Hypertension: মাত্র ১২% প্রাপ্তবয়স্কের হাইপারটেনশন নিয়ন্ত্রণে, এরই মধ্যে রাষ্ট্রসংঘের স্বীকৃতি পেল ভারত

National Health Mission: হাইপারটেনশন থেকে পরবর্তীতে হতে পারে মৃত্যুও। বেশ কিছু মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে গত কয়েক বছরে। আর তাই মৃত্যু আটকাতেই এমন প্রকল্পের উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্র সরকার

Hypertension: মাত্র ১২% প্রাপ্তবয়স্কের হাইপারটেনশন নিয়ন্ত্রণে, এরই মধ্যে রাষ্ট্রসংঘের স্বীকৃতি পেল ভারত
হাইপারটেনশনে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা

| Edited By: রেশমী প্রামাণিক

Sep 21, 2022 | 10:35 PM

ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইডের মত বাড়ছে উচ্চ রক্তচাপে আক্রান্তের সংখ্যাও। মানসিক এবং শারীরিক চাপ যেভাবে বাড়ছে, রোজকার জীবনযাত্রার পরিবর্তনই হাই ব্লাডপ্রেশারের নেপথ্য কারণ এ বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তবে বুধবার ভারতের ঝুলিতে এসেছে নতুন এক পুরষ্কার। উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে রাষ্ট্রসংঘের তরফে বিশেষ পুরস্কার পেয়েছে ভারত। তবে যখন ভারতের হাতে এল এই পুরস্কার তখন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তরফে জানানো হচ্ছে বর্তমানে দেশে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে প্রতি চারজনে একজন ভুগছে এই সমস্যায়। মাত্র ১২ শাতাংশ প্রাপ্ত বয়স্কের ক্ষেত্রেই নিয়ন্ত্রণে রয়েছে ব্লাডপ্রেশার।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মনসুখ মান্ডাভিয়া তার টুইটার হ্যান্ডেলে এই পুরস্কতারের কথা জানিয়েছেন। সেই ট্যুইটে তিনি লিখেছেন, জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের অধীনে “ইন্ডিয়া হাইপারটেনশন কন্ট্রোল ইনিশিয়েটিভ (IHCI)”- প্রকল্পের জন্য রাষ্ট্রসংঘের তরফে এসেছে বিশেষ পুরস্কার। সুস্থ ভারত গড়ে তোলাই এই প্রকল্পের অন্যতম উদ্দেশ্য। ২৩ টি রাজ্যের ১৩৮ টি জেলায় ৩৪ লক্ষেরও বেশি মানুষ উচ্চ রক্তচাপে ভুগছেন এবং তাঁরা সরকারি প্রকল্পের আওতায় রয়েছেন।

হাইপারটেনশন থেকে পরবর্তীতে হতে পারে মৃত্যুও। বেশ কিছু মৃত্যুর ঘটনাও ঘটেছে গত কয়েক বছরে। আর তাই মৃত্যু আটকাতেই এমন প্রকল্পের উদ্যোগ নিয়েছে কেন্দ্র সরকার। অনিয়ন্ত্রিত রক্তচাপ স্ট্রোক, হৃদরোগের অন্যতম কারণ। ভারতে মোট মৃত্যুর এক-তৃতীয়াংশ মৃত্যুর ক্ষেত্রে দায়ী CVD। উচ্চরক্তচাপ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। যাঁরা উচ্চরক্তচাপে ভুগছেন তাঁদের নিয়মিত চিকিৎসা, ওষুধ, পর্যবেক্ষণের মধ্যে রাখা হয় সেই বিষয়ে বিশেষ নজর রাখার কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি নতুন একটি অ্যাপ আনার কথাও জানানো হয়েছে WHO-এর তরফে। এই প্রকল্পে মাসে রোগী পিছু বরাদ্দ রয়েছে ২০০ টাকা। ২০২৫ সালের মধ্যে ২৫ শতাংশ উচ্চরক্তচাপের রোগী কমবেই, জোর দিয়েছে জানিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক।