TV9 Bangla Digital | Edited By: রেশমী প্রামাণিক
Jun 17, 2022 | 10:18 AM
বিশ্বজুড়ে বাড়ছে ডায়াবেটিস আক্রান্তের সংখ্যা। সমস্যা বাড়লেও সঠিক চিকিৎসা এবং ডায়াবেটিসের কারণ এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি। ডায়াবেটিস হল ক্রনিক সমস্যা। মূলত রোজকারের জীবনযাপন, খাওয়া দাওয়া এবং স্ট্রেস এর জন্য দায়ী। খুব কম বয়স থেকেই এখন শরীরে জাঁকিয়ে বসছে এই টাইপ ২ ডায়াবেটিস।
ডায়াবেটিসের সমস্যা থাকলে শরীরে রোগ-প্রতিরোধক ক্ষমতা কমে যায়। বেড়ে যায় সংক্রমণের ঝুঁকি। এছাড়াও পায়ে ব্যথা, কিডনির সমস্যা, চোখের সমস্যা এসবও বাড়ে। থাকে ক্লান্তি, অবসাদ।
তাই প্রত্যেক মানুষের উচিত বছরে অন্তত ২ বার করে সুগার পরীক্ষা করানো। যদি তা নির্ধারিত মাত্রার থেকে বেশি থাকে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন, ওষুধ খান। সঙ্গে বদল আনুন ডায়েটে। ওষুধ আর খাবার খেয়ে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখা যায় মাত্র, তা পুরোপুরি সারে না।
সুগার রোগীদের রোজ ডায়েটে তেতো রাখতে বলা হয়। তবে এই ধারণাটাও ঠিক নয় যে রোজ তেতো খেলেই সুগার কমে যাবে। সেক্ষেত্রে পরিমাণে অনেকটা খেতে হবে বাস্তবে যা সম্ভব নয়।
তাই রোজ নিয়ম করে তেতো খান। যেমনটা ঠিক আগেকার দিনে করা হত। প্রথম ভাতে কোনও তেতো খেয়ে তারপর শাক, সবজি, ডাল, তরকারি, মাছ এই ভাবে খেতে পারলে শরীর ভাল থাকবে। সঙ্গে কত পরিমাণ ক্যালোরি আর কতটা কার্বোহাইড্রেট খাচ্ছেন সেদিকেও কিন্তু নজর রাখা জরুরি।
তবে রোজ তেতো খাচ্ছেন বলে যে সুগারের ওষুধ খাওয়া বন্ধ করে দেবেন এরকমটা কিন্তু করবেন না। এতে লাভের থেকে ক্ষতি বেশি। চিকিৎসক আপনার প্রয়োজন অনুসারেই ওষুধ দিয়েছেন। নিজের থেকে এই ওষুধ কখনও বন্ধ করবেন না। বিশেষত টাইপ ১ ডায়াবেটিস এবং গর্ভাবস্থাকালীন ডায়াবেটিস কিন্তু শুধুমাত্র ওষুধে সারে না।
ডায়াবেটিসের অন্যতম ওষুধ হল হাঁটা এবং শরীরচর্চা। তাই রোজ নিয়ম করে হাঁটুন। চিনি, শর্করা, কার্বোহাইড্রেট একেবারেই এড়িয়ে চলুন। সুগার মাপুন প্রতি ১০ দিন অন্ত। ভুলেও নিজের থেকে কোনও ওষুধ খাবেন না বা চিকিৎসকের দেওয়া ওষুধ মাঝপথে বন্ধ করে দেবেন না।