Child Nutrition Tips: করোনার তৃতীয় ঢেউ থেকে বাঁচাতে আপনার শিশুদের সঠিক ডায়েট প্ল্যান করবেন কীভাবে?

তৃতীয় ঢেউয়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে শিশুরা, এমনটাই আপাতত মনে করা হচ্ছে। তাই, এখন থেকেই শিশুদের পুষ্টির দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে।

Child Nutrition Tips: করোনার তৃতীয় ঢেউ থেকে বাঁচাতে আপনার শিশুদের সঠিক ডায়েট প্ল্যান করবেন কীভাবে?
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 06, 2021 | 1:13 PM

একটি শিশুর সামগ্রিক বৃদ্ধি কিংবা বিকাশ পুরোটাই একটা সুষম আর পুষ্টিকর খাবারের উপর নির্ভর করে। একটি শিশুর জ্ঞানের বিকাশ এবং রোগ প্রতিরোধের জন্য সুষম খাবার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে দুই থেকে ছয় বছর বয়স পর্যন্ত এটি বিশেষ ভাবে কার্যকর। এর কারণ এই সময়ে শিশুদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশ সবচেয়ে বেশি হয় আর তাই এই সময়ে তাদের শরীরে সর্বোচ্চ পুষ্টির প্রয়োজন।

ভারতের মতো উন্নয়নশীল দেশে কোভিডের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের মূল উপাদান হল সঠিক পুষ্টি আর সুস্থ জীবনযাপন। শাকসবজি, ফল, প্রোটিন, দুধ এবং সিরিয়ালে সমৃদ্ধ সুষম খাদ্য আজকের দিনে অপরিহার্য। তারা শুধুমাত্র একটা শিশুকে সঠিক পুষ্টির যোগান দেবে না বরং আসন্ন তৃতীয় ঢেউয়ের সঙ্গে মোকাবিলা করার ক্ষেত্রেও সাহায্য করবে। তৃতীয় ঢেউয়ে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে শিশুরা, এমনটাই আপাতত মনে করা হচ্ছে। তাই, এখন থেকেই শিশুদের পুষ্টির দিকে বিশেষ নজর দিতে হবে।

আপনার সন্তানের ডায়েট কীভাবে প্ল্যান করবেন?

ব্রেকফাস্ট:

গবেষণা বলছে, স্বাস্থ্যকর ব্রেকফাস্টের পর দিনের বেলা শিশুদের বেশি সক্রিয় এবং সতর্ক থাকতে দেখা গেছে। সকালের ব্রেকফাস্টে কার্বোহাইড্রেট এবং প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার যেমন স্টাফড পরটা, পনির পরটা, ডিমের স্যান্ডউইচ বা ভেজ স্যান্ডউইচ খাওয়া উচিত। বাচ্চাদের দুধের সঙ্গে সিরিয়াল, ফল, আমন্ড মিশিয়ে খেতে দেওয়া যেতে পারে। এছাড়াও জুস এবং তাজা ফলের সঙ্গে দই খেতে পারে যাতে তারা সারা দিনের জন্য স্ট্যামিনা পেতে পারে। ব্রেকফাস্ট দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ খাবার কারণ প্রায় ৮ থেকে ১০ ঘণ্টা না খেয়ে থাকার পর আমরা ব্রেকফাস্ট করি। এটা আমাদের স্ট্যামিনা লেভেল বাড়ানোর জন্য গ্লুকোজের সরবরাহ বজায় রাখতে সাহায্য করে। এর পাশাপাশি ভাল স্বাস্থ্যের জন্য অন্যান্য প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে।

লাঞ্চ এবং ডিনার:

লাঞ্চ এবং ডিনারে ডাল (ডাল বা মুসুরের স্যুপ), একটি নিরামিষখাবার (ইচ্ছে হলে), রুটি (চাপাতি/হাত রুটি), ভাত, সবজি, স্যালাড, দই বা রাইতা খাওয়া উচিত। এই ডায়েট কার্বোহাইড্রেট, প্রোটিন, ভিটামিন এবং প্রয়োজনীয় খনিজ যেমন আয়রন এবং ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ হয়। এগুলি শিশুদের বৃদ্ধি এবং সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য ভাল।

স্ন্যাক্স:

শিশুরা বাড়িতে থাকার সময় অল্প খিদে পেলেই যা হোক কিছু খাবার নিয়ে খেয়ে নেয়। তাই, তেলের জিনিস খাওয়া থেকে শিশুদের সরিয়ে রাখা খুব দরকার। অতিরিক্ত তেলের জিনিস হজম করা ওদের পক্ষে কঠিন হতে পারে। এছাড়া স্ন্যাকিংয়ের ফ্রিকোয়েন্সি খুব বেশি হলে অবাঞ্ছিত ওজন বেড়ে যেতে পারে। অনেক বেশি চিনিযুক্ত খাবার, মিষ্টি এবং চকলেটও এড়িয়ে চলতে হবে। এর সঙ্গে জল খাওয়ার পরিমাণ যথাযথভাবে মেনে চলতে হবে।

খাবারে ফ্যাটের গুরুত্ব:

ফ্যাট শক্তি দেয়। ছোট বাচ্চাদের, বিশেষ করে, মস্তিষ্ক এবং স্নায়ুতন্ত্রের স্বাভাবিক বিকাশে সাহায্য করার জন্য তাদের খাদ্যে ফ্যাটের বিশেষ প্রয়োজন। শরীরের জন্য জ্বালানি সরবরাহ করা ছাড়াও ফ্যাট শরীরকে কিছু ভিটামিন শোষণ করতে সাহায্য করে। কিন্তু তেল, ঘি, পনির এবং মাখন পরিমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত।

আরও পড়ুন: রোস্টেড আমন্ড না কি ভেজানো আমন্ড, কোনটা বেশি স্বাস্থ্যকর এবং কেন?