সেপ্টেম্বর থেকে ভারতে উৎসবের মরসুম একপ্রকার শুরু হয়ে যায়। মানুষকে উৎসবের থেকে দূরে সরিয়ে রাখা কখনওই সম্ভব হয় না। আজকের দিনে কোভিডের কারণে যে প্যান্ডেমিকের সৃষ্টি হয়েছে তাতে উৎসবে অংশ নিলেও আমাদের কিছু সাধারণ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
আসন্ন উৎসবের সিজনে আনন্দ করার পাশাপাশি আমাদের নিজেদের স্বাস্থ্য নিয়ে বিশেষ সচেতন থাকতে হবে। বাড়ির বাইরে বা ভিতরে, নিম্নলিখিত উপায়গুলি আমাদের অবশ্যই মেনে চলতে হবে। আর চেষ্টা করতে হবে যতটা সম্ভব কম বাড়ি থেকে বেরনোর। পরবর্তীতকালে কোনওরকমের শারীরিক অসুস্থতা বা প্রচুর খরচের হাত থেকে নিজেদের বাঁচাতে আজ থেকেই তৈরি থাকতে হবে।
পরিমাপ নেওয়ার সমস্তরকম যন্ত্রের উপস্থিতি:
একটি থার্মোমিটার এবং বিশেষত একটি ডিজিটাল ইনফ্রারেড আমাদের বাড়িতে থাকা অপরিহার্য। শুধুমাত্র কোভিডের জন্যই নয়, যে কোনও ধরনের অসুস্থতায় তাপমাত্রা যাচাই করা প্রথম পদক্ষেপগুলির মধ্যে একটি। তারপর বিশেষ করে কোভিডের কারণে বা অন্যান্য শ্বাস প্রশ্বাসজনিত সমস্যার কারণে আমাদের অক্সিজেনের মাত্রা ট্র্যাক রাখা প্রয়োজন। তাই, আমাদের বাড়িতে একটি পালস অক্সিমিটার অবশ্যই রাখা দরকার।
খুব ভাল মানের মাস্ক:
ভাল মানের মাস্কগুলি ভয়ঙ্কর ভাইরাসের বিরুদ্ধে আমাদের প্রাথমিক পর্যায়ের সুরক্ষা দিয়ে থাকে। এক ব্যক্তির থেকে অন্য ব্যক্তির মধ্যে ভাইরাসের সংক্রমণ রোধ করতে মাস্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এক্ষেত্রে কেউ খুব ভাল মানের এসএমএস-ম্যাটেরিয়াল মাস্ক খুঁজতে পারে যা সাধারণত চার স্তর বিশিষ্ট হয় আর এরা অনেক সূক্ষ্ম কণাকেও আটকে দিতে পারে। উপরন্তু, মাস্কটির কানের লুপটিও এলার্জি বিরোধী। সেক্ষেত্রে অনেকক্ষণ পরে থাকার সময় অস্বস্তি হওয়ার অবকাশ কম। একটি ফ্রি-সাইজ মাস্ক বেছে নিন যা কিছু সময় অন্তর ধোয়াও যাবে।
নিউট্রাসিউটিক্যালস এবং সাপ্লিমেন্টের একটি প্রস্তুত যোগান:
আমাদের ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করার জন্য বিভিন্ন নিউট্রিয়েন্টস, মাল্টিভিটামিন এবং খনিজের সঠিক যোগান প্রয়োজন। এগুলি ভিটামিন ডি থেকে ভিটামিন সি এর পরিপূরক, মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টসের জন্য জিঙ্ক ট্যাবলেট এবং ওমেগা ৩-এর পরিপূরক আকারে পাওয়া যেতে পারে। ভিটামিন ডি এর অভাবে শ্বাসকষ্ট হতে পারে। ভিটামিন সি শ্বেত রক্ত কণিকার স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ যা সংক্রমণের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। একইভাবে, ওমেগা ৩-এর প্রদাহ-বিরোধী এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য আছে।
স্টিমার/ভ্যাপোরাইজার:
যদিও বিশেষজ্ঞরা করোনাভাইরাস নিরাময়ে স্টিমারের ব্যবহারে সন্দেহ প্রকাশ করেছে, তবে বন্ধ নাক, সর্দি ইত্যাদি নিরাময়ে এর বিশেষ ভূমিকা রয়েছে। কোভিডের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা না হলেও, সাধারণ ঠাণ্ডা লাগা কিংবা সর্দি কাশির ক্ষেত্রে একে ব্যবহার করা যায়। এগুলি বাড়িতে থাকলে আসন্ন শীতকালে যে ফ্লুয়ের সম্ভাবনা থাকে, সেক্ষেত্রে কিছুটা স্বস্তি পাওয়া যেতে পারে।
আরও পড়ুন: স্নায়ু রোগের প্রাথমিক লক্ষণগুলি কী কী, ৬০ শতাংশ কলকাতাবাসী জানেনই না!