Ghee In Your Diet: সুস্বাস্থ্যের জন্য ঘি খাওয়া কতটা জরুরি?
অনেকে তো আবার ডাক্তারের পরামর্শকে তোয়াক্কা না করেই ঘি খেয়ে ফেলেন, আবার অনেকে ঘিকে ডায়েটে রাখার কথাও বলে থাকেন।
ভারতে অধিকাংশ খাবারেরই সবচেয়ে প্রয়োজনীয় অংশ ঘি। ঘি দুধ এবং দুধজাত দ্রব্য থেকে তৈরি চর্বি। মিশরে ঘি সামনা, ইরানে রোগান, উগান্ডায় সামুলি এবং মধ্যপ্রাচ্যে সামন নামে পরিচিত। ঘি ভারতীয় খাবারে এতটাই অপরিহার্য যে ব্রেকফাস্ট থেকে শুরু করে রাতের খাবারে এটি বিরাজ করে। অনেকে তো আবার ডাক্তারের পরামর্শকে তোয়াক্কা না করেই ঘি খেয়ে ফেলেন, আবার অনেকে ঘিকে ডায়েটে রাখার কথাও বলে থাকেন।
ঘি-এর পুষ্টি প্রোফাইল: (প্রতি ৫ গ্রাম হিসেবে)
- ক্যালরি – ৪৪.৮ কিলো
- প্রোটিন – ০ গ্রাম
- কার্বস – 0 গ্রাম
- চর্বি – ৪.৯ গ্রাম
ঘি অপরিহার্য ফ্যাটি অ্যাসিড এবং ভিটামিন সমৃদ্ধ। ভিটামিন এ, ই, কে ২, ডি, ক্যালসিয়াম, সিএলএ এবং ওমেগা ৩ এর মতো খনিজে পুষ্ট।
ঘি তিন প্রকারের হয়:
- নিয়মিত ঘি: গরু বা মহিষের ধুধ থেকে নিয়মিত মাখন গলিয়ে এই ধরনের ঘি তৈরি করা হয়।
- A2 ঘি: দেশীয় ভারতীয় গরু যেমন গীর গরু এবং লাল সিন্ধি থেকে এই ধরনের ঘি তৈরি করা হয়।
- বিলোনা ঘি: ঘি তৈরির এটি সবচেয়ে পুরনো পদ্ধতি। এটি দেশি গরুর দুধ থেকে তৈরি বিশুদ্ধ ঘি।
ঘি এর উপকারিতা:
- এক গ্লাস দুধের সুঙ্গে এক চামচ ঘি, অল্প হলুদ আর কালো মরিচ মিশিয়ে খাওয়ার বিভিন্ন উপকারিতা আছে। এই খাবার বিষাক্ত পদার্থ সরিয়ে পরিপাকতন্ত্র পরিষ্কার করতে সাহায্য করে। এটি কোষ্ঠকাঠিন্যে সাহায্য করে। এছাড়াও আপনার ইমিউন সিস্টেমের জন্য একটি প্রয়োজনীয় বুস্ট দেয়।
- ঘি এর একটি উল্লেখযোগ্য আয়ুর্বেদিক সুবিধা হল এটি বিপাক উন্নত করতে সাহায্য করে। এটি আপনার মেজাজকে ব্যাপকভাবে উন্নত করবে। এছাড়াও আপনার শরীরে শক্তির মাত্রা যোগ করতে এবং আপনার ওজন কমাতে সাহায্য করে।
- ঘি বুট্রিক অ্যাসিডের সমৃদ্ধ উৎস। এটি অন্ত্রের ব্যাকটেরিয়ার জন্য প্রোবায়োটিক খাদ্য হিসেবে কাজ করে।
- ঘিতে রয়েছে ভিটামিন কে ২, যা হাড়কে ক্যালসিয়াম শোষণ করতে সাহায্য করে এবং জয়েন্টের ব্যথায় সাহায্য করে।
- হলুদ এবং কালো মরিচের সাথে ঘি প্রদাহের পাশাপাশি মানসিক চাপও কমায়। যা ভাল ঘুমের জন্য সাহায্য করতে পারে।
- ঘি তেলতেলে প্রকৃতির হয় যা ত্বকে উজ্জ্বলতা আনতেও সাহায্য করে।
- ঘি -তে উপস্থিত CLA টিউমার, কোলেস্টেরল কমাতে এবং রক্তে শর্করা স্থির করতে সাহায্য করে। এটি খিদে বাড়াতেও সাহায্য করে।
স্বাস্থ্য সতর্কতা:
১ চামচ বা ৫ গ্রাম ঘিতে ক্যালোরি এবং চর্বি বেশি পরিমাণে থাকে। তাই তরকারি, সবজি, ডাল ইত্যাদি রান্নার অন্যতম সেরা পদ্ধতি হল ঘি দিয়ে রান্না করা।
কতটা পরিমাণে ঘি যোগ করতে হবে:
৩-৪ চামচ ঘি প্রতিদিন খাবারে যোগ করা যেতে পারে। দৈনিক ক্যালোরি বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে আপনি সেই অনুযায়ী ঘি খাওয়ার পরিমাণ বাড়িয়ে তুলতে পারেন।
আরও পড়ুন: বাড়িতে বসেই এবার বানিয়ে ফেলুন মন ভাল করা এই ডেজার্টটি