Snoring Prevention: নাকডাকার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে এই খাবারগুলো খাওয়া শুরু করুন…

TV9 Bangla Digital | Edited By: শোভন রায়

Oct 17, 2021 | 3:09 PM

নাক ডাকা তখন বেড়ে যায় যখন আমাদের গলার মাংসপেশীগুলো শিথিল হয়ে যায়‚ জিহ্বা পেছন দিকে চলে যায় এবং কণ্ঠনালী সরু এবং ফ্লাপী হয়ে যায়।

Snoring Prevention: নাকডাকার সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে এই খাবারগুলো খাওয়া শুরু করুন...

Follow Us

অল্পবিস্তর নাক ডাকে প্রায় সবাই কিন্তু সেটা মাত্রাধিক হলেই সমস্যা। কানের উপর বালিশ দিয়ে ঘুমনোর চেষ্টা‚ রাত্রে ভাল ঘুম না হওয়ার পুরো দিন ধরে ক্লান্তি‚ পার্টনারের সঙ্গে না শুয়ে অন্য ঘরে শোয়া‚ পরস্পরকে দোষারোপ করা- এই রকম নানা যন্ত্রণার সম্মুখীন হতে হয়। এই সমস্ত সমস্যা থেকেই মুক্তি পেতে পারেন আপনার খাদ্যাভাসে কিছু পরিবর্তন এনে। 

তবে তার আগে জেনে নেই আমাদের নাক ডাকার কারণ। নাক ডাকা তখন বেড়ে যায় যখন আমাদের গলার মাংসপেশীগুলো শিথিল হয়ে যায়‚ জিহ্বা পেছন দিকে চলে যায় এবং কণ্ঠনালী সরু এবং ফ্লাপী হয়ে যায়। এর ফলে কণ্ঠনালীর দেওয়ালগুলো কাঁপতে শুরু করে আর নিঃশ্বাস নেওয়ার সময় নাকে আওয়াজ হয়।

এবারে রইল সেই ৬ টি খাবারের নাম ‚ যা নাকডাকা কম করতে সাহায্য করবে:

১) সোয়া মিল্ক – আমদের অনেকের ল্যাকটোস সেনসিটিভিটি থাকে। এটা আমাদের অনেকের অজান্তেই থাকে। গরুর দুধে এই ল্যাকটোস সেনসিটিভিটি অনেক বেশী পরিমাণে হয় এবং তার থেকে যে অ্যালার্জিক প্রতিক্রিয়া হয়‚ তাতে ন্যাসাল প্যাসেজ স্ফীত হয়ে উঠতে পারে। এর থেকেই নাক ডাকতে পারে। এছাড়াও গরুর দুধে প্রচুর পরিমাণে মিউকাস থাকায় তা রেসপিরিটরি সিস্টেমের জন্যও ভালো নয়। সোয়া মিল্কে এসব সমস্যা নেই।

২) চা – চা খেলে  কনজেশন এবং শ্লেষ্মা কমে। তার ফলে নাক ডাকা কমে। চা খাবার সময় যে বাষ্প নির্গত হয় তা ন্যাসাল প্যাসেজকে প্রশমিত করে। এটি মিউকাসকে তরল করে যার ফলে নাক ডাকার  সমস্যার উপশম হয়।

৩) মধু – মধু আপনার কণ্ঠনালীকে মসৃণ করে। মধুর মধ্যে অ্যান্টি ব্যাকটিরিয়াল এবং অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি দু’রকমের গুণই আছে। যা স্বরনালীকে পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। রাতে ঘুমের আগে চায়ের সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেলে জিভের তৃপ্তির পাশাপাশি নাকডাকাও কমবে।

৪) হলুদ – অনেক সময়েই নাক ডাকার কারণ হল ইনফ্ল্যামেশন। যার ফলে আমদের কন্ঠনালী বা নাকে যথেষ্ট পরিমাণে হাওয়া চলাচলের জায়গা থাকে না। হলুদ অত্যন্ত ক্ষমতশালী অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি খাবার। এর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি অক্সিডান্ট কারকুমিন যা ইনফ্ল্যামেশন কমাতে সাহায্য করে। তবে মনে রাখবেন সাপ্লিমেন্ট হিসেবে হলুদ খেলে খুব একটা কাজে লাগে না। যে কোনও পানীয়ের সঙ্গে হলুদ মিশিয়ে খাওয়ার চেষ্টা করুন।

৫) মাছ – মাছ খাওয়ার চেয়েও বেশী গুরূত্বপূর্ণ রেড মিট কম খাওয়া। রেড মিটের স্যাটুরেটেড ফ্যাটে থাকে যা গলার টিসু আর সাইনাসকে স্ফীত করে তোলে। অন্যদিকে মাছ খেলে (বিশেষ করে তৈলাক্ত মাছ) তার থেকে যে ফ্যাটি অ্যাসিড নির্গত হয়‚ তা ইনফ্লেমেশন কমাতে সাহায্য করে।

৬) পেঁয়াজ – এটাকে নাকডাকার সমস্যার অব্যর্থ ওষুধ মানেন অনেকেই। পেঁয়াজের মধ্যে প্রচুর পরিমানে অ্যান্টি ইনফ্লেমেটরি পদার্থ  থাকে যা ন্যাসাল প্যাসেজকে পরিষ্কার রেখে বেশী পরিমাণে হাওয়া চলাচলে সাহায্য করে।

আরও পড়ুন: Breast Cancer: জীবনধারায় ছোট্ট পরিবর্তন গুলিই আপনাকে স্তন ক্যান্সারের হাত থেকে দূরে রাখতে পারে

আরও পড়ুন: Insomnia Prevention: অনিদ্রায় ভুগছেন? এই ঘরোয়া পদ্ধতিগুলো মেনে চললেই নিরাময় পাবেন…

Next Article