World Mental Health Day: এই ১০ অভ্যাস রপ্ত করলে মস্তিষ্কের বিকাশ হবে জবরদস্ত, লাগবে না টনিকও

TV9 Bangla Digital | Edited By: রেশমী প্রামাণিক

Oct 10, 2023 | 1:12 PM

Food For Mental Health: মানসিক স্বাস্থ্য বজায় রাখতে প্রথমেই নজর দিতে হবে খাওয়া-দাওয়াতে। ফলমূল, শাকসবজি, গোটা শস্য, চর্বিহীন প্রোটিন এসব বেশি করে খেতে হবে। সেই সঙ্গে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ফ্ল্যাক্সসিডস, আখরোট এসব রাখতে হবে

World Mental Health Day: এই ১০ অভ্যাস রপ্ত করলে মস্তিষ্কের বিকাশ হবে জবরদস্ত, লাগবে না টনিকও
সুস্থ থাকতে যে সব খাবার খাবেন

Follow Us

প্রতি বছর ১০ অক্টোবর দিনটি বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস হিসেবে পালন করা হয়। বিশ্ব জুড়ে মানসিক স্বাস্থ্য সম্পর্কে সচেতনতা বাড়াতেই নেওয়া হয়েছে এমন উদ্যোগ। কোভিডের পর থেকেই মানসিক স্বাস্থ্যের উপর সবথেকে বেশি কোপ পড়েছে। প্রচুর মানুষ ডিপ্রেশনে ভুগেছেন। আর্থ-সামাজিক পরিস্থিতিতে বদল এসেছে যে কারণে সমস্যা আরও বেশি বেড়েছে। আবার কিছুক্ষেত্রে মানসিক সমস্যা অনেক মানুষ নিজেই ডেকে আনেন। বিশ্ববাজারে মন্দার জন্য কমেছে চাকরির সুযোগ, পর্যাপ্ত পরিমাণ অর্থ রোজগারের উপায় নেই। এদিকে সকলেই চান ভাল থাকতে, ভাল থাকার জন্য অর্থের প্রয়োজন। আর সেই অর্থ উপার্জনের জন্য প্রচুর মানুষ এখন অসদ উপায় অবলম্বন করছেন। তবে আজকের দ্রুতগতির জীবনে মানসিক স্বাস্থ্য ভাল রাখা খুবই প্রয়োজন। মস্তিষ্ক শক্তিশালী হলে তবেই স্মৃতিশক্তি বাড়বে , চিন্তা-ভাবনার ক্ষমতাও বাড়বে। যাঁদের মধ্যে ডিপ্রেশন যত বেশি তাঁদের চিন্তা-ভাবনা করার ক্ষমতা ততই কম।

আর তাই মানসিক স্বাস্থ্য বজায় রাখতে প্রথমেই নজর দিতে হবে খাওয়া-দাওয়াতে। ফলমূল, শাকসবজি, গোটা শস্য, চর্বিহীন প্রোটিন এসব বেশি করে খেতে হবে। সেই সঙ্গে ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ফ্ল্যাক্সসিডস, আখরোট এসব রাখতে হবে। মস্তিষ্কের কার্যকারিতার জন্য এই আখরোট খুবই কার্যকরী। একই সঙ্গে শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকা প্রয়োজন। মানসিক রোগের ঝুঁকি কমাতে আর মেজাজ ঠিক রাখতে এই রোজকার শরীরচর্চা খুবই সাহায্য করে। যে কারণে সব সবয়সের মানুষের উচিত সপ্তাহে অন্তত ১৫০ মিনিট শরীরচর্চা করতেই হবে।

মানসিক চাপ কমাতে রোজ একটু করে মেডিটেশন অভ্যাস করুন। অন্তত ঘুমোতে যাওয়ার আগে ১৫ মিনিট মেডিটেশন করলে তাতে অনেক কাজ হয়। আর এই মেডিটেশন করলে ঘুমও ভাল হয়। দিনের মধ্যে নিয়ম করে ৭-৯ ঘন্টা ঘুমোতেই হবে। যত ভাল ঘুম হবে মানসিক স্বাস্থ্য তত ভাল থাকবে।

এসের পাশাপাশি বন্ধু, পরিবার, আত্মীয়দের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখুন, কথা বলুন। যত বেশি মানুষের সঙ্গে মিশবেন কথা বলবেন ততই মানসিক স্বাস্থ্য বজায় থাকবে। এছাড়াও মন ঠিক রাখতে নিয়মিত ভাবে ধাঁধার সমাধান, নতুন ভাষা শেখা, বিভিন্ন বই পড়া এসব চালিয়ে যেতে হবে। মদ্যপান, ধূমপান থেকে একেবারে দূরে থাকুন।