স্বাধীন ভারতে প্রথম ট্র্যাক অ্যান্ড ফিল্ড অ্যাথলিট হিসেবে অলিম্পিকে সোনা জিতে ইতিহাস গড়েছেন নীরজ চোপড়া। শনিবার টোকিয়োয় পুরুষদের জ্যাভেলিন থ্রোয়ে দেশের হয়ে প্রথমবার সোনা জেতেন তিনি। ৮৭.৫৮ মিটার ছুঁড়ে রেকর্ড গড়ে সোনা জেতেন ২৩ বছরের সোনার ছেলে।
টোকিয়ো অলিম্পিকে সোনা জিতে ইতিহাস গড়ার পিছনে রয়েছে নীরজের কঠিন পরিশ্রম, তা মানতেই হবে। মিলখা সিং, পিটি উষা থেকে শুরু বহু বিশিষ্ট ক্রীড়াবিদরা যেখানে কাছে এসেও পদক জিততে পারেননি, সেখানে সোনার ফসল ফলানো কোনও মুখের কথা নয়। এর পিছনে রয়েছে তাঁর কড়া ফিটনেস রুটিন। আর সেই ফিটনেসে পিছনে রয়েছে তাঁর জীবনের সবচেয়ে কঠিন পরিশ্রম।
সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ সক্রিয় সোনাজয়ী চোপড়া। স্ট্রেনথ ট্রেনিংয়ের ওয়ার্কআউটের একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছিলেন তিনি, সেখানে দেখা গিয়েছে নীরজের পরিশ্রম ও লক্ষ্যে পৌঁছানোর কী চরম তাগিদ।
অপর আরেকটি ভিডিয়োতে দেখা গিয়েছে, ওয়ার্কআউটের সময় মেডিসিন বল নিয়ে কোর বা হাড়ের শক্তি বৃদ্ধির জন্য যে অনুশীলন করতে দেখা গিয়েছে, তা অবিশ্বাস্য।
ওয়ার্কআউটের জন্য ও লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য সবার প্রথমে দরকার হাড়ের শক্তি বৃদ্ধি ও পেশির স্টেবিলিটি।
মেডিসিন বল নিয়ে সহজে শরীরচর্চা করা সম্ভব নয়। তবে পেশিশক্তি বৃদ্ধিতে মেডিসিন বলের সঙ্গে শরীরচর্চা করা একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। শরীরের সবদিক ব্যালান্স রেখে পেক্টোরাল, বাইসেপস ও ট্রাইসেপ সঠিক রেখে মনোযোগ দিয়ে অনুশীলন করে গিয়েছেন। ব্যায়াম করার সময় আরও বেশি করে চেষ্টা করতেন যাতে শরীরের সব পেশিগুলিই স্থিতিশীল থাকে। দেহের ওজনের সঙ্গে বডিমুভের জন্য নিয়মিত ব্যবহার করা কার্যকরী শক্তি তৈরিতে সাহায্য করে, যা খেলাধূলোর সময় আঘাত ঝুঁকি হ্রাস করে, ভঙ্গি বা কৌশলগত দিকে উন্নত করে ও ওভারহেড প্রেসের মতো ভারী লিফটগুলিকে ব্যবহার করতে সাহায্য করে।
আরও পড়ুন : Neeraj Chopra Gold: ষাঁড়ের লেজে টান থেকে মৌচাকে ঢিল, ‘স্থূলকায়’ নীরজের শৈশব ছিল এমনই