করোনা সংক্রমণ নিম্নমুখী হতেই এবার স্কুল খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিতে চলেছে রাজ্যগুলি । তবে এখনও পর্যন্ত শিশুদের জন্য কোনও কোভিড ভ্যাকসিন চালু করা হয়নি। ফলে এই সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক তৈরি হলেও সামনের মাসগুলি উত্সবের মরসুম। অন্যদিকে দেশে সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ-ও আছড়ে পড়তে চলেছে। এই আতঙ্কের সময়ে সবচেয়ে করুণ অবস্থা শিশুদের। চিকিত্সকদের একাংশ জানিয়েছে, তৃতীয় তরঙ্গের ঢেউ আছড়ে পড়লে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে শিশুদের স্বাস্থ্য। এই কারণে আরও বেশি উদ্বিগ্ন অভিভাবকরা। সামাজিক দূরত্ব বজায় ও ফেস মাস্ক -হ্য়ান্ড স্যানিটাইজারের ব্যবহার ছাড়া শিশুদের সুরক্ষিত রাখা অন্য় কোনও উপায় নেই।
ফেসমাস্ক অনেকক্ষণ ধরে রাখা বেশ কষ্টকর ও অস্বস্তিকর। শিশুদের ক্ষেত্রে তো আরও কঠিন হয়ে যায়। তবে এই অতিমারি পরিস্থিতিতে বাচ্চাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষিত রাখতে কোন ধরনের মাস্ক উপযুক্ত তা নিয়ে টালবাহানায় অভিভাবকরা।
মার্কিন সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনসলন ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা সার্স -সিওভি-২ এর বিরুদ্ধে মোকাবিলার জন্য N95/FFp2 রেসপিরেটর মাস্ক বা সমতুল্য মাস্কের সুপারিশ করেছে। এই ধরনের মাস্কগুলিতে লিকেজ ও ফিল্টারিং উভয়েরই ক্ষমতা রয়েছে। ভয়ংকর ভাইরাস রোধের জন্য উপযুক্ত এই মাস্ক। কোভিডের দ্বিতীয় তরঙ্গে ঠেকাতে ইউরোপীয় দেশগুলিতে N95/FFP2 মাস্ক বাধ্যতামূলক করা হয়েছিল। আর এর কার্যকরিতা প্রমাণিতও হয়েছিল। কাপড়ের মাস্ক ব্যবহারের উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছিল সেই সময়।
প্রসহ্গত, N95/FFP2 রেসপিরেটর মাস্ক তৈরির আসল কারণ রয়েছে। কোভিড অতিমারির আগে এই ধরনের মাস্ক শ্রমিকরা ধুলো ও বাতাসের ছোট ছোট কণার সংস্পর্শে আসতে না পারে। তবে এই মাস্ক শুধুমাত্র প্রাপ্তবয়স্কদের জন্যই তৈরি করা হয়েছিল। কিন্তু শিশুরা? N95/FFP2 মাস্কের মধ্যে ৯৫ শতাংশ থেকে ৯৯ শতাংশ ভাইরাস প্রতিরোধ করার ক্ষমতা রয়েছে। নাক ও মুখের সঙ্গে ঠিকঠাক ফিট হওয়াও দরকার। শিশুদের জন্য বর্তমানে N95/FFP2 মাস্ক বাজারে পাওয়া যাচ্ছে। তাই সচেতনতার সঙ্গে মাস্ক পরাটা জরুরি। শিশুদের নিরাপদ রাখার একমাত্র উপায় হল সচেতনতা বৃদ্ধি করা। সঠিক মাস্ক ব্যবহার করা, সামাজিক দুরত্ব বজায় রাখা, অনুশীলন করা ও নিয়মিত সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে স্যানিটাইজ করা। এই সমস্ত কিছু করতে শিশুদের অভ্যেস ও উত্সাহিত করা প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: করোনায় সুস্থ হওয়ার পর কম বয়সি ও শিশুদের মধ্যে কেন দেখা যাচ্ছে হৃদরোগের সমস্যা?