Uric Acid: রক্তে ইউরিক অ্যাসিড বৃদ্ধি পায়নি তো? রক্ত পরীক্ষা না করেও কী করে বুঝবেন?
Uric Acid: কেবল রক্ত পরীক্ষা এই মাত্রা বোঝার একমাত্র উপায় তেমনটা মোটেই নয়। বরং কিছু লক্ষণ দেখেও কিন্তু বোঝা যায় আপনার রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেশি না কম।
অনিয়মিত জীবনযাপন, অস্বাস্থ্যকর খাওয়াদাওয়া এই সব কিন্তু হতে পারে রক্তে ইউরিক অ্যাসিদের মাত্রা বাড়িয়ে দেওয়ার কারণ। একবার ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে নানা সমস্যা দেখা যায় শরীরে। বিশেষ করে গাঁটে গাঁটে ব্যথা এই রোগের অন্যতম বড় লক্ষণ। তবে আপনি এই রোগে আক্রান্ত কিনা তা বুঝতে চিকিৎসকেরা নানা উপসর্গ দেখে রক্ত পরীক্ষা করার নির্দেশ দেন। রক্ত পরীক্ষা করলে তবেই বোঝা যায় শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা কত! তবে কেবল রক্ত পরীক্ষা এই মাত্রা বোঝার একমাত্র উপায় তেমনটা মোটেই নয়। বরং কিছু লক্ষণ দেখেও কিন্তু বোঝা যায় আপনার রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেশি না কম।
রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বৃদ্ধি পেলে ঘন ঘন প্রস্রাব পায়। কারণ, কিডনি চায় শরীরে থাকা অতিরিক্ত ইউরিক অ্যাসিডকে বার করে দিতে। তবে প্রস্রাবের আধিক্য ছাড়াও শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বেড়ে গেলে প্রস্রাবের সঙ্গে হতে পারে রক্তপাতও। এ ছাড়া, হতে পারে ইউটিআই বা ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন। ইউরিক অ্যাসিডের সমস্যা বাড়লে প্রস্রাবের সময়ে অনেকেরই জ্বালা করে। এই লক্ষণ দেখেও সতর্ক হওয়া জরুরি।
শরীরে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়লে পিঠের নীচের দিকে, তলপেটে কিংবা কুঁচকিতে ব্যথা হতে পারে। তাই এমন উপসর্গ দেখলেও সতর্ক হোন।
এই খবরটিও পড়ুন
রাতে ঘুমোনোর সময় যদি পায়ের পাতায় তীব্র যন্ত্রণা হয়, হালকা জ্বালাভাব অনুভূত হয়, তাহলেও সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। এই যন্ত্রণার কারণে রাতে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। এটি রক্তে ইউরিক অ্যাসিড বৃদ্ধির লক্ষণ হতে পারে।
এ ছাড়া ত্বক রুক্ষ হয়ে যাওয়া, সারা ক্ষণ ক্লান্তি ভাব, বমি বমি ভাব, বার বার ঢেকুর তোলা, পেশিতে ঘন ঘন ক্র্যাম্প ধরাও শরীরে ইউরিক অ্যাসিড বৃদ্ধির উপসর্গ হতে পারে।