প্রত্যেক মহিলার মাসিক চক্র আলাদা। যদিও কারও কারও কাছে এটা ব্যথাহীন ভাবেই কাটে, আবার অনেকে ব্যথা, ফুসকুড়ি, বমি বমি ভাবের মতো উপসর্গ অনুভব করেন। যা কেবল শারীরিকভাবে নয় বরং মানসিকভাবেও তাঁদের প্রভাবিত করে। এক্ষেত্রে কী করা উচিত? বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে অল্প সময়ের জন্য স্বস্তি প্রদানকারী ওষুধের ওপর নির্ভর করার পরিবর্তে, সমস্যাটির মূল কারণ জেনে চিকিৎসা করা দরকার। কারণ, আপনার নিজের অভ্যন্তরীণ স্বাস্থ্যের কথা ভেবে কাজ করা সব সময় গুরুত্বপূর্ণ।
আয়ুর্বেদিক প্র্যাক্টিশেনার ডঃ আলকা বিজয়ন সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে কিছু কার্যকরী টিপস শেয়ার করেছেন। এগুলি ক্র্যাম্প এবং পিরিয়ডের ব্যথা থেকে দীর্ঘস্থায়ী স্বস্তির জন্য প্রতিদিনের রুটিনে অ্যাড করা যেতে পারে।
তিনি জানিয়েছেন, “এগুলি দ্রুত সমাধানের মতো নাও হতে পারে, তবে এগুলি অবশ্যই আপনার ব্যথাকে নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য অনেক সাহায্য করবে। পিরিয়ডের সময় মারাত্মক খিঁচুনি, ফুসকুড়ি, মাথাব্যথা, বমি এবং যাবতীয় অস্বস্তি থেকে মুক্তি পেতেও সাহায্য করবে। এই ছোট ছোট জিনিসগুলি যা আমাদের ঠাকুমারা তাঁদের দৈনন্দিন রান্নায় যোগ করতেন, যা তাঁদের এবং তাঁদের মেয়েদের জরায়ুর স্বাস্থ্যকে অক্ষত রেখেছিল সেগুলিই আমাদের প্রয়োজন। দুর্ভাগ্যবশত আমরা এই ধারণা তৈরি করে ফেলেছিলাম যে তাঁরা যথেষ্ট আধুনিক ছিলেন না।”
*মৌরি চা পান করুন
*রান্নার জন্য তিলের তেল ব্যবহার করুন
*তিলের তেল দিয়ে প্রতিদিন বডি ম্যাসাজ করুন
*রান্নায় বেশি করে জিরা, মৌরি অন্তর্ভুক্ত করুন
*পিরিয়ডের সময় ব্যায়াম এড়িয়ে চলুন
*দিনের বাকি সময়ে দৈনিক ব্যায়াম করুন
*চিনি এবং মিষ্টি খাওয়া কমিয়ে দিন
ডঃবিজয়ানের মতে, “এই সহজ কৌশলগুলি বেছে নেওয়ার প্রধান কারণ হল এগুলির প্রত্যেকটির নির্দিষ্ট কারণ আয়ুর্বেদে বলা আছে। কীভাবে জরায়ুর সঙ্কোচন ও প্রসারণ এই খাবারগুলি নিয়ন্ত্রণ করতে পারে সেই ব্যাপারে বিস্তারিত জানা যায়।”
এছাড়াও নিম্নলিখিত বিষয়গুলির ওপর খেয়াল রাখলে প্রচণ্ড ব্যথার সময় সাময়িক আরাম পাওয়া যেতে পারে।
তাপ: আপনার পিরিয়ডের সময় আপনার তলপেটে তাপ প্রয়োগ করলে তা পেশীগুলিকে শিথিল করতে এবং বেদনাদায়ক ক্রাম্প থেকে মুক্তি দিতে সাহায্য করতে পারে।
যোগব্যায়াম: অল্পস্বল্প স্ট্রেচিং করলে মাসিকের কারণে তৈরি হওয়া অস্বস্তি কম হতে পারে। টেনশনের কারণে যে মাথাব্যথা হয় তা কমাতেও এই স্ট্রেচিং বিশেষ সাহায্য করবে।
স্বাস্থ্যকর ডায়েট: যখন পিরিয়ড ব্যথার কথা আসে তখন আদা, তুলসী, ক্যামোমাইল, দারুচিনি এবং অন্যান্য ভেষজ এবং মশলা সমৃদ্ধ একটি খাবার বানিয়ে খেতে পারেন। প্রাকৃতিক অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি এবং অ্যান্টি-স্পাসমোডিক গুণাবলীর সাথে, এই সুপার ফুডগুলি পেটের খিঁচুনিকে উল্লেখযোগ্যভাবে কমাতে পারে।
ব্যায়াম: সাঁতার এবং হাঁটার মতো হালকা ব্যায়াম পেটের খিঁচুনি, মাথাব্যাথা, ফুসকুড়ি এবং কিছু মহিলাদের মাসিকের সময় যে বিষণ্ণতা অনুভব করেন তা কমাতে পারে।
আরও পড়ুন: অগস্টের দ্বিতীয় সপ্তাহে ‘আর ভ্যালু’ পৌঁছালো ১.১৭-তে! কতটা বিপজ্জনক হতে পারে তৃতীয় ঢেউ?