ভালবাসার উপহার হিসেবে দারুণ জনপ্রিয় হল টেডি বিয়ার। প্রেমিকারা যেমন প্রেমিকদের কাছে উপহার হিসেবে টেডি বিয়ারের বায়না করেন, তেমনই বাচ্চাদেরও খুব পছন্দ এই টেডি বিয়ার। সম্পর্কের উষ্ণতা বাড়াতে এই টেডি বিয়ারের জুড়ি মেলা ভার। টেডি বিয়ারের জন্মের পিছনেও রয়েছে খুব সুন্দর একটি গল্প। মন ভাল করতেই এই টেডি বিয়ারের জন্ম। শুধু তাই-ই নয়, মানসিক স্বাস্থ্য ঠিক রাখতেও ভূমিকা রয়েছে এই টেডি বিয়ারের। শুনে অবাক হচ্ছেন? স্ট্রেস-উদ্বেগ আমাদের রোজকার জীবনযাত্রায় প্রভাব ফেলে। বলা ভাল জীবনযাত্রার কারণেই স্ট্রেসের উৎপত্তি। মানসিক স্বাস্থ্যের অনেক সমস্যার মূলে রয়েছে এই স্ট্রেস। বিষন্নতা, মনখারাপ পরিস্থিতি আরও অনেক বেশি জটিল করে দেয়। আর এই চাপ কমানোর কাজে সাহায্য করে টেডি বিয়ার।
বর্তমানে মানুষের মধ্যে একাকিত্ব বেড়েছে। কথায়-কথায় বাড়ছে নেগেটিভিটি। সে সব নেগেটিভিটি থেকে দূরে থাকতেই ব্যবহার বেড়েছে বিভিন্ন রকম থেরাপির। অফিস শেষে সারাদিনের ক্লান্তির পর বাড়ি ফিরে যাবতীয় খারাপ ভাবনা মন থেকে দূর করতে বাড়ির একটি রুমেই করুন থেরাপিউটিক সেট-আপ। সেই ঘরে হালকা আলো, সুগন্ধীর সঙ্গে একটা টেডি বিয়ার রাখুন। মন খুলে তাকে জড়িয়ে বলুন নিজের কথা। সে আপনার কোনও কথা পাঁচকান করবে না। কিন্তু আপনি তাকে ভালবেসে সব কিছু বলতে পারবেন। আপনাকে নিয়ে কোনও রকম তির্যক মন্তব্য বা অতিরঞ্জিত করে তা অন্য কারোর কাছে পেশ করবে না। কোভিড পরবর্তী সময়ে বেড়েছে একাকিত্ব, মনখারাপ। অনেক ঘটনাও এসেছে প্রকাশ্যে। আর তাই মন ভাল রাখতে সাহায্য নিন টেডি বিয়ারের। এমনকী চিকিৎসকরাও সেই পরামর্শ দিচ্ছেন।
একাকিত্ব সব বয়সেই থাকে। অনেকেই আছেন যিনি মন থেকে একা হলেও তা মুখ ফুটে বলতে পারেন না। অনেক সময় কাজের প্রয়োজনে বা পড়াশোনার কারণে আমাদের বাড়ি থেকে দূরে থাকতে হয়। সেক্ষেত্রে মন খারাপ হওয়া খুবই স্বাভাবিক। মন ভাল রাখতে একটা টেডিবিয়ার রাখুন। মন খুলে তাকেই বলুন যাবতীয় কথা।
যে কোনও রকম বিচ্ছেদই শোকের। আর সেই ট্রমা থেকে বেরিয়ে আসাও বেশ কঠিন। এক্ষেত্রেও কাজে আসে টেডি বিয়ার। প্রাপ্তবয়স্কদের জন্যও কাজে আসে এই টেডি। যাঁদের থেরাপি চলছে বা যাঁরা কোনও ভাবে শোক ভুলতে পারছেন না, তাঁদের কাছে টেডি বিয়ার রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়। এই খেলনাই হয়ে উঠতে পারে সেই ব্যক্তির নিরাপদ আশ্রয়। মন থেকে ভরসা দিয়ে আবারও ঘুরে দাঁড়াতেও সাহায্য করে টেডি।
সামাজিক উদ্বেগও বর্তমান নিরাপত্তাহীনতার অন্যতম কারণ। যাঁরা গুরুতর সামাজিক সমস্যায় ভুগছেন, একাকিত্বের মধ্যে রয়েছেন, তাঁরাও কিন্তু অবশ্যই বাড়িতে রাখুন টেডি। চিকিৎসার পাশাপাশি এমন একজন সঙ্গী থাকলে অনেক দ্রুত রোগ নিরাময় সম্ভব। বলা ভাল, অনেক বেশি মনের আরাম পান রোগীরা। এই টেডি বিয়ারকে আদর করলে আমাদের শরীর থেকে কর্টিসল হরমোন ক্ষরিত হয়। এই হ্যাপি হরমোনের ক্ষরণে মন এমনিই ভাল হয়ে যায়।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত জানতে আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন