AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Smartphone and Mental Health: অল্পবয়সেই শিশুর হাতে তুলে দিচ্ছেন স্মার্টফোন? বিঘ্নিত হতে পারে মানসিক স্বাস্থ্য, এমনটাই বলছে গবেষণা

Mental Health of Children: চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ, ল্যাটিন আমেরিকা, ওশিয়ানিয়া, দক্ষিণ এশিয়া ও আফ্রিকার ৪১ টি দেশের ২৭,৯৬৯ জনের উপর সমীক্ষা চালানো হয়।

Smartphone and Mental Health: অল্পবয়সেই শিশুর হাতে তুলে দিচ্ছেন স্মার্টফোন? বিঘ্নিত হতে পারে মানসিক স্বাস্থ্য, এমনটাই বলছে গবেষণা
অল্পবয়সেই শিশুর হাতে তুলে দিচ্ছেন স্মার্টফোন? বিঘ্নিত হতে পারে মানসিক স্বাস্থ্য, এমনটাই বলছে গবেষণা
| Edited By: | Updated on: May 20, 2023 | 5:23 PM
Share

বর্তমানে দাঁড়িয়ে মোবাইল ফোন (Mobile Phone) ছাড়া একটা গোটা দিন কাটাতে পারবেন? ভাবতেই বেগ পেতে হল তো? হ্যাঁ এটাই এখন বাস্তব চিত্র। সকালে ঘুম থেকে উঠে রাতে বিছানায় যাওয়া পর্যন্ত এক মুহূর্ত চলে না স্মার্টফোন (Smart Phone) ছাড়া। খাওয়া-দাওয়ার খোঁজ,বিনোদন, পড়াশোনা সবটাই ওই মুঠোফোনের উপর নির্ভর করেও। এই দৌড়ে পিছিনে নেই শিশু বা কিশোররাও। অনলাইন ক্লাস থেকে শুরু করে সবটাই এখন স্মার্টফোনের উপর নির্ভরশীল। তবে জানেন কি অল্পবয়সে হাতে ফোন পাওয়ার ক্ষতিকারক প্রভাব ঠিক কতটা হতে পারে? সম্প্রতি এক গবেষণায় (Research) উঠে এসেছে চাঞ্চল্য়কর তথ্য।

সম্প্রতি ওয়াশিংটনের এক অলাভজনক সংস্থা ‘স্যাপিয়েন ল্যাব’ বিশ্বব্যাপী একটি গবেষণা চালিয়েছে। এই গবেষণার মূল বিষয় হল, ৮-২৪ বছরের ছেলে-মেয়েদের হাতে ফোন দেওয়ার ফলে তাদের জীবনের উপর কী প্রভাব পড়ে? এটি গ্লোবাল মাইন্ড প্রোজেক্টেরই একটা ভাগ। কী উঠে এল গবেষণায়? আসুন দেখে নেওয়া যাক…

কাদের মধ্যে গবেষণা চালানো হয়?

চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে এপ্রিল মাস পর্যন্ত উত্তর আমেরিকা, ইউরোপ, ল্যাটিন আমেরিকা, দক্ষিণ এশিয়া ও আফ্রিকা জুড়ে মোট ৪১ টি দেশের ২৭,৯৬৯ জনের উপর সমীক্ষা চালানো হয়। যাদের বয়স ১৮ থেকে ২৪ বছরের মধ্যে। ছেলে ও মেয়ে উভয়ই অংশ নেয় এই সমীক্ষায়। এর মধ্যে ৪,০০০ জন ভারতীয়।

কী পদ্ধতিতে চালানো হয় গবেষণা?

এই গবেষণার ভিত্তি হিসেবে ৪৭টি মানসিক অবস্থাকে বেছে নেওয়া হয়। এরপর সমীক্ষার স্বার্থে ব্যবহৃত ১৮-২৪ বছর বয়সীরা কোন বয়সে হাতে ফোন পেয়েছেন এবং তাঁদের মধ্য়ে কোন মানসিক লক্ষণগুলি দেখা গিয়েছে, তা পর্যবেক্ষণ করা হয় গত ৫ মাস ধরে।

গবেষণায় কী উঠে এসেছে?

গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ১৮ বছর বয়স পর্যন্ত যে সব ছেলেমেয়েরা কিশোরবেলায় স্মার্টফোন পেয়েছিল , তাঁরা বর্তমানে বিষন্নতায় ভুগছেন। এঁদের মধ্যে কিছু জনের মধ্যে আত্মহত্যা করার প্রবণতা দেখা গিয়েছে। এছাড়া উদ্বেগ বেড়েছে এবং অসামাজিক হয়ে পড়েছে।

মহিলাদের উপর প্রভাব-

এই সমীক্ষায় উঠে এসেছে আরও একটা অবাক করা তথ্য। কম বয়সে মোবাইল ব্যবহারের ফলে পুরুষদের তুলনায় নারীদের মধ্যে মানসিক সমস্যা বেশি। যে সব বাচ্চা মেয়েরা ৬ বছর বয়সে হাতে ফোন পেয়েছেন, তাঁদের ৭৪% আজ মানসিক সমস্যায় ভুগছেন। আর যাঁরা ১৮ বছর বয়সে মোবাইল ফোন পেয়েছেন, তাঁদের ৪৬% বর্তমানে অবসাদে ভুগছেন।

পুরুষদের উপর প্রভাব-

যে সব ছেলেরা ৬ বছর বয়সে হাতে স্মার্টফোন পেয়েছেন, তাঁদের ৪২% মানসিক সমস্যায় ভুগছেন। অন্যদিকে, যে সব ছেলেরা ১৮ বছর বয়সে ফোন হাতে পেয়েছেন, তাঁদের ৩৬% আজ মানসিক রোগের শিকার।

কী ধরনের লক্ষণ দেখা যাচ্ছে তাঁদের মধ্যে?

সমীক্ষা. অংশগ্রহণকারীদের বেশিরভাগই মানসিক ভাবে দুর্বল হয়ে পড়ছেন। খিটখিটে হয়ে গিয়েছেন। সমাজের থেকে মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন ক্রমশ। এছাড়াও তাঁদের মধ্যে দেখা দিচ্ছে আত্মহত্যার প্রবণতাও।