Teeth Whitening Toothpaste: কথায় বলে দাঁত থাকতে দাঁতের মর্ম বোঝে না। দাঁতের ব্যথা একবার যার হয় সেই বোঝে যে কতটা কষ্ট হয়। দাঁতের ব্যথায় রাতের ঘুম উড়ে যায়। আর দাঁতের ব্যতা হলে কান আর মাথাতেও কিন্তু ব্যথা করে। রোজ তাই নিয়ম করে দুবেলা অন্তত ব্রাশ করা খুব জরুরি। সকালে উঠে এবং রাতে খাবার খাওয়ার পর। এতে খাবারের কণা দাঁতের ফাঁকে আটকে থাকে না। দাঁতে খাবারের কণা আটকে থাকলে সেখান থেকেই আসে ক্যাভিটির সম্ভাবনা। এছাড়াও হতে পারে নানা রকম সংক্রমণ। সেখান থেকে মুখে দুর্গন্ধ হয়।
বাজারে এখন নানা রকম টুথপেস্ট পাওয়া যায়। বলা হয় সব টুথপেস্টের মধ্যেই থাকে নিম, নুন, লবঙ্গ, তুলসির গুণ। কিন্তু এগুলি সবই ফ্লেভার। আসল দেওয়া সম্ভব না। ফ্লেভার মানেই তার মধ্যে থাকে প্রিজারভেটিভ, কেমিক্যাল। এছাড়াও টুথপেস্টে মেশানো হয় ট্রাইক্লোসান, সোডিয়াম লরেল সালফেট, প্রোপিলিন গ্লাইকলের মতো রাসায়নিক উপাদান। থাকে কিছু পরিমাণ কেমিক্যাল শর্করাও। যে কারণে টুথপেস্টের স্বাদ মিষ্টি। এই শর্করা থেকে তৈরি হতে পারে ক্যাভিটি। যে কারণে বেশি ফ্লেভারযুক্ত কোনও টুথপেস্ট ব্যবহার করতে মানা করেন বিশেষজ্ঞরা। সব সময় জোর দেওয়া হয় মেডিকেটেড টুথপেস্টের উপর।
কী ভাবে বাড়িতেই তৈরি করবেন টুথপেস্ট
আগেকার দিনে নিমের দাঁতনের খুবই ব্যবহার ছিল। নিম দিয়ে দাঁত মাজলে মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়। সেই সঙ্গে ব্যাকটেরিয়াঘটিত কোনও সংক্রমণের সম্ভাবনাও থাকে না। নিমের ডাল থেঁতো করে এর সঙ্গে তুলসী পাতা বেটেও বানিয়ে নিতে পারেন টুথপেস্ট।
বেকিং সোডা, নুন, সরষের তেল দিয়ে ঘন মিশ্রণ বানিয়ে নিন। এই পেস্ট দিয়ে দাঁত মাজলে মুখের দুর্গন্ধ দূর হয়। কোনও রকম সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকে না। দাঁতের ক্ষয় ক্ষতিও হয় না। বেশ কিছু টুথপেস্ট থাকে যা দিয়ে নিয়মিত ভাবে দাঁত মাজলে দাঁতের অ্যানামেল ক্ষয়ে যায়। টুথপেস্টে নুন থাকলে দাঁত উজ্জ্বল থাকে। দাঁত হলুদ হওয়া থেকে আটকায় নুন। এতে প্রাকৃতিক ফ্লুরাইড থাকে। যা দাঁতের জন্য উপকারী।
এছাড়াও বেকিং সোডা আর পিপারমেন্ট অয়েল ব্যবহার করেও বানানো যেতে পারে টুথপেস্ট। পিপারমেন্ট মুখের ফ্রেশনেস বজায় রাখতে সাহায্য করে। সেই সঙগে যাবতীয় সংক্রমণও দূরে রাখে। দাঁতকে মজবুত করে। মুখের স্যালাইভা লেভেল বজায় রাখতেও সাহায্য করে।
কাঠকয়লার গুঁড়ো আর রকসল্ট একসঙ্গে মিশিয়েও বানিয়ে নিতে পারেন পেস্ট।