Heartcare During Summer: গরমে বাড়ে হৃদরোগের সমস্যা, তাই কেমন করে যত্ন নেবেন আপনার হৃদয়ের?

TV9 Bangla Digital | Edited By: রেশমী প্রামাণিক

Apr 18, 2022 | 3:25 PM

Heat stroke: গরমে বাড়ে যে কোনও শারিরীক সমস্যা। সেই তালিকায় রয়েছে হৃদরোগও। এমনিই গরমে হার্টকে বেশি পরিশ্রম করতে হয়। তাই হৃদরোগের সম্ভাবনাও বাড়ে

Heartcare During Summer: গরমে বাড়ে হৃদরোগের সমস্যা, তাই কেমন করে যত্ন নেবেন আপনার হৃদয়ের?
নিয়ম না মানলে পড়তে পারেন জটিল সমস্যায়

Follow Us

গরমে আমাদের শরীরের তাপমাত্রা বেড়ে যায়। আর সেই অতিরিক্ত তাপ বের করে শরীরকে ঠান্ডা রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে হার্টের। হার্টকে তাই গরমে অনেক বেশি পরিশ্রম করতে হয়। যে কারণে গ্রীষ্মকালে পর্যাপ্ত সতকর্তা না মেনে চলতে পরলে কিন্তু হৃদরোগের আশঙ্কা বেড়ে যায়। হতে পারে স্ট্রোকও। আর তাই গরমে নিজেকে যেমন সুস্থ রাখবেন তেমনই হার্টেরও খেয়াল রাখুন।

শরীরের তাপমাত্রা যখন বেড়ে যায় তখন শরীর ভিন্নভাবে কাজ করে। প্রত্যেকটা মানুষের শরীরের মেকানিজম আলাদা। এক্ষেত্রে কিন্তু কঠোর পরিশ্রম করতে হয় হার্টকেই। শরীর ঠিকমতো ঠান্ডা না হলে হিট স্ট্রোকের আশঙ্কা বেড়ে যায় অনেকখানি। ফলে তখন হার্টকে দ্রুত পাম্প করে শরীরে অন্যত্র রক্ত সঞ্চালন করতে হয়। তাই যাঁদের আগে থেকেই হার্টের সমস্যা রয়েছে কিংবা পারিবারিক ইতিহাসে হৃদরোগের মত সমস্যা রয়েছে তাঁদের কিন্তু আগে থেকেই সতর্ক থাকতে হবে। যাঁদের হার্ট তুলনায় দুর্বল তাঁদের ক্ষেত্রে ডিহাইজ্রেশন, অ্যারিথমিয়াস, এনজাইনা এবং হার্ট অ্যার্টাকের সম্ভাবনা অনেক বেড়ে যায়। বেড়ে যায় প্রাণ সংশয়ের হারও। তার তাই যা কিছু মেনে চলবেন আপনি-

এই সময় অতিরিক্ত জিম বা শরীরচর্চা কোনওটাই কিন্তু নয়। কারণ গরমে শরীরের তাপমাত্রা বেশি থাকে। হার্টকে বেশি পরিমাণে কাজ করতে হয়। ফলে দ্রুত রক্ত পাম্প হয়। খুব ভোর ছাড়া বাইরে ব্যায়াম না করাই ভাল। ঘাম হলে শরীর থেরে টক্সিন বেরিয়ে যায় ঠিকই, কিন্তু অতিরিক্ত ঘামও ভাল নয়। সকাল ১০-৪ টের মধ্যে শরীরচর্চা করলে সব সময় বাড়িতেই করুন। যাতে ঘাম তাড়াতাড়ি শুকোয়। তাপমাত্রা যখন সবচেয়ে বেশি থাকে সেই সময় কিন্তু শরীরচর্চা এড়িয়ে চলাই একমাত্র পন্থা।

জল খান- পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খেতে হবে। তবে যাঁদের জটিল কোনও হৃদরোগ রয়েছে তাঁদের কিন্তু এই জলপানের ক্ষেত্রেও একটা সীমাবদ্ধতা রাখতো হবে। বাইরে থেকে এসে ফ্রিজের ঠান্ডা জল একেবারেই খাবেন না। বরং সাধারণ তাপমাত্রায় রাখা জল খান। এছাড়াও নুন-চিনি-লেবু দিয়ে আগে থেকে শরবত বানিয়ে রাখুন। জল যেমন শরীরকে হাইড্রেটেড রাখে তেমনই অতিরিক্ত টক্সিনও বের করে দেয়।

ক্যাফেইন বা অ্যালকোহল নয়- গরমের দিনে কফি যতটা সম্ভব কম খান। এড়িয়ে চলতে পারে সবচেয়ে ভাল। তুলনায় লিকার চা খান বার বার। এতে শরীরের সঠিক ডিটক্সিফিকেশন হয়। গ্রীষ্মকালে ডিহাইড্রেশনের সমস্যা হয় সবচাইতে বেশি। তাই চা, কফি, অ্যালকোহল এসব থেকে একেবারেই দূরে থাকুন। পরিবর্তে জুস, বাটারমিল্ক, ডাবের জল এসব বেশি করে খান। যাঁদের এনজিওপ্লাস্টি হয়েছে তাঁদের কিন্তু এই সময় বিশেষ সতর্কতা প্রয়োজন।

সুষম আহার- শরীর ঠিক রাখতে সুষম আহার ভীষণ ভাবে জরুরি। রোজকার তালিকায় শাক, সবজি, ফল, বিভিন্ন ডাল এসব বেশি পরিমাণে রাখুন। তেল, ঘি বা বেশি মশলাদার খাবার একেবারেই এড়িয়ে চলুন। অ্যালকোহল, ধূমপান থেকে দূরে থাকুন। হালকা খাবার, টকদই এসব বেশি করে খান।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন। 

আরও পড়ুন: Coronavirus : লেগেই রয়েছে ঘুসঘুসে জ্বর! কোভিড নাকি অন্য কিছু?

Next Article