২০১১ সালে ৬৯ তম সাধারণ সভায় ২১ জুন বিশ্ব যোগ দিবস পালন করার জন্য রাষ্ট্রসংঘ একটি প্রস্তাব পাশ করে। যে অধিবেশনে প্রধানমন্ত্রী মোদী গুরত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। সেখানে তিনি জানিয়েছিলেন, এই দিন দেশের প্রাচীন ঐতিহ্যের এক অমূল্য উপহার হিসেবে বর্ণিত হবে। যোগের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে শরীর-মন, চিন্তা-কর্মের এক আত্মিক যোগ। শুধু ব্যায়ামই নয়, নিজসত্ত্বা ও প্রকৃতির অনভূতি এক অনন্য আবিষ্কারের দীর্ঘপথ তৈরির করার যোগও বটে। এছাড়া ২১ শে জুন এই দিনটি পালন করার একটি বিশেষ কারণ হ’ল এই তারিখটিতে উত্তর গোলার্ধের দীর্ঘতম দিন হিসেবেও পালন করা হয়।তাই েই বিশেষ দিনের তাত্পর্য রয়েছে।
আরও পড়ুন: দ্বিতীয় ঢেউয়েই বেশি প্রভাবিত গর্ভবতী ও প্রসূতিরা, বেড়েছে মৃত্যুহারও, জানাল আইসিএমআর
আন্তর্জাতিক যোগ দিবস ২০২১: তাৎপর্য
যোগ শব্দটি সংস্কৃত থেকে এসেছে। যার অর্থ হল যোগ দেওয়া বা একত্রিত হওয়া। যোগ-ব্যায়াম হল দেহ এবং চেতনার মিলন। প্রতিদিনের জীবনে ভারসাম্যপূর্ণ জীবনযাপন বজায় রাখতে সাহায্য করে। প্রথম আন্তর্জাতিক যোগ দিবসটি ১৫ ই জুন, ২০১৫ বিশ্বব্যাপী পালিত হয়েছিল। ভারতের আয়ুশ মন্ত্রক একটি কর্মসূচির আয়োজন করেছিল, যেখানে প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে ৮৪ টি দেশের গণ্যমান্য ব্যক্তিরা অংশ নিয়েছিলেন। নয়াদিল্লির রাজঘাটে মোট ৩৫,৯৮৫জন লোক ২১ রকমের যোগাসন করেছিলেন। যা দুটি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড বুকে নাম উঠে যায়।
আন্তর্জাতিক যোগ দিবস ২০২১: থিম
এবারের তিম হল ‘বাড়িতে যোগ এবং পরিবারকে সঙ্গে নিয়ে যোগাসন করা’। পুরো বিশ্ব করোনা অতিমারির সঙ্গে লড়াইয়ে ব্যস্ত। সেই অসম লড়াইয়ে বিশ্ববাসীকে শরীরচর্চা ও সুস্থ রাখতে এই থিম একটি আশার আলো দেখাতে পারে। এই বছর আন্তর্জাতিক যোগ দিবসের মূল লক্ষ্য হল ‘সুস্থতার জন্য যোগ’। মহামারীর সময় যোগব্যায়ামে মানসিক-সামাজিক যত্নের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। টানা লকডাউনের জেরে কোভিড রোগীদের হতাশা এবং অন্যান্য মানসিক সমস্যা দেখা গেছে। প্রতিটি ব্যক্তির সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য এই শারীরিক ক্রিয়াকলাপের অবদানকে কেন্দ্র করেই এই বছরের থিম নির্ণয় করা হয়েছে। এছাড়াও, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে, ভাইরাসের সঙ্গে লড়াই করার মানসিকতা তৈরি করতে বিভিন্ন যোগাসনের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ।