School reopening: দীর্ঘ সময়ের পর স্কুল-পড়াশোনা, বাচ্চা অ্যাংসাইটিতে ভুগলে কী করবেন? রইল পরামর্শ

TV9 Bangla Digital | Edited By: রেশমী প্রামাণিক

Feb 11, 2022 | 2:05 PM

প্রথম থেকেই পড়াশোনায় জোর নয়। বরং বিভিন্ন অ্যাকটিভিটির মাধ্যমে শিশুদের মনসংযোগ বাড়িয়ে তোলা প্রয়োজন। সেই সঙ্গে তারা যাতে বন্ধু-শিক্ষকদের সঙ্গে সহজে মিশতে পারে এ ব্যাপারেও কিন্তু উদ্যোগী হতে হবে

School reopening: দীর্ঘ সময়ের পর স্কুল-পড়াশোনা,  বাচ্চা অ্যাংসাইটিতে ভুগলে কী করবেন? রইল পরামর্শ
বাচ্চা যাতে মন খুলে কথা বলতে পারে সেদিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন

Follow Us

সংক্রমণের গ্রাফ কিছুটা কমতেই ফের শুরু হয়েছে স্বাভাবিক জীবন ছন্দে ফেরার প্রস্তুতি। আবার খুলতে শুরু করেছে বিভিন্ন অফিস। মধ্যিখানে তা খোলা হলেও ফের বন্ধ হয়ে গিয়েছিল সংক্রমণ বৃদ্ধির কারণে। তবে গত দু বছর ধরে বন্ধ ছিল স্কুল। অনলাইন ক্লাসই ছিল পড়ুয়াদের একমাত্র ভরসা। যদিও এই অনলাইন ক্লাসের দৌলতে সকলেই হাঁপিয়ে উঠেছিল। স্কুল কবে খুলবে এই নিয়ে অভিভাবকদের মধ্যেও ছিল দীর্ঘ প্রতীক্ষা। কারণ সকলেই জানেন, অনলাইন ক্লাসে শিশুর শারীরিক বা মানসিক বিকাশ কোনওটাই কিন্তু হয় না। বরং সেখান থেকে মানসিক সমস্যার ঝুঁকি থেকে যায়।

এতদিন সকলেই একরকম ক্লাসে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছিল। দীর্ঘদিন বন্ধুদের সঙ্গে দেখা না হওয়া, স্কুল যাওয়ার অভ্যাস না থাকায় অনেকেই কিন্তু পড়েছে সমস্যায়। বিশেষজ্ঞরা যেমন বলছেন, নতুন এই পরিবেশের সঙ্গে বাচ্চাদের মানিয়ে নিতে বেশ কিছুটা সময় লাগবে। ফোর্টিস হেলথকেয়ারের ডিপার্টমেন্ট অফ মেন্টাল হেলথ অ্যান্ড বিহেভিয়ারাল সায়েন্সেস- এর চিকিৎসক সামির পারিখ যেমন বললেন, অনলাইন ক্লাসের পর আবার স্কুলে ফিরে এসে সেই পরিবেশে মানিয়ে নেওয়াটা কিন্তু স্বাভাবিক ঘটনা। তবে এ ব্যাপারে কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে স্কুলেরও। বাচ্চাদের পাঠক্রম, খেলাধুলো এবং বন্ধুদের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক সব ব্যাপারেই নজর দিতে হবে স্কুলকে। সেই সঙ্গে তাদের সঙ্গে সময় কাটিয়ে সামাজিক ও মানসিক বিকাশ গড়ে তোলায় উদ্যোগ নিতে হবে।

এতদিন পর দেখা হবার সুবাদে সব বাচ্চাই চাইবে বন্ধুদের সঙ্গে বেশি সময় কাটাতে। মাঠে একসঙ্গে খেলতে যাওয়ার জন্য সকলেই উন্মুখ। কিন্তু এখনই মাঠে খেলতে যাওয়া বা টিভিন ভাগ করে খাওয়ার মতো অভ্যাস থেকে দূরে থাকতে হবে। এমনকী প্রথম থেকেই খুব বেশি চাপ দিয়ে পড়াশোনা না করানোই ভাল। এতে ক্ষতি হতে পারে শিশুর মানসিক স্বাস্থ্যের। ধীরে ধীরে স্কুলের আগের ছন্দে ফিরলে তবেই জোর দিতে হবে বাকি অভ্যাসে। অন্তত স্কুল খোলার পর প্রথম একটা সপ্তাহ পড়াসোনায় অতিরিক্ত নজরদারি না দেওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।

শিশুরা যাতে সবাই আবার একসঙ্গে মিলেমিশে থাকে, খেলাধূলো করে এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে ওঠে সেইদিকেই আগে নজর দিতে হবে। গ্রুপ স্টাডি, গ্রুপ অ্যাকটিভিটিজ, বিভিন্ন খেলা, মজার ছলে ক্যুইজ ইত্যাদির মাধ্যমে তাজের ছন্দে ফিরিয়ে আনতে হবে। সেই সঙ্গে ছোট ছোট পরীক্ষা নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে- পরামর্শ ডাঃ পারিখের।

গত দু বছরে সকলেই অনেক রকম মানসিক পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। অতিমারী কিন্তু আমাদের সকলের জীবনেই প্রভাব ফেলেছে। অনেকেই হারিয়েছে প্রিয়জনকে। আবার লকডাউনে অনেক পরিবারই আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে। তাই এ ব্যাপারে শিক্ষকদের সমব্যাথী হতে হবে। বরং গ্রুপ করে বিভিন্ন আলোচনা চক্রের ব্যবস্থা করতে হবে। যেখানে শিক্ষার্থীরা তাদের সমস্যার কথা মন খুলে বলতে পারবে। একে অপরের পাশে থাকাটা এই সময় খুবই প্রয়োজনীয়। তবে মহামারী এখনও কিন্তু শে, হয়নি। কাজেই যাবতীয় কোভিড বিধি মেনে চলতে হবে সকলকেই। পড়ুয়ারা যাতে আবার স্কুলে আসতে উৎসাহ বোধ করে এ ব্যাপারে উদ্যোগ নিতে হবে। স্কুল কর্তৃপক্ষ এবং শিক্ষকদের এই কোভিড বিধিনিষেধের উপর জোর দিতে হবে, পড়ুয়াদের বোঝাতে হবে এর প্রয়োজনীয়তা। এমনটাই মনে করছেন মনরোগ বিশেষজ্ঞরা।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।

Next Article