায়েদের দ্বারা শিশুকে অতিরিক্ত খাওয়ানোর ক্ষেত্রে, ভাজা জাতীয় খাবার, জাঙ্ক ফুড, কিছু খাবারের সংবেদনশীলতা বা অ্যালার্জি, ল্যাকটোজ বা দুগ্ধজাত পণ্যের সংবেদনশীলতা, ফুলকপি, মুলো, বাঁধাকপি, মটরশুটি, ব্রকলি ইত্যাদি সবজিতে গ্যাস হতে পারে, শিশুদের মধ্যে অত্যন্ত সাধারণ একটি সমস্যা হল কৃমির উপদ্রব, আমাশয়, দূষিত জল খাওয়া ইত্যাদি হতে পারে।
গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা থেকে রেহাই পাওয়ার ঘরোয়া প্রতিকার
১) এক চামচ হিং-এর সঙ্গে এক চামচ ঘি হালকা গরম করে আপনার বাচ্চার পেটের ওপর দিনে চার থেকে পাঁচবার মালিশ করুন। এতে পেটের যন্ত্রণা থেকে রেহাই পাওয়া যাবে।
২) ক্যাস্টর তেলকে গরম করে পেটের ওপর প্রয়োগ করুন, এরপর সেই অংশকে পান পাতা দিয়ে ঢেকে দিন।
৩) এক লিটার উষ্ণ গরম জলে দু চামচ জিরে ভিজিয়ে রাখুন। ওই এক লিটার জলটা আপনার শিশুকে পান করান। এতে হজম ক্ষমতা উন্নত হবে এবং বদ হজমের সমস্যা থেকে আপনার শিশু রেহাই পাবে।
৪) এক লিটার জলে একটি আদার সঙ্গে এক চামচ হিং এবং পরিমাণ মত শোধা লবণ মিশিয়ে নিন। সেই জলটা আপনার শিশুকে বার বার পান করান।
৫) আপনার শিশুর যদি কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা থেকে থাকে তাহলে অর্ধেক কাপ জলে এক চামচ ঘি এবং নুন মিশিয়ে রাতে ঘুমনোর আগে পান করান।
৬) এক কাপ গরম জলে এক চামচ ভাজা মৌরি, আদার টুকরো, অল্প হিং এবং নুন দিয়ে মিশিয়ে খাবার খাওয়ার পর আপনার সন্তানকে পান করান। এতে আপনার শিশুর স্ফীতভাব নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
৭) হজম ক্ষমতাকে উন্নত করতে দইয়ের সঙ্গে জল মিশিয়ে পান করান। তাতে স্বাদের জন্য জিরে গুঁড়ো, নুন, আদা এবং পুদিনা পাতা যোগ করতে পারেন।
8) আপনার শিশুর যদি ডায়েরিয়া হয় তাহলে এক কাপ জলে আদা দিয়ে ফুটিয়ে নিন। সেই উষ্ণ গরম জলে অল্প হলুদ মিশিয়ে পান করান।
আরও পড়ুন: করোনার তৃতীয় ঢেউ থেকে বাঁচাতে আপনার শিশুদের সঠিক ডায়েট প্ল্যান করবেন কীভাবে?