রোজকার জীবনে মাথাব্যথাও আজকাল খুব সাধারণ একটি সমস্যা। মানসিক চাপ, ক্লান্তি, দীর্ঘক্ষণ ল্যাপটপ-মোবাইলে মুখ গুঁজে থাকলে সেখান থেকে মাথাব্যথা হতে বাধ্য। সেই সঙ্গে রয়েছে আবহাওয়ার প্রকোপও। কখনও বৃষ্টি তো কখনও রোদ। একবার বৃষ্টিতে ভিজলে আর রক্ষে নেই। সেই ভেজা মাথা শুকোচ্ছে অফিসের এসির মধ্যে। সব মিলিয়ে সর্দি, জ্বর, মাথাব্যথা এখন সব সময়ের সঙ্গী। একবার যদি মাথাব্যথা হয় তাহলে সেখান থেকে চট করে মুক্তিও পাওয়া যায় না। মাথাব্যথা একবার শুরু হলে সব কাজ পণ্ড হতে বাধ্য। রোজ রোজ ব্যথার ওষুধ খাওয়াও মোটে ভাল কাজ হয়। মাথা ব্যথা তাড়াতে অনেকেই বেশি বেশি চা-কফি খান। এতে ঘুম ভাল হয় না। সঙ্গে মেজাজও থাকে তিরিক্ষি। তাই মাথা ব্যথায় সহজেই কাজে আসতে পারে এই কয়েকটি তেল। সেই সঙ্গে এই সব তেলের কোনও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও নেই।
পেপারমিন্ট তেল- পেপারমিন্ট তেলের মধ্যে রয়েছে একাধিক ঔষধি গুণ। বছরের পর বছর ধরে তাই ব্যবহার হয়ে আসছে এই তেল। NCBI-এর একটি রিপোর্ট অনুসারে, পেপারমিন্ট তেলের ব্যবহার মাথাব্যথা, পেশী ব্যথা, ত্বকের যে কোনও সমস্যা থেকে মুক্তি দিতে পারে। পেপারমিন্ট তেলের মধ্যে একটা শীতল ভাব রয়েছে যা সাধারণত মাউথ ওয়াশে ব্যবহার করা হয়। মাথাব্যথা থেকেও মুক্তি দিতে খুব ভাল কাজ করে এই তেল।
ক্যামোমাইল তেল- ক্যামোমাইল তেল আমাদের একাধিক সুবিধা দিতে পারে। বদহজম, বমি বমি ভাব, পেট ফেঁপে যাওয়া ইত্যাদিতে ভীষণ ভাবে কার্যকরী। এছাড়াও ভাল ঘুম হতেও সাহায্য করে ক্যামোমাইল তেল। যে কোনও রকম চাপ, উদ্বেগ কমাতে এই তেল ব্যবহার করা যেতে পারে। এছাড়াও খেতে পারেন ক্যামোমাইল চা।
ইউক্যালিপটাস তেল- যে কোনও রকম ক্ষত সারাতে, জীবাণু রোধ করতে এবং রক্তশর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখতে ভূমিকা রয়েছে ইউক্যালিপটাস তেলের। এছাড়াও বাড়িতে মশা তাড়াতেও ব্যবহার করা হয় এই তেল। সেই সঙ্গে যে কোনও রকম ব্যথা দূর করতেও ভূমিকা রয়েছে এই তেলের। এছাড়াও সাইনাসের ব্যথা দূর করতে সক্ষম ইউক্যালিপটাসের তেল।
ল্যাভেন্ডার অয়েল- ল্যাভেন্ডার অয়েল ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। সেই সঙ্গে একাধিক উপকারিতা রয়েছে এই তেলের। মনখারাপ, স্ট্রেস, বিষণ্ণতা, উদ্বেগ নিয়ন্ত্রণে খুবই সাহায্য করে এই তেল। খুব মাথা ব্যথা করলে ঘরের আলো বন্ধ করে বালিশের মধ্যে কয়েক ফোঁটা এই তেল দিতে পারেন। এতে ব্যথা খুব তাড়াতাড়ি উধাও হয়ে যায়।
তবে কী ভাবে ব্যবহার করবেন এই তেল?
এই কোনও তেলই কিন্তু সরাসরি মাথায় লাগানো উচিত নয়। সব থেকে ভাল যদি স্নানের জল বা বালিশে ব্যবহার করেন। কিংবা ঘরের এক কোণাতেও এই তেল স্প্রে করে রাখতে পারেন। কোনও সুগন্ধী ক্যান্ডেলের মাধ্যমেও তা ব্যবহার করতে পারেন। নার্ভ শান্ত হলে ব্যথা খুব তাড়াতাড়ি কমে যায়। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে স্নানের জলে এই তেল ব্যবহার করলে সেখান থেকেও ব্যথা কমে যায় অনেকখানি।