কাজের চাপ এমনই যে প্রায় সারাক্ষণ সকলেই ল্যাপটপ-মোবাইলে ঘাড় গুঁজে বসে কাজ করছেন। দীর্ঘক্ষণ এভাবে কাজ করলে ঘাড়ে ব্যথা হওয়া খুব স্বাভাবিক। চিকিৎসকেরা সব সময়ই বলেন কাজের ফাঁকে উঠে ঘোরাঘুরি করতে। অ্যান্টিক্লক ওয়াইজ ঘাড় ঘুরিয়ে ব্যায়াম করতে। তবে অধিকাংশই তা করেন না। অনেকে সময়ও পান না। এই কারণেই বাড়ছে সমস্যা।
ঘাড়ে যন্ত্রণা হলে কাজে মন বসে না। যে কোনও শারীরিক অস্বস্তি নিয়েই মন দিয়ে কাজ করা যায় না। একটানা বসে থাকলে ঘাড়, পিঠ সবই ব্যথা করতে থাকে। তাই ঘাড়ে যন্ত্রণা হলে সাবধান। অনেক সময় বসার দোষেও কিন্তু এই সমস্যা হয়।
শুধুমাত্র পেইনকিলার খেয়ে বা ঘাড়ে কোনও অয়েন্টমেন্ট ম্যাসাজ করে এই সমস্যার সমাধান পাওয়া যায় না। তার জন্য নিয়ম করে ব্যায়ামও করতে হবে। শরীরচর্চা ছাড়া কোনও রোগই সারবে না। তাই এই সমস্যায় ঘরোয়া কিছু টোটকাও একবার কাজে লাগিয়ে দেখতে পারেন।
বালিশ পরিবর্তন করুন। নরম বালিশে ঘুমনো অভ্যাস করুন। শক্ত বালিশ একেবারেই ব্যবহার করবেন না। রোজ বালিশ রোদে দিতে পারলেও খুব ভাল। সঙ্গে ১০ মিনিট ঘাড়ের ব্যায়াম করতেই হবে।
ঘাড়ে গরম বা ঠান্ডা সেঁক দিতে পারেন। ঘাড়ের ব্যথা তখনই হয় যখন ওই অংশে রক্ত চলাচল কমে যায়। ঘাড় আর সুষুম্নাকাণ্ডের জয়েন্টের মধ্যবর্তী অংশ ফুলেও যায়। এক্ষেত্রে ঠান্ডা-গরম সেঁক দিলে উপকার পেতে পারেন। খুব গরম সেঁক নয়, যা আপনার সহ্য সীমার মধ্যে থাকবে তাই দিন। ঘাড়ে ব্যথা থাকলে কখনও জোরে ম্যাসাজ করবেন না। বে-কায়দায় লেগে গেলে কিন্তু মুশকিল।
যে কোনও ব্যথা কমাতে খুব ভাল কাজ করে হলুদ। তাই রাতে ঘুমোতে যাওয়ার অআগে এক গ্লাস গরম দুধের মধ্যে ১ চিমটে হলুদ ফেলে দিন। এই দুধ গরম অবস্থাতেই কান। হলুদের মধ্যে থাকা এই কারকিউমিন যৌগ যে কোনও ব্যথা থেকেই মুক্তি দেয়। এক্ষেত্রে কাজে আসে এই টোটকা।