Heat Stroke: প্রচণ্ড গরমে হিট স্ট্রোক হওয়ার আগে শরীর জানান দেয় হিট এক্সজশনের কথা! সুরক্ষিত থাকতে জেনে নিন এর উপসর্গ
Heat Exhaustion: গরমে যে সমস্যা সবচেয়ে বেশি দেখা যায়, তা হল হিট স্ট্রোক। এছাড়াও রয়েছ হিট এক্সজশনের ঝুঁকি। এই দুই রোগের মধ্যে পার্থক্য কোথায় জানেন?
চৈত্র মাসেই যে গরম পড়েছে, তাতে বৈশাখ জ্যৈষ্ঠ মাসে বেঁচে থাকা দায় উঠবে সবার। এখনই মানুষ গরমে হাঁসফাঁস করছে। এরপর দিন যত যাবে, গরম বাড়বে। এখন নেই আর কোনও কোভিড। খুলে গেছে স্কুল, কলেজও। রোজ এই গরমে বাইরে বের হওয়ার সঙ্গে বাড়ছে রোগের (Diseases) ঝুঁকিও। তাই এই সময় ছোট থেকে বড় সবার সাবধান থাকা দরকার। এর পাশাপাশি সব সময় হাইড্রেট (Stay Hydrated) থাকুন। কারণ শরীর কোনও ভাবে ডিহাইড্রেট হয়ে গেলে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে এই গরমে। এর সঙ্গে যে সমস্যা সবচেয়ে বেশি গরমে দেখা যায়, তা হল হিট স্ট্রোক (Heat Stroke)। এছাড়াও হিট এক্সজশনের (Heat Exhaustion) সমস্যাও দেখা যায়। কিন্তু এই হিট স্ট্রোক আর হিট এক্সজশনের মধ্যে পার্থক্য কোথায়? এর লক্ষণগুলিই বা কী? জেনে নিন…
হিট স্ট্রোক ও হিট এক্সজশনের মধ্যে প্রধান পার্থক্য হল, হিট স্ট্রোক সবচেয়ে গুরুতর তাপ-সম্পর্কিত শারীরিক অসুস্থতা এবং এটা মারাত্মক হতে পারে। ডিহাইড্রেশন এবং হিট এক্সহউশনের লক্ষণগুলি বোঝার পাশাপাশি কীভাবে এর চিকিৎসা করা যায় তা বোঝাও গুরুত্বপূর্ণ, যাতে আপনি এই সমস্যা এড়াতে পারেন।
হিট স্ট্রোক বনাম হিট এক্সজশন
হিট স্ট্রোক ও হিট এক্সহউশন উভয়ই গুরুতর অবস্থা। হিট এক্সজশন সাধারণ পেশী দুর্বলতা, হঠাৎ অত্যধিক ঘাম, বমি বমি ভাব ও বমি হওয়া এবং অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার মত লক্ষণগুলির সঙ্গে শুরু হয়। অন্যদিকে হিট স্ট্রোক হল যখন আপনার শরীরের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা ১০৩ ডিগ্রির ওপরে পৌঁছে যায়।
হিট এক্সজশন-এর উপসর্গ
হিট এক্সজশন এবং ডিহাইড্রেশনের বিষয় কিছু এক এবং এটা একসঙ্গে ঘটে। ডিহাইড্রেশন হল যখন শরীরে তরল বা ইলেক্ট্রোলাইটের পরিমাণ হ্রাস পায় কিংবা ভারসাম্য হারিয়ে ফেলে। হিট এক্সজশন প্রায়ই ঘটে যখন ডিহাইড্রেশন সূর্য বা তাপের বর্ধিত এক্সপোজারের সঙ্গে মিলিত হয়। হিট এক্সহউশনের লক্ষণগুলি হল- অত্যধিক ঘাম হওয়া, ফ্যাকাশে, পেশিতে ব্যথা, ক্লান্তি, দুর্বলতা, মাথা ঘোরা, মাথা ব্যাথা, বমি বমি ভাব এবং অজ্ঞান হয়ে যাওয়া।
হিট এক্সজশনের লক্ষণগুলির মুখোমুখি হওয়ার সময় প্রথম এবং সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিসটি হল ঠান্ডা, অ-অ্যালকোহলযুক্ত পানীয় পান করে শরীরকে দ্রুত শীতল করা। বিশ্রাম নেওয়া, ঠান্ডা জলে স্নান করা, হালকা পোশাক পরা। এক কথায় শরীরকে যেন-তেন প্রকারে ঠান্ডা রাখা এবং হাইড্রেট রাখা। শরীর ঠান্ডা হয়ে গেলে, হিট স্ট্রোকের ঝুঁকি কমে যায়।
অন্যদিকে, হিট স্ট্রোক তখন ঘটে যখন শরীরের অভ্যন্তরীণ তাপমাত্রা ১০৩ ডিগ্রির ওপর পৌঁছে যায়। প্রচণ্ড গরমে শরীরের তাপমাত্রাও বেড়ে যায়। এই সময় আমাদের হৃদপিণ্ড দ্রুত স্পন্দিত হয় এবং রক্ত পাম্প করার জন্য একে বেশি পরিশ্রম করতে হয়। এই কারণে ত্বকের সারফেসে ঘাম তৈরি হয়। এই ঘাম আমাদের শরীরকে শীতল রাখতে সাহায্য করে। যদি আপনার শরীর নিজে থেকে ঠান্ডা হতে পারে না, তখন সমস্ত হৃদপিণ্ড সহ শরীরের অন্যান্য অঙ্গগুলির উপর পড়ে এবং তাদের ক্ষতি করে। তখন যে মারাত্মক অবস্থা ঘটে তাকেই হিট স্ট্রোক বলা হয়।
হিট স্ট্রোক হওয়ার আগের প্রাথমিক লক্ষণ হল হিট এক্সজশন। হিট এক্সজশনের উপসর্গগুলো যখন চরম পর্যায়ে পৌঁছে যায়, তখন ঘটে হিট এক্সহউশন। তাই প্রথম হিট এক্সজশনের লক্ষণগুলি চিনুন এবং হিট স্ট্রোককে প্রতিরোধ করুন।
আরও পড়ুন: মানসিক চাপের মধ্যে বেশি করে চিপস, চকোলেট খাচ্ছেন? কেন হয় এমন, ব্যাখ্যা করলেন পুষ্টিবিদ