Neeraj Chopra Gold: ষাঁড়ের লেজে টান থেকে মৌচাকে ঢিল, ‘স্থূলকায়’ নীরজের শৈশব ছিল এমনই
আর পাঁচটা ছেলের থেকে নীরজের চেহারা ছিল একেবারে অন্যরকম। স্থূলকায়। ছেলের শরীরে অতিরিক্ত মেদ নিয়ে চিন্তিত ছিলেন তাঁর বাবা। ছেলের ভ্রুক্ষেপও ছিলনা। সে ষাড়ের লেজে টান আর মৌচাকে ঢিল। এসব নিয়েই তখন সে ব্যস্ত।
সোনিপতঃ তখন তাঁর ১৩ বছর বয়স। পড়াশুনোয় তেমন মন ছিলনা। মফস্বলের বাড়ির সামনে ষআঁড় দেখলেই লেজ ধরে টান ছিল তাঁর প্রিয়তম শখ। আর বাড়ির সামনে গাছে মৌচাক তৈরি হওয়া মানেই, তিনি ঢিল ছুঁড়ে তা ভাঙবেনই। এমনই ছিলেন শৈশবের নীরজ চোপড়া। সোনা জয়ের পর ফ্ল্যাশব্যাকে সৌনিপতের চোপড়া পরিবারে উঁকি দিচ্ছিল ছোট্ট নীরজের সেইসব দুষ্টুমি। আজ তিনি ভারতের গর্ব। ২২ বছরের নীরজের ৯ বছরের আগের গল্পটাও ছিল অন্যরকম।
আর পাঁচটা ছেলের থেকে নীরজের চেহারা ছিল একেবারে অন্যরকম। স্থূলকায়। ছেলের শরীরে অতিরিক্ত মেদ নিয়ে চিন্তিত ছিলেন তাঁর বাবা। ছেলের ভ্রুক্ষেপও ছিলনা। সে ষাড়ের লেজে টান আর মৌচাকে ঢিল। এসব নিয়েই তখন সে ব্যস্ত। বাবা সতীশ কুমার চোপড়া ছেলেকে নিয়ে পড়লেন। বোঝালেন তাঁকে ওজন কমাতেই হবে। ১৩ বছরে কাকার হাত ধরে বাড়ির থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে পৌঁছে গেলেন শিবাজি স্টেডিয়ামে। শুরু হল দৌড়। ওজন কমানোর প্রচেষ্টা। আর সেখানেই দেখলেন লোকে বর্শা ছুঁড়ছে। আর সেটা হাওয়ার তালে তালে পড়তে দূরে গিয়ে। কারও আরও দূরে। মনে ধরল নীরজের।একদিন গুটিগুটি পায়ে সিনিয়রদের কাছে গিয়ে বলল তিনিও ছুঁড়তে চান জ্যাভলিন। বাকিটা ইতিহাস।
ক্রীড়াবিশ্বের এমন অনেক নায়ক-মহানায়ক আছেন, যাঁদের শৈশবের অধ্যায় ছিল চমকপ্রদ গল্পে ভরা। নীরজেরও তেমন। এখন তিনি জ্যাভলিন ছোঁড়েন। বহুদিন হাতে ঢিল নিয়ে মৌচাক ভাঙা আর হয়নি!
অলিম্পিকের আরও খবর দেখতে ক্লিক করুনঃ টোকিও অলিম্পিক ২০২০