AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Itching: প্রায়শই চুলকুনি হয়? ফেলে না রেখে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন, হতে পারে লিভার বা কিডনির জটিল সমস্যা

Itching Cure: চুলকুনি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ঘামাচির মত বিড়বিড় করে বেরোয়। এবার সেই ঘামাচিতে চুলকে দিলে অধিকাংশ সময়ই রক্তপাতের সম্ভাবনা থেকে যায়...

Itching: প্রায়শই চুলকুনি হয়? ফেলে না রেখে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন, হতে পারে লিভার বা কিডনির জটিল সমস্যা
জানুন কেন হয় এমন সমস্যা
| Edited By: | Updated on: Jul 27, 2022 | 7:04 AM
Share

যে কোনও রকম চুলকুনি বা অ্যালার্জির সমস্যা বর্ষাকালে বেশি বাড়ে। আর এই চুলকুনি মাত্রাতিরিক্ত হলে সেখান থেকে আসে একাধিক সমস্যা। প্রথমত রোজকার কাজে ব্যাঘাত ঘটে, ঠিকমতো ঘুম হয় না। মেজাজ বিগড়ে থাকে। আঁচড়ালে, চুলকোলে কিছু সময়ের জন্য স্বস্তি পাওয়া যায়। কিন্তু তাও বা কতবার করবেন! চিকিৎসা পরিভাষায় এই সমস্যা প্রুরিটাস নামে পরিচিত। মূলত ত্বকের শুষ্কতার কারণেই এই সমস্যা বেশি হয়। কারণ বয়সের সঙ্গে সঙ্গে ত্বক শুকিয়ে যায়। আর বয়স্করাই এই ত্বকের শুষ্কতার অন্যতম শিকার।

NCBI রিপোর্ট অনুসারে, চুলকুনিও ৫ রকমের হয়ে থাকে। নিউরোজেনিক, সাইকোজেনিক, সাইকোজেনিক, নিউরোপ্যাথিক এবং প্রুরিটোসেপ্টিভ। চুলকুনির উপর নির্ভর করে ত্বক লালচে, খসখসে, রুক্ষ্ম হয়ে যেতে পারে। চুলকুনি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ঘামাচির মত বিড়বিড় করে বেরোয়। এবার সেই ঘামাচিতে চুলকে দিলে অধিকাংশ সময়ই রক্তপাতের সম্ভাবনা থেকে যায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বাড়িতেই এই অ্যালার্জি, চুলকুনির চিকিৎসা হয়ে যায়। তবে ওষুধ বা বাকি ঘরোয়া নিয়ম মেনে না সারলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন।

কোন কোন রোগের প্রাথমিক লক্ষণ চুলকানি?

জেরোসিস, একজিমা, সোরিয়াসিস, লিভারের সমস্যা, কিডনির রোগ, অ্যানিমিয়া, ডায়াবেটিস, থাইরয়েড, মাল্টিপল লিম্ফোমা, স্কেলরোসিস- এসব হলে তখনই চুলকানির সমস্যা বাড়ে। এছাড়াও অ্যালার্জি তো রয়েইছে।

ঘরোয়া প্রতিকার

সমীক্ষা বলছে জলে বেকিং সোডা গুলে তা দিয়ে স্নান করলে বেশি আরাম পাওয়া যায়। এছাড়াও এই জল ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাকের সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়। বেকিং সোডার মধ্যে রয়েছে অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি বৈশিষ্ট্য, যা ব্রণ কমাতে সাহায্য করে। এছাড়াও এর মধ্যে থাকে বিভিন্ন প্রাকৃতিক অ্যাসিড, যা নিউট্রিলাইজার হিসেবে কাজ করে।

তুলসির সাহায্যেও ব্যাকটেরিয়ার প্রকোপ থেকে অনেকখানি মুক্তি পাওয়া যায়। তুলসির মধ্যে থাকে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান। যা ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাকের সংক্রমণ থেকে ত্বককে রক্ষা করে। এছাড়াও তুলসি পাতা জলে ফেলে সিদ্ধ করে স্নান করলে সেখান থেকেও অনেক উপকার পাোয়া যায়। এছাড়াও চুলকুনি বা অ্যালার্জির জায়গায় তুলসি পাতা বেটে লাগালেও উপশম পাওয়া যায়।

নিমের মধ্যেও রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টিফাঙ্গাল বৈশিষ্ট্য। যা ত্বককে ব্যাকটেরিয়া, ছত্রাকের সংক্রমণ থেকে মুক্তি দিতে পারে। নিম পাতা ফুটিয়ে সেই জলে স্নান করলে কিংবা নিম পাতা বেটে লাগাতে পারলে এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

কখন চিকিৎসকের কাছে যাবেন

চুলকানি বা অ্যালার্জি যদি ২ সপ্তাহের বেশি স্থায়ী হয়, ঘরোয়া প্রতিকারেও না সারে তাহলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেবেন। এছাড়াও চুলকুনির কারণে রাতে ঘুমোতে না পারলে, ওজন কমে গেলে, জ্বর থাকলে, রাতে ঘাম হলে অতি অবশ্যই চিকিৎসকের থেকে পরামর্শ নেবেন।

Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।