Winter Cough: শীতকালে বাচ্চাদের হঠাৎ সর্দি কাশি হওয়া থেকে সুরক্ষিত রাখবেন কীভাবে? সবিস্তারে জেনে নিন…
শীতকালে বাচ্চাদের স্বাস্থ্যের দিকে বিশেষ গুরুত্ব দিতে হবে। চট করেই ঠাণ্ডা লেগে যেতে পারে তাদের। আর একবার ঠাণ্ডা লাগলে প্রচণ্ড কষ্টের মধ্যে দিয়ে যেতে হয় তাদের। তাই, বাচ্চার স্বাস্থ্য সুরক্ষিত রাখার এই ঘরোয়া উপায়গুলি জেনে নিন...
শীতের শুরুতে বাচ্চাদের ঠাণ্ডা লেগে যায় খুব সহজেই। আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণেই এই ধরনের অসুবিধের শুরু হয়। প্রাপ্তবয়স্কদেরই নানা ধরনের অসুখের মুখোমুখি পড়তে হয়। সেখানে বাচ্চাদের অনাক্রম্যতা এমনিতেই অনেকটা কম থাকে আর সেই কারণেই খুব তাড়াতাড়ি তারা সর্দি কাশিতে ভুগতে পারে। আর এই সর্দি কাশি থেকে শিশুদের রক্ষা করতে কিছু ঘরোয়া পদ্ধতি মেনে চললেই হবে।
শুকনো আদার সঙ্গে এক চামচ মধু:
এক চিমটি শুকনো আদার সঙ্গে এক চামচ মধু মিশিয়ে শিশুকে খাওয়ান, এতে শুকনো কাশির কষ্ট থেকে মুক্তি পাবে। যদি সর্দি বুকে বসে যায় তাহলে এক চিমটি গোলমরিচ গুঁড়োর সঙ্গে এক চা চামচ মধু মিশিয়ে শিশুকে খাওয়ান, সর্দি বেরিয়ে যাবে। আপনার শিশুর বয়স যদি এক বছরের কম হয়, তা হলে কিন্তু ঠান্ডা লাগার ঘরোয়া টোটকা হিসেবে মধু ব্যবহার করবেন না।
রসুন তেল মালিশ:
আধ চা চামচেরও কম পরিমাণ কালো জিরে, দু’কোয়া রসুন এবং এক কাপ ঘানির সর্ষের তেল গরম করে সেই তেলটি দিয়ে বাচ্চার বুক-পিঠ মালিশ করুন। অনেকসময়ে সর্দি বুকে জমে যায়, কাজেই বুকে ও পিঠে ভাল করে মালিশ করুন। রাতে শোওয়ার আগেও বাচ্চার পায়ের তলায় এবং গলায় ওই তেলটি দিয়ে মালিশ করুন এবং তারপরে আর জল যেন না লাগে সেদিকে খেয়াল রাখবেন।
কাঢ়া:
শুধু শিশুদের জন্য না, বড়দের জন্যও সর্দি-কাশি দূর করার মোক্ষম দাওয়াই এই ঘরোয়া টোটকা। এক টেবিল চামচ গুড়, দুটি গোটা গোলমরিচ, এক কাপ জল এবং এক চিমটি জিরে একসঙ্গে নিয়ে ফুটিয়ে নিন। তৈরি হয়ে যায় কাঢ়া। এবারে দু’চামচ করে শিশুকে খাওয়ান। ছোট বাচ্চাদেরকে একবারে দু’চামচের বেশি খাওয়াবেন না, কারণ গুড় ও গোলমরিচ শরীরে তাপ উৎপন্ন করে, যা শিশুদের পক্ষে অস্বস্তিকর হতে পারে।
কিছু সতর্কতা:
- প্রথমত যে ঘরোয়া টোটকাই ট্রাই করুন না কেন, তা যেন আপনার শিশুর বয়স অনুপাতে হয়। আপনার শিশুর বয়স বছর খানেক বা তার কম হলে কিন্তু তার ঠান্ডা লেগে সর্দি-কাশি হলে তাকে চাইলেও স্টিম নেওয়াতে পারবেন না। সেক্ষেত্রে ঊষ্ণ তেল মালিশ করলে কাজে দেবে।
- সর্দি-কাশি অল্প থাকতেই তার চিকিৎসা করান, বাড়াবাড়ি হয়ে গেলে নিমোনিয়া পর্যন্ত হয়ে যেতে পারে।
- শীতকালে যাতে শিশুর ঠান্ডা না লাগে সেজন্য কিছুক্ষণ হলেও শিশুকে রোদে রাখুন। এতে ভিটামিন ডি শরীরে ঢুকবে এবং শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাও বাড়বে।
- ছোট বাচ্চারা এই হালকা শীতে গরম পোশাক পরতে চায় না, কিন্তু একটা পাতলা জ্যাকেট বা সোয়েটার তাকে পরিয়ে রাখুন; বিশেষ করে ভোরে এবং রাতের দিকে।
- খেয়াল রাখুন, আপনার বাচ্চা যাতে ঠান্ডা খাবার বা পানীয় না খায়।
- একদম ছোট বাচ্চাকে ধরার আগে ভাল করে সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিন যাতে জীবাণু না ছড়ায়।
আরও পড়ুন: World Toilet Day 2021: মহিলারা ইউরিনের বেগ চেপে রাখছেন! বাড়ছে ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশনের ভয়!
আরও পড়ুন: Eye Problems: ডিজিটাল স্ট্রেন আর কাজের চাপ থেকে চোখকে সুরক্ষিত রাখবেন কীভাবে?