International Family Day 2021: আন্তর্জাতিক পরিবার দিবসের ইতিহাস, গুরুত্ব কী জেনে নিন…
একটি শিশুর সুস্থ ও সুন্দরভাবে বেড়ে ওঠার পিছনে রয়েছে গোটা পরিবার। জীবনের নানান সমস্যা, ব্যর্থতা, সাফল্যের পিছনেও রয়েছে একটি পরিবারের হাত।
পরিবারের গুরুত্ব ও সচেতনতা বাড়াতে প্রতিবছর ১৫ মে তারিখে আন্তর্জাতিক পরিবার দিবস হিসেবে পালন করা হয়ে আসছে। ১৯৯৩ সালে প্রথম জাতিসংঘ এই দিবস ঘোষণা করে। মূলত প্রতিবছর জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক শান্তি সংঘ বিশ্ব পরিবার দিবসের সমস্ত আয়োজন করে আসছে।
ইতিহাস
১৯৯৩ সালে দুনিয়াজুড়ে পরিবারের জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে ও পরিবারের গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতে ১৫ মে আন্তর্জাতিক পরিবার দিবস পালনের ঘোষণা করে জাতিসংঘ। এই বিশেষ দিন পালনের পিছনে রয়েছে একটি মূল কারণ। তা হল, সমাজের উন্নয়নের জন্য প্রথমে দরকার একটি সুষ্ঠু পরিবার। ছোট-বড় সকল সদস্যের নিরাপদ ও নিশ্চিত জায়গা হল পরিবার। পরিবারের পারস্পরিক সম্পর্কগুলি ও ঐতিহ্য যাতে অটুট থাকে, আর্থ-সামাজিক সমস্যাগুলি যাতে পরিবারগুলি কাটিয়ে উঠতে পারে, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, দারিদ্র্য, পরিবারের কাজের সামঞ্জস্য বজায় রাখার লক্ষ্যেই এই আন্তর্জাতিক পরিবার দিবস।
এবছরের থিম
জাতিসংঘের মতে, ২০২১ সালে আন্তর্জাতিক পরিবার দিবস পালনের মূল থিম হল সামাজিকতায় নয়া ডিজিটাল প্রযুক্তির প্রভাব। এর মাধ্যমেই সমাজের পূর্ণাঙ্গ উন্নয়ন সম্ভব।, সামাজিক বিকাশ ও সকলের মঙ্গল কামনায় ডিজিটাল প্রযুক্তির ভূমিকা।
তাত্পর্য-
১. বিশ্বের সব পরিবারই নানান সমস্যার সম্মুখীন হয়। আর সেই সমস্যাগুলির সমাধান করা, সব বিপদের মোকাবিলা করার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা করা হয়।
২. এই দিনটিতে বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন ইভেন্ট, সেমিনার, প্রদর্শনী, জনসভা, ওয়ার্কশপের আয়োজন করা হয়ে থাকে। তবে করোনাকালে এইসব ইভেন্ট করা সম্ভব নয়। তাই ভার্চুয়ালি ইভেন্ট করার আয়োজন করা হয়েছে।
৩. কোভিড অতিমারিতে পরিবারের ঐক্যবদ্ধ থাকতে ও সম্পর্ক দৃঢ় থাকার পি্ছনে সমাজ ও ডিজিটাল প্রযুক্তির ভূমিকা কী, তাই হল এ বছরের থিম।
৪. বিশ্বের সব পরিবারের সুরক্ষা ও সহায়তা সম্পর্কে জোর দেওয়া।
৫. ছোটদের মধ্যে পরিবারের গুরুত্ব বোঝাতে ও পরিবারের সকলে সদস্যের মধ্যে সচেতনতা আনতে ফ্যামিলি ট্রি বানাতে পারেন। পরিবারের মধ্যেই লুকিয়ে থাকে নানান অজানা ইতিহাস। সেগুলি জানার আগ্হর প্রকাশ করা।
৬. পরিবারের সঙ্গে একাত্ম হতে সব সদস্যদের মধ্যে গেটটুগেদার বা পিকনিকের ব্যবস্থা করতে পারেন। তবে কোভিড পরিস্থিতিতে বাড়িতে বসেই আত্মীয়-পরিজনদের ডেকে নিতে পারেন। কিংবা সপ্তাহে তিনদিন পরিবারের সব সদস্যের সঙ্গে ভার্চুয়াল মিট করুন।
৭. বর্তমান পরিস্থিতিতে পরিবার ভেঙে সিঙ্গল ফ্যামিলিতে পরিণত হতে হচ্ছে। সিঙ্গল পেরেন্টসের সংখ্যা দিন দিন বেড়ে চলেছে। সারা বিশ্বে ৯ শতাংশ থেকে ২৬ শতাংশ সিঙ্গল পেরেন্টস রয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
৮. আমেরিকায় প্রতিবছর ১ লক্ষের বেশি শিশুকে দত্তক নেন। বাড়ছে শিশু দত্তক নেওয়ার প্রবণতা।