গরমের দাপটে নাজেহাল দক্ষিণবঙ্গের মানুষ। তাপমাত্রা বৃদ্ধির পাশাপাশি তাপপ্রবাহের সতর্কতাও রয়েছে। রোদের তাপে জ্বলছে গা। এমন আবহাওয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়াটাই স্বাভাবিক। তাছাড়া এমন অসহ্যকর গরমে হিট স্ট্রোকের সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি। এমন প্যাচপ্যাচে গরমে শরীরকে ঠান্ডা রাখতে পান্তা ভাত, টক দই, কাঁচা পেঁয়াজের মতো খাবারের কদর বেশি। কাঁচা পেঁয়াজ স্বাস্থ্যের জন্য উপযোগী। কিন্তু এই কাঁচা পেঁয়াজ পকেটে নিয়ে রোদে বেরোলে কি হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি এড়ানো যাবে? চলুন জেনে নেওয়া যাক।
পেঁয়াজের গুণাগুণ কম নয়। পেঁয়াজের রস দেহে তাপমাত্রা স্বাভাবিক রাখতে সাহায্য করে। তাই গরমে পেঁয়াজ খেলে শরীর ঠান্ডা থাকে। কিন্তু রোদের তাতাপোড়া থেকে বাঁচতে পকেটে পেঁয়াজ নিয়ে বেরোলেই কি সুরক্ষিত থাকা যায়? পকেটে পেঁয়াজ নিয়ে বেরোলে হিট স্ট্রোক এড়ানো যায় না। বরং, গরমে অস্বস্তি হলে পেঁয়াজে কামড় দিতে পারেন। এতে এড়াতে পারবেন অসুস্থ হওয়া ঝুঁকি।
পেঁয়াজের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে সোডিয়াম ও পটাশিয়াম রয়েছে। এই দুই মিনারেল দেহে ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে। তাই কাঁচা পেঁয়াজ খেলে সানস্ট্রোকের হাত থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। এছাড়া পেঁয়াজের রস খাবার হজমেও সহায়তা করে।
পেঁয়াজের মধ্যে কোয়ারসেটিন নামক যৌগ রয়েছে, যা হিস্টামিনের বিরুদ্ধে কাজ করতে পারে। পেঁয়াজের রস সানস্ট্রোকের পাশাপাশি সানবার্নের সমস্যা দূর করতেও সাহায্য করে। এছাড়া গবেষণায় দেখা গিয়েছে, কাঁচা পেঁয়াজ খেলে দেহে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। গরমে কাঁচা অবস্থায় পেঁয়াজ খান, বা রান্নায় মিশিয়ে, এই সবজি স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী।
হিট স্ট্রোক এড়াতে আপনি যা করবেন-
১) প্রয়োজন ছাড়া বেলা ১১টা থেকে দুপুর ৪টে পর্যন্ত বাইরে বেরোনো এড়িয়ে চলুন।
২) রোদে বেরোলে নাক-মুখ ঢেকে বেরোন। সঙ্গে নিন ছাতা, সানগ্লাস, টুপি ও জলের বোতল।
৩) গরমে অস্বস্তি এড়াতে ভিজে রুমাল নাকে-মুখে চাপা দিন। গরমে খুব অস্বস্তি হলে ঘাড়ে, মুখে ঠান্ডা জলের ঝাপটা দিন।
৪) প্রচুর পরিমাণে জল পান করুন। জলের পাশাপাশি নুন-চিনির জল, ওআরএস-এর জল, ডাবের জল, তাজা ফলের রস খান।
৫) বাইরের কাটা ফল, ভাজাভাজু, চর্বিযুক্ত ও মশলাদার খাবার সম্পূর্ণরূপে এড়িয়ে চলুন।