শীতে বড়দের মত কাবু হয়ে পড়ে ছোটরাও। ঋতু পরিবর্তনের জন্য এই সময় চট করে সকলেই নানা শারীরিক সমস্যার মধ্যে পড়েন। ঠান্ডা লাগা, জ্বর, পেট খারাপ এসব লেগে থাকে বাচ্চাদেরও। এছাড়াও আজকাল প্রায় সকলেই শ্বাসকষ্টের সমস্যায় ভোগেন। দূষণের কারণে বাচ্চাদের মধ্যে এই সমস্যা আরও বেশি। ছোটদের সহজেই বুকে ঠান্ডা বসে যায়। আর এ ব্যাপারে কিন্তু বাড়ির লোকেদেরই সতর্ক থাকতে হবে। সেই সঙ্গে অতিরিক্ত শীতের জামা, গরম জলে স্নান, সারাদিন টুপি, মোজা পরিয়ে রাখলে কিন্তু ছোটদের শরীর গরম হয়ে যায়। আর তাই খেয়াল লাখবেন কোনও ভাবেই যেন বাচ্চারা শীতে বেশি ঘেমে না যায়। প্রয়োজনের অতিরিক্ত গরম জামা যেমন পরিয়ে রাখবেন না তেমনই কিন্তু ঘরের দরজা-জানালাও বন্ধ করে রাখবেন না। গরম জল নয়, স্নান করার ইষদুষ্ণ গরম জলে। মাথাতেও সব সময় ঠান্ডা জল দেওয়ার চেষ্টা করুন। এছাড়াও প্রতিদিনের খাবারের মধ্যে এই ৬ খাবার কিন্তু অবশ্যই রাখুন-
*বাচ্চারা দুধ খেতে চায় না চট করে। কিন্তু দুধের সঙ্গে যদি মিশিয়ে দেওয়া হয় চকোলেট ফ্লেভার তাহলে কিন্তু সহজেই খেয়ে নেয়। আর এই চকোলেট দুধের সঙ্গে মিশিয়ে নিন এক চিমটে হলুদ, আর দারচিনি গুঁড়ো। এতে কিন্তু বাড়বে ইমিউনিটি। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে অবশ্যই এক গ্লাস এই দুধ দিন।
*প্রতিদিন শীতের সবজি খাওয়ান। ডালের মধ্যে গাজর, বিট, মটরশুঁটি, পালংশাক, বাঁধাকপি, টমেটো আর রসুন-পেঁয়াজ ফোড়ন দিয়ে বানিয়ে নিন। দুপুরে ভাতের সঙ্গে এই সবজি বানিয়ে দিন। সঙ্গে অবশ্যই দিন একটা ডিম সিদ্ধ কিংবা পেঁপে দিয়ে মাছের পাতলা ঝোল। এতে শরীর ভাল থাকবে, হজম হবে।
*দুপুরে অবশ্যই যে কোনও একটা ফল খাওয়ান। তা হতে পারে বেদানা, মুসাম্বি কিংবা কমলালেবু। ফল চিবিয়ে খেতে না পারলে বাড়িতেই বানিয়ে নিন জ্যুস। কমলালেবু, বেদানা একসঙ্গে মিশিয়ে জুস বানিয়ে নিতে পারেন।
*বাইরের খাবার যতটা সম্ভব কম দিন। বাইরের খাবার থেকে পেটের সমস্যা, গ্যাস এসব হতেই পারে। তাই এই সময় বাড়িতেই বানিয়ে নিন বেশিরভাগ খাবার। বিশেষত কেক, স্যুপ বা মুখরোচক কোনও খাবার বাড়িতেই বানিয়ে নিন। এই সময় কিন্তু পেঁপে বেশি করে খাওয়ান। পেঁপে সিদ্ধ কিংবা পাকা পেঁপে অবশ্যই রাখুন প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায়।
*নানা রকম শাক খাওয়ান। শীতে বাজারে হরেক শাক পাওয়া যায়। পালং শাক ছাড়াও লাল শাক, নোটে শাক, কলমি শাক, মেথি শাক-সহ আরও অনেক কিছুই থাকে। আর তাই শাক দিয়ে অবশ্যই কোনও তরকারি বানিয়ে নিন।
*মাছ, মাংস হালকা করে রান্না করুন। মাছ ভাজার থেকে সবজি দিয়ে ঝোল সবসময় ভাল। মাংসেরও গাজর, বিনস, ক্যাপসিকাম, পেঁপে, আলু দিয়ে স্ট্যু বানিয়ে নিন।
আরও পড়ুন: Immunity boosting foods: আতঙ্ক ছড়াচ্ছে ওমিক্রন,’হার্ড ইমিউনিটি’ গড়ে তুলতে এই ৬ অভ্যাস রপ্ত করুন!