খাওয়ার পর অন্তত ১ ঘণ্টা কোনও ভারী কাজ করতে বারণ করা হয়। সে সাঁতার কাটাই হোক কিংবা দৌড়নো বা অন্য কিছু। এগুলো বলা হয় মূলত ক্র্যাম্প এড়ানোর জন্য। কিন্তু আজকের দিনে আর এই প্রচলিত ধারণাতে থাকলে হবে না। কারণ আজকের দিনে অ্যাসিড রিফ্লাক্সের পরিমাণ আমাদের মধ্যে বেড়ে চলেছে। এখন আমাদের কমপক্ষে ২ ঘণ্টা এই নির্দেশিকা মেনে চলতে হবে।
অ্যাসিড রিফ্লাক্স কতটা সাধারণ?
অ্যাসিড রিফ্লাক্স আমেরিকান প্রাপ্তবয়স্কদের করা স্বাস্থ্য অভিযোগগুলির মধ্যে সবচেয়ে সাধারণ। প্যান্ডেমিকের চাপ এবং ওজন বৃদ্ধির প্রেক্ষিতে এটি আরও সাধারণ হয়ে উঠতে পারে। গত বছরের শেষের দিকে, ফার্মেসিগুলি “প্যান্ডেমিক স্টোমাক” বলে একটা প্রচলিত কথা শুরু করেছিল। এর কারণ ছিল খুবই সাধারণ। এই মানুষগুলির এত বেশি পরিমাণে অম্বল হচ্ছিল যে এঁরা প্রায়শই অ্যান্টাসিড খাওয়া শুরু করেছিল।
প্যান্ডেমিকের আগেও, ২০১৯ থেকে ৭১,০০০-এরও বেশি প্রাপ্তবয়স্কদের একটি অনলাইন সার্ভে করা হয়। এতে দেখা গেছে যে এঁদের প্রায় এক তৃতীয়াংশ রিপোর্ট করেছেন তাঁরা সাপ্তাহিকভাবেই অ্যাসিড রিফ্লাক্সের অস্বস্তিকর উপসর্গ দ্বারা প্রভাবিত হয়েছেন।
উপসর্গগুলো কী?
প্রচলিত লক্ষণগুলির মধ্যে বুক জ্বালা, গলায় কিছু আটকে থাকার অনুভূতি প্রায়ই দেখা যায়। এছাড়া পেট থেকে টক আর আংশিক হজম হওয়া খাবার ঢেকুরের সঙ্গে মুখের মধ্যে ফিরে আসতেও পারে। রিফ্লাক্স শ্বাসযন্ত্রকেও প্রভাবিত করতে পারে, যার ফলে শ্বাসকষ্ট, কাশি বা হাঁপানির সম্ভাবনা থাকে।
কিন্তু ক্রমাগত অ্যাসিড রিফ্লাক্স শুধুমাত্র বিরক্তিকর নয়। যদি এটি প্রায়শই ঘটে এবং খুব বেশি সময় ধরে চলতে থাকে, তাহলে এটি খাদ্যনালীর আস্তরণ নষ্ট করে দিতে পারে। এছাড়া এসোফেজিয়াল অ্যাডিনোকার্সিনোমা নামের মারাত্মক ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়।
কীভাবে এড়িয়ে চলতে পারেন?
১) ধূমপান করবেন না: তামাক অ্যাসিডিক খাবারগুলি খাদ্যনালী ছেড়ে যাওয়ার জন্য যে সময় লাগে তা বাড়িয়ে দিতে পারে। এই ধূমপানের কারণে অ্যাসিড রিফ্লাক্স মারাত্মক রকমের সক্রিয় হয়ে যায়। তাই, ধূমপান এড়িয়ে যাওয়া অ্যাসিড রিফ্লাক্স থেকে মুক্তি পাওয়ার প্রাথমিক ধাপগুলোর একটা।
২) নিয়মিত অনুশীলন: হার্ভার্ডের একটা টিম জানিয়েছে, প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিটের জন্য মাঝারি থেকে ভারী শারীরিক ক্রিয়াকলাপ করা জরুরি। এতে তাঁদের অ্যাসিড রিফ্লাক্সের লক্ষণগুলি হওয়ার সম্ভাবনা কম হয়।
৩) কফি, চা এবং সোডা খাওয়ার পরিমাণ কমিয়ে দিন: যাঁরা প্রতিদিন দু’কাপের বেশি কফি, চা বা সোডা খায় তাঁদের মধ্যে রিফ্লাক্সের ঝুঁকি বেশি দেখা যায়। চা, কফি খাওয়ার পরিমাণ কমানোর সঙ্গে সঙ্গে এর পরিমাণ কমতে থাকে।
আরও পড়ুন: নবজাতকের মধ্যে জন্ডিসের সমস্যা কি সাধারণ? দেখে নিন এর উপসর্গগুলি কী কী
আরও পড়ুন: বাতাসে আরও বেশি করে মিশছে কোভিড ১৯-এর নয়া ভ্যারিয়েন্ট! চিন্তায় বিজ্ঞানীরা