কেউ-কেউ সারা বছর কোষ্ঠকাঠিন্যে ভোগেন। রাতে ইসবগুল জলে গুলে না খেলে পরদিন সকালে পেট পরিষ্কার হয় না। আবার এমনও অনেকে রয়েছেন, যাঁদের একটু খাওয়া-দাওয়ার গোলমাল হলেই মলত্যাগে কষ্ট হয়। জল কম খাওয়া, বাইরের তেল-মশলাদার খাবার বেশি পরিমাণে খাওয়া, শরীরচর্চা না করার মতো একাধিক অভ্যাস কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা বাড়িয়ে তোলে। সাধারণ কোষ্ঠকাঠিন্য বাড়লে জল ও ফাইবার জাতীয় খাবার বেশি করে খাওয়ার পরামর্শ দেন। তার মধ্যে দানাশস্য থেকে শাকসবজি সবই থাকে। তার সঙ্গে ফলকে বাদ দিলে চলবে না। বরং, ফল খেলেই প্রতিদিন সকালে পেট পরিষ্কার হবে।
ফাইবারে ভরপুর: যে সব ফল ফাইবারে ভরপুর, সেগুলো কোষ্ঠকাঠিন্যকে প্রতিরোধ করতে এবং এই সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করে। ফাইবার মলকে নরম করে দেয়। এতে পাচনতন্ত্র থেকে মল সহজেই বেরিয়ে যায়। আপেল, ন্যাসপাতি কিউই ও লেবুজাতীয় ফলের মধ্যে দ্রবণীয় ফাইবার রয়েছে।
প্রাকৃতিক রেচক: বেশ কিছু ফলের মধ্যে প্রাকৃতিক রেচক উপাদান রয়েছে, যা মলত্যাগে সাহায্য করে। আলুবোখরা ও এই ফলের রসের মধ্যে থাকা প্রাকৃতিক রেচক পেট পরিষ্কার করতে সাহায্য করে।
হাইড্রেশন: বেশিরভাগ ফলের মধ্যে জলের পরিমাণ বেশি থাকে। এগুলো শরীরকে হাইড্রেট রাখে এবং পেট পরিষ্কারে সাহায্য করে। জল মলকে নরম করতে এবং সহজেই মলত্যাগে সাহায্য করে। তরমুজ, শসা ও কমলালেবুর মতো উপাদান ডিহাইড্রেশনের বিরুদ্ধে লড়াই করতে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে।
ইলেক্ট্রোলাইট ব্ল্যালেন্স: কলার মধ্যে উচ্চ পরিমাণে পটাশিয়াম রয়েছে, যা দেহে ইলেক্ট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। পটাশিয়াম মলত্যাগেও সাহায্য করে। পটাশিয়াম পেশির কার্যকারিতার জন্য অপরিহার্য। এই খনিজ পদার্থ পাচনতন্ত্রের পেশিকেও স্থিতিশীল করতে সাহায্য করে। এই উপায়ে কলা কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা প্রতিরোধ করে।
প্রিবায়োটিক্স: আপেল, কলা ও বেরির মতো ফলের মধ্যে প্রিবায়োটিক্স রয়েছে। প্রিবায়োটিক ফাইবার অন্ত্রে ভাল ব্যাকটেরিয়ার পরিমাণ বাড়াতে সাহায্য করে। এগুলো পাচনতন্ত্রের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। এতে মলত্যাগ করতে কোনও সমস্যা হয় না। সহজেই কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাকে প্রতিরোধ করা যায়।
অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও নিউট্রিয়েন্টস: এ বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই যে, ফলে বিভিন্ন ধরনের প্রয়োজনীয় পুষ্টি পাওয়া যায়। তার মধ্যে ভিটামিন সি রয়েছে, যা দেহে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে। এই পুষ্টি হজম স্বাস্থ্য উন্নত করে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে। দেহে ভিটামিন সি-এর ঘাটতি থাকলে লেবুজাতীয় ফল খেতে পারেন।