Irritable bowel syndrome Vs Lactose Intolerance: দুটোই পেট এবং হজম সংক্রান্ত সমস্যা, কিন্তু কীভাবে এই সমস্যাগুলিকে আলাদা করবেন?
Bloating: দুধ কিংবা দুধের খাবার খেলে অনেকেরই হজমের সমস্যা হয়। গ্যাস-অম্বল লেগেই থাকে। অনেকের ক্ষেত্রে ডায়ারিয়ার মতো সমস্যাও আসে। আবার অনেকেই দীর্ঘদিন ধরে ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোমে ভোগেন. কিন্তু তা তাঁরা নিজেরাও বুঝতে পারেন না

গ্যাস-অম্বলের সমস্যা বাঙালির চিরকালীন। শরীরে আর অন্য কোনও সমস্যা থাক বা না থাক, এই বদহজমের সমস্যা থাকবেই। সেই সমস্যা এমনই পর্যায়ে গিয়েছে যে মাসকাবারির বাজারে ধরা থাকে একপাতা গ্যাসের বড়িও। কিন্তু এই সমস্যা নিয়ে সকলে সচেতন নন। বেশিরভাগই সময়ে চিকিৎসকের কাছে যান না।
ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম (IBS) এবং ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স ( Lactose intolerance) এই দুই হল হজম সংক্রান্ত সমস্যা। পেটের এই সমস্যায় (Irritable bowel syndrome) কিন্তু অনেকেই ভোগেন। প্রায়শই পেট ব্যথা, ক্র্যাম্প ধরা, পেট ফেঁপে যাওয়া, গ্যাস, ডায়ারিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য- এই সবই কিন্তু ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোমের লক্ষণ। আর এই সবকটি সমস্যার সঙ্গে জড়়িয়ে খাবার।
খাবার ঠিকমত হজম না হলে গ্যাস-অম্বল হতে বাধ্য। আর এই সমস্যা দীর্ঘমেয়াদি হলে কিন্তু প্রভাব পড়ে অন্ত্রের উপর। এবং এই সমস্যা ক্রিনক হয়ে গেলে ওষুধেও সারানো কঠিন হয়ে পড়ে। সামান্যতম তেল-মশলার খাবার খেলেও হতে পারে সমস্যা।
ল্যাকটোজ ইনটলারেন্স হল এমন সমস্যা যেখানে দুধ কিংবা দুগ্ধজাত খাবার খেলেই হবে ডায়ারিয়ার মত সমস্যা।কারণ দুধের মধ্যে থাকা এই ল্যাকটোজ কোনও ভাবেই শরীর হজম করতে পারে না। আর সেখান থেকেই এই বিপত্তি। যাঁরা ল্যাকটোজ ইনটলারেন্সে ভোগেন তাঁদের সমস্যা কিন্তু থাকে ছোট থেকেই। কিন্তু অনেকে তা ধরতেই পারেন না। দুধ কিংবা দুধের তৈরি কোনও খাবার খেলেই গ্যাস বমি, পেটখারাপ কিংবা কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো সমস্যা হয়। আর এই সমস্যা হলেই ধরে নিতে হবে আপনি ল্যাকটোজ ইনটলারেন্সে ভুগছেন। সংশ্লিষ্ট চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ শুরু করতে হবে , যত দ্রুত সম্ভব।
যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে এই ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোমে (IBS) ভুগছেন তাঁদের ক্ষেত্রে পেশির সংচোচন-প্রসারণেও সমস্যা হয়। অল্পেই যেমন পেটের ব্যথা, বদহজম জেঁকে বসে তেমনই ব্যথা সহ্য করার ক্ষমতা কমে যায়। সেই সঙ্গে সপ্তাহের মধ্যে ডায়েরিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য এসব লেগেই থাকে। এই সমস্যা ১৮ বছর থেকে শুরু করে ৪০ এর কম বয়সীদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।
*নিয়মিত এই সমস্যা হলে সেখান থেকে অন্ত্রে সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকে। ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের মধ্যে এই সমস্যা অনেক বেশি দেখা যায়। তবে যাঁদের পারিবারিক ইতিহাসে এই রোগ রয়েছে তাঁদের ক্ষেত্রে কিন্তু রোগভোগের সম্ভাবনা বেড়ে যায় অনেকখানি।
*দুধের মধ্যে প্রাকৃতিক ভাবেই কিছু পরিমাণ চিনি থাকে। আর সেই চিনি কিন্তু অনেকের শরীর গ্রহণ করতে পারে না। কারণ এই ল্যাকটোজ হজমের জন্য প্রয়োজনীয় উৎসেক শরীর তৈরি করতে পারে না।
*ব্রেস্ট মিল্কের মধ্যেও থাকে এই ল্যাকটোজ। যে সব নাবজাতক এই ল্যাকটোজ হজম করতে পারে না তাদেরও কিন্তু স্তন্যপানে সমস্যা হয়। আর সেখান থেকে ডায়ারিয়ায় মত সমস্যাতেও তারা ভোগে।
*যাদের অন্ত্রে কোনও রকম সমস্যা থাকে কিংবা অস্ত্রোপচার হয়েছে তাদেরও কিন্তু এই ল্যাকটোজ ইনটলারেন্সের সমস্যা থাকে।
এই দুই সমস্যার সাধারণ লক্ষণ কিন্তু পেট ফেঁপে যাওয়া, পেট ব্যথা, ডায়রিয়া এবং গ্যাস। আর এই সব কারণেই হয় কোষ্ঠকাঠিন্য। এমনকী হয় পেশির ব্যথাও। নিয়মিত স্ট্রেস, খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন কিংবা একটানা কোনও ওষুধ খেলে সেখান থেকে হতে পারে এই IBS-এর সমস্যা।
এই দুই সমস্যা এড়াতে চাইতে মানতে হবে বেশ কিছু নিয়ম। যেমন বাইরের খাবার, মিষ্টি, দুধ চা, মিষ্টি দই, আইসক্রিম, পায়েস-এসব একেবারেই এড়িয়ে চলতে হবে। সেই সঙ্গে ফাইবার, সবজি, ফল বেশি করে খেতে হবে। এড়িয়ে চলা ভাল গ্লুটেনও। স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য নিয়মিত এক্সসারসাইজ প্রয়োজন। এছাড়াও চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে ভুলবেন না।
আরও পড়ুন: Stomach ulcers: নিয়মিত পেটে জ্বালাও হতে পারে আলসারের প্রাথমিক লক্ষণ! অবহেলা নয় …
