Diabetes: কাঁঠাল খেয়ে কি আপনি রক্তে শর্করার পরিমাণকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন? জেনে নিন

TV9 Bangla Digital | Edited By: megha

Oct 31, 2021 | 11:40 AM

খাদ্য তালিকায় পরিবর্তন তো আনতেই হয়, তার সঙ্গে প্রাকৃতিক পুষ্টিযুক্ত কিছু ফলকেও শর্করার জন্য খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিতে হয়। তবে এমনও কিছু ফল আছে, যা খেয়ে আপনি ডায়বেটিসের এই সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন। এমনই একটি ফল হল কাঁঠাল।

Diabetes: কাঁঠাল খেয়ে কি আপনি রক্তে শর্করার পরিমাণকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন? জেনে নিন
কাঁঠাল

Follow Us

ডায়বেটিস হল এমন একটি সমস্যা যাতে একবার আক্রান্ত হলে আর পিছু ছাড়ে না। তখন খাদ্যতালিকায় পরিবর্তন এনে, স্বাস্থ্যকর জীবনধারা মেনে চলেই রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে হয়। অন্যদিকে, বর্তমানে ডায়বেটিস একটি ক্রনিক রোগে পরিণত হয়েছে। খাদ্য তালিকায় পরিবর্তন তো আনতেই হয়, তার সঙ্গে প্রাকৃতিক পুষ্টিযুক্ত কিছু ফলকেও শর্করার জন্য খাদ্যতালিকা থেকে বাদ দিতে হয়। তবে এমনও কিছু ফল আছে, যা খেয়ে আপনি ডায়বেটিসের এই সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন। এমনই একটি ফল হল কাঁঠাল। কাঁচা অবস্থায় এঁচোর হিসাবে খান বা পাকা অবস্থায় কাঁঠাল- দুটোই ডায়বেটিসের জন্য ভাল।

একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে কাঁঠালের মধ্যে ফ্ল্যাভোনয়েড, স্টেরল, ক্যারটেনয়েডস, ট্যানিনস নামক ইত্যাদি ফ্যাটোকেমিক্যাল রয়েছে। এছাড়াও এর মধ্যে প্রোটিন, ফাইবার, ক্যালসিয়াম, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, পটাশিয়াম, ফসফরাস, সোডিয়াম, ভিটামিন সি, বি১, বি২, বি৩, বি৬, এ, ই, বিটা ক্যারোটিন, কপার, জিঙ্ক, ম্যাগানিজ এবং ফোলেট রয়েছে।

কাঁঠালের জন্য অ্যান্টি ইনফ্লেমটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এর মধ্যে থাকা ফ্ল্যাভোনয়েডগুলি শরীরে প্রদাহজনক সাইটোকাইনের মুক্তিকে বাধা দিতে সহায়তা করতে পারে এবং এইভাবে ডায়াবেটিসের মতো সম্পর্কিত রোগগুলি প্রতিরোধ করতে পারে। ডায়বেটিসের কারণে নানান ত্বকের সমস্যাও দেখা দেয়, যেগুলি আপনি কাঁঠাল খেয়ে প্রতিরোধ করতে পারেন। কারণ এর মধ্যে ভিটামিন সি এবং গুরুত্বপূর্ণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে, যা ডায়বেটিসের কারণে হওয়া ত্বকের সমস্যা গুলিকে নির্মূল করে।

একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে, কাঁঠালের তৈরি ময়দা রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়ক। গমের তৈরি আটা, ময়দার বদলে যদি কাঁঠালের তৈরি ময়দা প্রতিদিন ৩০গ্রাম করে একজন টাইপ ২ ডায়বেটিসের রোগী খান, তাহলে নিয়ন্ত্রণে থাকবে তাঁর এই সমস্যা। উপরন্ত, গর্ভাবস্থায় অনেক সময় রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যায়। এই সময় যদি এই ফল খাওয়া যায়, তাহলে এই সমস্যার পাশাপাশি ভ্রূণের বিকাশেও ইতিবাচক প্রভাব পড়বে।

পাকা এবং কাঁচা উভয় কাঁঠালেরই গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন, খনিজ এবং ফাইটোকেমিক্যাল রয়েছে যা ডায়াবেটিস রোগীদের বিভিন্ন ভাবে সহায়তা করতে পারে। তবে বিশেষ কিছু কারণে, চিকিৎসকরা এই ফলকে পরিমিত পরিমাণে খাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন। তার কারণগুলি হল-

  • কাঁচা কাঁঠালের শক্তিশালী গ্লুকোজ কমানোর প্রভাব রয়েছে। যদি উচ্চ পরিমাণে খাওয়া হয়, এটি চিনির মাত্রা একটি চরম হ্রাস করতে পারে, বিশেষ করে যদি কিছু ডায়াবেটিক বিরোধী ওষুধের সঙ্গে এটি খাওয়া হয় এবং এর কারণে হাইপোগ্লাইসেমিয়া হতে পারে।
  • কাঁঠাল পাকা হওয়ার সঙ্গে, ফলের চিনির মাত্রা এবং স্টার্চ বৃদ্ধি পায়, যা বেশি পরিমাণে খাওয়া হলে ডায়াবেটিসে জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে।
  • কাঁঠালের একটি মাঝারি গ্লাইসেমিক সূচক রয়েছে – যদি বেশি পরিমাণে খাওয়া হয় তবে এটি হ্রাস করার পরিবর্তে চিনির মাত্রা বাড়িয়ে তুলবে।

আরও পড়ুন: ঠান্ডায় সর্দি-কাশি থেকে আর্থ্রাইটিস, সব রোগের একমাত্র মোক্ষম দাওয়াই এই ফুল!

Next Article