করোনা অতিমারির জেরে টানা ২ বছর অনলাইনে ক্লাস করার পর অবশেষে স্কুলে যেতে শুরু করেছে বাচ্চারা। সারা দেশেই স্কুলগুলিতে প্রাইমারি বিভাগ চালু হয়ে গিয়েছে পুরোদমে। বন্ধুদের সঙ্গে ফের দেখা হওয়া, একসঙ্গে টিফিন শেয়ার করে খাওয়া, হুড়োহুড়ি করা, সবই এখন আগের মতন শুরু হয়েছে।
গরমকালে ক্রমবর্ধমান তাপপ্রবাহের জেরে অন্য আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। কয়েক মিনিট বাইরে পা রাখাই এখন অসম্ভব। এপ্রিলের মাঝামাঝি থেকে দুনের মাঝামাঝি সময় পর্যন্ত গরমের হাল আরও খারাপ হতে থাকে।
এই সময় বাচ্চাদের তাপপ্রবাহ থেকে কীভাবে সুস্থ রাখবেন, রক্ষাকবজই বা কী, তা জেনে নিন একঝলকে…
হাইড্রেশন- গ্রীষ্মের তাপপ্রবাহের জেরে আপনার শিশুর ডিহাইড্রেটেড হতে পারে। যার ফলে মাথা ঘোরা, বমি করা হতে পারে। এমনকি সান স্ট্রোকও হতে পারে। গরমকালে শিশুকে হাইড্রেশন রাখতে যতটা সম্ভব পানীয় জল খাওয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে গিন। তাতে শিশু থাকবে স্বাভাবিক সক্রিয়। প্রতিদিন ২-৩লিটার জল পান করান। পানীয় জলের সঙ্গে হাইড্রেটেড রাখতে নারকেল জল, লেবুর জল, বেলের শরবত দিতে পারেন।
বাড়ির বাইরে বেশিক্ষণ একদম না- বাচ্চারা বাইরে খেলতে যেতে বা সাইকেল চালাতে বায়না করে। বিকেলের মধ্যে সেই খেলা যদি সীমিত রাখতে পারেন, তাহলে মঙ্গল। কিন্তু বাড়ির বাইরে প্রখর রোদের মধ্যে খেলা এড়িয়ে চলুন। বাড়ির মধ্যে ঠান্ডা জায়গায় খেলার জন্য জোড় দিন। গ্রীষ্মকালে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টার মধ্যে সূর্যের রশ্মি সবচেয়ে বেশি হয়। তাই খেলার জন্য উপযুক্ত সময় হল বিকেল ৫টার পর। তাতে তাপপ্রবাহের ঝুঁকি থাকে না।
সানস্ক্রিন লাগান- বড়দের জন্যই শুধু সানস্ক্রিন নয়, ছোটদের জন্যও সমানভাবে প্রয়োজনীয়। প্রাপ্তবয়স্কদের তুলনায় বাচ্চাদের ত্বক বেশি নরম ও সংবেদনশীল। ফুলকুড়ি, রোদে পোড়ার দাগ ও ব্রণ হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। বাচ্চা বিকেলে বাড়ির বাইরে গেলেও সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন। সঙ্গে টুপি, ছাতা ও জলের বোতল অবশ্যই রাখবেন।
হালকা পোশাক পরান- গরমের মরশুমে সুতির হালকা ধরনের পোশাক পরান। তাতে ঘাম শোষণ হবে। হালকা রঙের সুতির কাপড় কম তাপ শোষণ করে ও শরীরকে ঠান্ডা রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া সুতির জামাকাপড় প্রচণ্ড গরমের কারণে ত্বকের ফুসকুড়ি এবং চুলকানি প্রতিরোধ করে।
স্বাস্থ্যকর খাবার: গরমের কথা মাথায় রেখে প্রতিদিন তাজা ও হালকা খাবার খাওয়ান। চর্বিযুক্ত, বাসি এবং ভাজা খাবার ডায়রিয়া এবং বমি হতে পারে। খাদ্যতালিকায় মরশুমি তাজা এবং সবুজ ফল এবং সবজি যোগ করুন। শরীর যাতে হাইড্রেটেড রাখতে পারে এবং তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে, তেমন খাবার খাওয়ান।
হিটস্ট্রোকের লক্ষণগুলি সন্ধান করুন: এমনকি সমস্ত সতর্কতা সত্ত্বেও, আপনি কখনই তাপপ্রবাহের সম্ভাবনাকে উড়িয়ে দিতে পারেন না। তাপ প্রবাহের প্রাথমিক লক্ষণ এবং উপসর্গগুলি কী কী ত জেনে রাখা দরকার। তাতে কোনও জটিলতা এড়াতে সঠিক সময়ে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে পারেন। তাপপ্রবাহের কিছু সাধারণ উপসর্গগুলি হল…
অত্যাধিক ঘাম হওয়া, ফ্যাকাশে হয়ে যাওয়া, পেশিতে টান ধরা, ক্লান্তিভাব, দুর্বলতা, মাথা ঘোরা, মাথাব্যথা, বমি বমি ভাব বা বমি হওয়া।