বয়স ৩৮ হলেও ২৬ বছরের যুবতীর চরিত্রে এখনও তাক লাগাচ্ছেন ক্যাটরিনা। বলিউডের এই অভিনেত্রী সব সময় চর্চায় থাকেন। কখনও স্বামী ভিকি সঙ্গে দেখা যায়, আবার কখনও জিম কস্টিউমে। বিষয় হল, তাঁর মতো সুন্দর ও ফিট হওয়াটা অনেকের কাছে স্বপ্নের মতো। সৌন্দর্যতা যে-যার সে-তার। কিন্তু ফিটনেসটা রয়েছে আপনারই হাতে। ক্যাটের মতো বডি ডিভারা কখনও বাদ দেন না তাঁদের জিম সেশন। পাশাপাশি মেনে চলেন কড়া ডায়েট। কিন্তু এখন আপনি বলতেই পারেন যে, ওঁদের মতো কড়া ডায়েট আর ব্যায়াম করে আপনার কী লাভ হবে! আসলে ব্যায়াম আমাদের প্রত্যেকের ঘড়ি ধরে অন্তত ৪৫ মিনিট করা দরকার। এতে শরীর ও মন দুটোই ভাল থাকে। আর ডায়েট কী খাচ্ছেন আর কতটা পরিমাণে খাচ্ছেন সেটা খুব জরুরি। তবে আপনি যদি ক্যাটরিনার ফ্যান হয়ে থাকেন তাহলে ট্রাই করতে পারেন ক্যাটের প্রিয় ডিটক্স ড্রিঙ্ক।
সম্প্রতি সেলেব্রিটি পুষ্টিবিদ ইয়াসমিন করাচিওয়ালা তাঁর ইনস্টাগ্রামে একটি ডিটক্স ড্রিঙ্কের রেসিপি শেয়ার করেছেন। ইয়াসমিন করাচিওয়ালা শুধুই যে ক্যাটরিনাকে ফিটনেস পরামর্শ দেন এমন নন। তাঁর সেলেব্রিটি ক্লায়েন্টের লম্বা তালিকা। আর সেই তালিকায় বানী কাপুর, দীপিকা পাড়ুকোন, প্রীতি জিন্টা, আলিয়া ভাট-সহ একাধিক তারকারা রয়েছেন। সেখানেই ক্যাটের ফিটনেস সিক্রেট শেয়ার করেছেন ইয়াসমিন। একটি ডিটক্স ড্রিঙ্ক পান করেই দিন শুরু হয় ক্যাটের।
শরীরের জন্য শাক-সবজি যে কতটা উপকারী তা আমরা সকলেই জানি। সবজি আর পছন্দের ফল দিয়ে বানানো ডিটক্স জুস কিন্তু ওজন কমাতে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিন বের করে দেয়। যার ফলে শরীর থাকে তরতাজা। ক্যাট সুন্দরীর চেহারা বরাবরই নজরকাড়া। শরীরের কোথাও অতিরিক্ত মেদও নেই। আর জানেন এই ফিগার ধরে রাখখতে কী খান ক্যাটরিনা? প্রতিদিন আনারস আর কলা দিয়ে তৈরি ডিটক্স স্মুদিতেই দিন শুরু করেন ক্যাট।
যে ভাবে তৈরি করবেন এই ডিটক্স ড্রিঙ্ক-
১/২ কাপ ফ্রোজেন আনারস, ১/২ কাপ পালং শাক, একটি আপেল, ১/২ কাপ ফ্রোজেন কলা আর ১/২ কাপ জল নিন। ব্লেন্ডারে সব উপকরণ দিয়ে একসঙ্গে ব্লেন্ড করে নিন। মিশ্রণটি মসৃণ না হওয়া অবধি ব্লেন্ড করুন। কয়েকটা বরফের টুকরো মিশিয়ে এবার খেয়ে নিন।
এই ডিটক্স ড্রিঙ্কের উপকারিতা-
ডিটক্স ড্রিঙ্ক পান করলে গরমে শরীর হাইড্রেট থাকে। এটি পরিপাকতন্ত্রকে উন্নত করে, পুষ্টির উন্নত করে এবং একজনকে সতেজ ও শক্তিমান বোধ করে। পানীয়ের উপাদানগুলির জন্য, আনারস অ্যান্টিঅক্সিডেন্টের উৎস, হজমে সহায়তা করে এবং প্রদাহের বিরুদ্ধে লড়াই করে। পালং শাক রক্তে শর্করা কমাতে সাহায্য করে, হাড়ের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে, ওজন কমাতে সাহায্য করে। আপেল খারাপ কোলেস্টেরল এবং উচ্চ রক্তচাপের মাত্রা কমায়। পাশাপাশি ইমিউন সিস্টেমকে বাড়িয়ে দেয়। সবশেষে, কলা ফাইবার, ফোলেট এবং পটাসিয়াম প্যাক করে এবং হজমে সাহায্য করে।