ওজন বেড়ে যাচ্ছে, ভুঁড়ি হচ্ছে- এই সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। ওজন কমানোর জন্য নিয়ম করে ডায়েট আর শরীরচর্চা করতেই হবে। এর কোনও বিকল্প নেই। এমনকী কাজ হবে না কোনও সাপ্লিমেন্টেও। তবু সকলে যেন সেই সহজ পন্থার দিকেই ঝুঁকচেন। নিজের জন্য ৩০ মিনিট সময়ও বের করতে পারছেন না অনেকে। ফলে বাড়ছে একাধিক শারীরিক সমস্যা। ওজন+ভুঁড়ি মানেই ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল থাকবেই। আর তাই একবার কাজে লাগাতে পারেন রসুনকে।
রোজকার রান্নায় ব্যবহার করা হয় রসুন। এককুচি রসুন গরম তেলে পড়লেই তার যে সুগন্ধ ওঠে তাতেই যেন অর্ধেক খাওয়া হয়ে যায়। যে কোনও পদেই অতিরিক্ত মাত্রা যোগ করে দেয় রসুন। প্রাচীন আয়ুর্বেদেও কিন্তু এর প্রচুর কদর রয়েছে। ওজন কমাতেও রসুন সেরা। সম্প্রতি বেশ কয়েকটি সমীক্ষা থেকেই তা প্রমাণিত।
রসুনে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার, ক্যালসিয়াম, ভিটামিন বি৬, ভিটামিন সি এবং ম্যাঙ্গানিজ রয়েছে। এছাড়াও রসুন শরীর থেকে টক্সিন এবং ক্ষতিকারক পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে। পাশাপাশি এটি হজম শক্তিরও উন্নতি ঘটায়, যা ওজন কমাতেও সাহায্য করে। এছাড়া রসুনে ফ্যাট বার্নিং কম্পাউন্ড পাওয়া যায়, যা শরীরে অতিরিক্ত চর্বি জমতে দেয় না।
প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে উঠে একগ্লাস ইষদুষ্ণ জলে ১-২ কোয়া রসুন খেতে পারেন। এক্ষেত্রে গোটা এককোয়া রসুন চিবিয়ে খেতে পারলে উপকার সবচাইতে বেশি। নইলে রসুন থেঁতো করে ইষদুষ্ণ দলে রাতে ভিজদিয়ে রাখুন। পরদিন তা ছেঁকে নিয়ে মধু মিশিয়ে খেয়ে নিন। এতেও কিন্তু উপকার পাবেন।
এছাড়াও গরম জলে লেবু-মধু আর রসুন মিশিয়েও খেতে পারেন। এতে মেটাবলিজম বাড়বে। পেটের মেদ ঝরবে দ্রুত। নইলে মধুর মধ্যে কয়েক কোয়া রসুন ভিজিয়ে রাখুন সারা রাত। পরদিন সকালে তা চিবিয়ে খান।
ডায়াবেটিসের সমস্যাতেও খুব ভাল কাজ করে রসুন। রোজ এককোয়া রসুন সুগার রোগীদের জন্য খুব ভাল।
রসুনে রয়েছে অ্যালিন নামক একটি পদার্থ। রসুন চিবিয়ে খাওয়ার সময় সেটি সক্রিয় অ্যালিসিনে পরিণত হয়। অ্যালিসিনে সালফারের উপস্থিতিই রসুনের নির্দিষ্ট স্বাদ-গন্ধের কারণ। অ্যালিসিন সক্রিয় হওয়ার কারণেই এটি সালফারযুক্ত নানা সক্রিয় যৌগে পরিণত হয়। এগুলি শ্বেত রক্তকণিকার শক্তি বাড়িয়ে দেয়, ফলে সাধারণ সর্দি-কাশি যে ভাইরাসের জন্য হয়, সেগুলির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা গড়ে ওঠে শ্বেত রক্তকণিকায়।