সন্তানসম্ভবা মায়ের উচিত সবসময় পুষ্টিকর খাদ্য খাওয়া। ভ্রূণের বিকাশ ও মায়ের শরীর ভালো রাখার জন্য তাই ডায়েটে যোগ করা দরকার ফল, সব্জি এবং পর্যাপ্ত কার্বোহাইড্রেট। এছাড়া শরীরে প্রোটিনের জোগান বজায় রাখার জন্য উপযুক্ত পরিমাণে মাছ ও মাংস খাওয়াও দরকার।
তবে শুধু ডায়েট নয়। অন্যান্য কিছু বিষয়েও গর্ভবতী মহিলাদের সতর্ক থাকা বাঞ্ছনীয় যাতে শরীরের অন্দরে গড়ে ওঠা কুট্টিটার কোনও ক্ষতি না হয়। এই সময়ে অনেক খাদ্যবস্তুই আগের মতো গ্রহণ করা যায় না। এমনই একটি খাদ্যবস্তু হল রসুন। প্রেগন্যান্সির সময় রসুন খাওয়া নিয়ে নানা বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে আছে। রসুনে অ্যান্টিসেপটিক এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান আছে। তা সত্ত্বেও বহু লোকে প্রেগন্যান্সির সময় কাঁচা রসুন খাওয়া এড়িয়ে চলতে বলেন। সত্যিই কি সন্তানসম্ভবা মহিলাদের রসুন খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত?
আরও পড়ুন: ন্যাজাল ভ্যাকসিন কীভাবে কাজ করে, ইঞ্জেকশন টিকার সঙ্গে তফাত কোথায়?
দেখা যাক, প্রেগন্যান্ট মহিলারা রসুন খেতে পারবেন কি না—
বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন একজন স্বাভাবিক ব্যক্তি প্রতিদিন ২ থেকে ৪ কোয়া রসুন বা ৬০০ থেকে ১২০০ মিলিগ্রাম রসুন খেতে পারেন। তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করছেন, প্রেগন্যান্সির সময়ে কাঁচা রসুন না খাওয়াই ভালো। কাঁচা রসুন থেকে সন্তানসম্ভবা মহিলাদের শারীরিক সমস্যা তৈরি হতে পারে যা মা ও ভ্রূণের স্বাস্থ্যের পক্ষে হিতকর নয়। আসলে রসুনে থাকে রক্ত তরল রাখার উপাদান। এই কারণেই উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে যুগযুগ ধরে রসুনের ব্যবহার হয়ে আসছে। তবে গর্ভবতী মহিলাদের ক্ষেত্রে কাঁচা রসুন খেলে তা রক্তচাপে বড়সড় হেরফের ঘটাতে পারে। এই কারণেই গর্ভবতী মহিলাদের একসঙ্গে অনেকগুলি কাঁচা রসুন খাওয়া এড়িয়ে চলতেই পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। বরং রান্না করা খাবারে অল্প পরিমাণে রসুন ব্যবহার করতেই পরামর্শ দিচ্ছেন তাঁরা।