পরিস্থিতি যে ভাবে এগোচ্ছে তাতে বোধহয় সব বাড়ার সব বাড়িতেই খুঁজলে অন্তত ১জন করে ডায়াবেটিসে আক্রান্তের সংখ্যা মিলবে। এই রোগের সঠিক উৎস বা চিকিৎসা বিষয়ে এখনও কিছু জানা না গেলেও দিনের পর দিন বাড়ছে আক্রান্তের (Blood Sugar) সংখ্যা। আর ডায়াবেটিসের জন্য মূলত দায়ী করা হয় জীবনযাত্রাকেই। রক্তে সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে গেলে নিয়মিত ভাবে শরীরচর্চা করতেই হবে। সঙ্গে বডায় রাখুন ডায়েটও। সব বয়সের সব মানুষেরই উচিত নিয়মিত ভাবে সুগারের পরীক্ষা করা। প্রয়োজনে ওষুধ খেতে হবে, চিকিৎসকের পরামর্শ মেনেই চলতে হবে। তবুও ওষুধ খেলেই যে সুগার সেরে যাবে এমনটা নয়। নিয়ম মানলে সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকে মাত্র। কোনওদিনই তা সম্পূর্ণ সেরে যায় না।
উচ্ছে খেলে যে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে থাকে একথা সকলেই জানেন। বিশেষজ্ঞরাও বলেন রোজ একটা করে উচ্ছে খেতে পারলে খুব ভাল। ‘পলিপিটাইড-পি- নামের একরকম যৌগ থাকে উচ্ছের মধ্যে। যা আমাদের ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। উচ্ছে গোটা সিদ্ধ করে ভাতের সঙ্গে খেতে পারেন। তবে আলু দিয়ে খাবেন না। সবথেকে ভাল যদি উচ্ছের জুস খাওয়া যায় রোজ সকালে। উচ্ছের রস আমাদের শরীরে ডিটক্সিফিকেশনে সাহায্য করে। দূষিত বর্জ্য শরীর থেকে বের করে যায়। রক্তের শুদ্ধিকরণ করে। ফলে ত্বক, চুল ভাল থাকে। সেই সঙ্গে সুগার, কোলেস্টেরল সবই থাকে নিয়ন্ত্রণে। সারা বছর উচ্ছে পাওয়া গেলেও গরমে সবথেকে বেশি পাওয়া যায় এই সবজি। যে কারণে লাউ-উচ্ছে দেওয়া ডালও খেতে বলা হয় গরমে।
গরম মানেই রসালো ফলের সম্ভার। সেই তালিকায় আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু, তালশাঁস থেকে শুরু করে কত কিছুই না থাকে। আম-কাঁঠাল অনেকেই সুগারের ভয়ে এড়িয়ে যেতে চান। তবে গরমের ফল জাম কিন্তু শরীরের জন্য ভীষণ রকম ভাল। বিশেষত সুগার রোগীদের জন্য। জামের মধ্যে থাকে জ্যামবোসাইন এবং জাম্বোলিন -নামের দুই উপাদান। যা রক্তে শজ্ঞকরার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে। সেই সঙ্গে বিপাক ক্রিয়া ঠিক রাখতেও জামের জুড়ি মেলা ভার। টাইপ-২ ডায়াবেটিসে অগ্ন্যাশয় থেকে কম পরিমাণ ইনসুলিন তৈরি হয়। যে কারণে রক্তে সুগার বেড়ে যায়। আজকাল অধিকাংশই টাইপ ২ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত। তাই চিকিৎসকেরা বলছেন রোজ সকালে জাম আর উচ্ছের জুস একসঙ্গে মিশিয়ে খেতে।
যে কোনও ওষুধের দোকানেই পেয়ে যাবেন এই উচ্ছে-জামের জুস। এই জুস শুধুই যে সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখে তা নয়, এর একাধিক উপকারিতা রয়েছে। কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখতে, লিভার ডিটক্সিফিকেশনে ইমিউনিটি বাড়াতে এবং পেট পরিষ্কার রাখতে কিন্তু কাজ করে এই জুস। ত্বক আর চুলের সমস্যাতেও ভাল এই জুস। যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে পেট-গ্যাস-অম্বলের সমস্যায় ভুগছেন তাঁরা চোখ বন্ধ করে খান এই জুস। উপকার পাবেনই।
Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি শুধুমাত্র তথ্যের জন্য, কোনও ওষুধ বা চিকিৎসা সংক্রান্ত নয়। বিস্তারিত তথ্যের জন্য আপনার চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন।